আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চন্দ্রিমা উদ্যানে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং কিছু অম্লমধুর অভিজ্ঞতা

সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য আজ গিয়েছিলাম চন্দ্রিমা উদ্যানে। এখানে ছুটির দিনে বিপুল জনসমাগম হয়। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এখানে দলবেঁধে আসে। সেই লক্ষ্যে ঘড়ির কাটা ৩ টা পেরুতে না পেরুতেই গিয়ে হাজির হলাম চন্দ্রিমা উদ্যানে। আমার সাথে ছিলেন আরও দুই ব্লগার।

রোমাস এবং দণ্ডিত পুরুষ। সামনে যাকেই পেলাম তাকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যৌক্তিক দাবি সম্পর্কিত হালকা ব্রিফ করে প্যাড আর কলম এগিয়ে দিলাম। কেউ কেউ সানন্দে স্বাক্ষর করল। কেউ স্বাক্ষর করল একটু আমতা আমতা করে, মাথা চুলকিয়ে। আর কেউবা একটু দ্বিমত করে স্বাক্ষর করল।

কেউবা করেনি। যারা স্বাক্ষর করেনি তাদেরকে আমরা চিনি, আপনারা চিনেন, সচেতন দেশবাসীও চিনে। তাদের মনে এখনো দগদগে ঘা পাকিস্তান ভাঙল বলে। পাক বাবাদের জন্যে ওনাদের প্রাণ এখনো হু হু করে কাঁদে। নীরবে অশ্রুপাত করে।

চোখ মুছে ফেলে। আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করে। যে ষড়যন্ত্র স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্র প্রতিক্রিয়াশীলতার ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্র দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র।

গণস্বাক্ষরের উদ্দেশ্য শুধু যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা তা কিন্তু নয়, বরং সেই সাথে এদেশের পাক ঔরসজাত সন্তানদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করা। যাই হোক, ভালোই সাড়া পেয়েছি বলা যায়। এক পর্যায়ে কিছু লোক স্বেচ্ছায় আমাদের সাথে যোগ দিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করল। এতে আমাদের খুব সুবিধা হল। কারণ, আমরা ছিলাম ৩ জন আর আমাদের হাতে ছিল মাত্র দু’টি প্যাড।

যার জন্য অনেককে অপেক্ষা করতে হলো। তখন আমরা প্যাডর পাতাগুলো ছিঁড়ে বিভিন্ন জনকে ভাগ করে দিলাম। তো আগামী ছুটির দিনগুলোতেও আমরা একই ভাবে আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। এ প্রেক্ষিতে যারা এই কর্মসূচীর সাথে আছেন সেই সব ব্লগারদের সাহায্য কামনা করছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.