বিশাল জন-স্রোতের ওপর দিয়ে আলোক রেখার মত,
দৃষ্টিপথ ভেসে চলছে সীমান্তে।
জানি , আমার এই আগমন-বার্তা তাদের কানে পৌঁছতে দেরী হয়নি।
তাই শক্ত ঘাড়ের ওপর, স্থির মাথাটা একটুও টলে না।
যদি চোখাচোখি হয়ে যায়?
এই মূহূর্তে কতগুলো পলক-হীন চোখ যে আমার ওপর পড়ে আছে,
সে তো আমি জানি।
অত্যন্ত স্বভাবিক।
নাঃ, আজ আমি কারুর কন্যা নই,
কারুর দিদি নই,,
কারুর আদরের বোনটিও নই।
আজ আমি মঞ্চে উপবিষ্ট এক গন্য-মান্য প্রধান অতিথির স্ত্রী।
বাকি সমস্ত পরিচয় ধুয়ে মুছে গেছে।
আমারই স্মৃতির শহরে, আজ আমি আমন্ত্রিত, অথচ কেউ জানে না।
কারণ, যে পাঁকে আমি পরিপুষ্ট, সেই ছোঁওয়া বাঁচিয়ে,
যে মৃণাল বাহু আমায় এত ওপরে তুলে ধরেছে,
তারা সকলে আজ আমারই রূপের সওদায় পরিপুষ্ট হয়।
গোপনে অঙ্গীকার বদ্ধ তাই পরিচয় মেলে না।
পূর্ব জন্মের পরিচয় কে ই বা রাখে?
এ এক মহাশূন্য জগৎ,
তারই মাঝে আমি ভেসে বেড়াই ক্ষুদ্র এক ধূলিকণা সম--------------
শেকড় ওপড়ানো, খোলস পাল্টানো, তবুও ভিন্ন কই?
বিশ বিশটা বছর যারা আমায় লালন করেছে, পালন করেছে,
তাদের ভূলি কেমনে?
হারিয়ে গেছি। আমি হারিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু সত্যিই কি আমি হারিয়েছি?-----তা তো নয়।
আমরা সকলে হারিয়েছি আমাদের নিজ নিজ আত্মার কাছে।
তাই কোন অনুভূতি আর কাজ করে না।
সুসজ্জিত, সুলালিত দামী আসবাব স্বরূপ। নিরাপদে রক্ষিত।
খ্যাতিমান, প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির স্ত্রী। প্রতিটা পদক্ষেপ মাপা।
অহেতুক উচ্ছলতা নাকি এদের মানায় না।
দুঃখ কোরনা। মাগো দুঃখ কোরনা। বাঁচো।
আমি চাই, তবু তোমরা একটু বাঁচার মত বাঁচো।
ভুলে যেও না, ভুলে যেও না।
আজীবন আমি যে, তোমাদেরই সে----------ই চন্দ্রিমা!
তাকে কি ছোঁওয়া যায়?
শুধু দেখা যায়। ----------------------------।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।