ক্লাশ ৯ এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে গ্রামের বাড়িতে ( মানে দাদা বাড়িতে )বেড়াতে গিয়েছি ঈদের ছুটিতে । ঈদের সময় আমার দাদা বাড়িতে অনেক মজা হয়। সব কাজিনরা চলে আসে। পুরো বাড়ির পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে যায়। কিন্তু ঈদ ছারা এই বাড়ির পরিবেশটা একেবারে ভুতুরে টাইপের্।
আসলে আমার দাদা বাড়িটা বরিশাল জেলার একেবারে শেষ সীমানায় অবস্থিত একটি অজপারাগায়ে। উন্নতির কোন ছোয়া এখানে খুজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু গ্রামের মানুশ গুলো খুব ভাল। আমার দাদা গ্রামের বিত্তশালীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তাই অনেক জায়গা নিয়ে বাড়ি করেছিলেন উনি।
একসময় এই বিশাল বাড়িতে মানুষের অভাব ছিলনা । কিন্তু আমার বাবা,চাচারা সবাই লেখা পড়া শেষে যার যার কর্মস্থলে স্থায়ি হয়েছেন বলে আস্তে আস্তে বিশাল বাড়িটি শুন্য হতে থাকে। এখন কেবল বাড়িটি পাহাড়া দিতে হাতেগোনা কয়েকজন বসবাস করেন। কিন্তু ঈদ,কিংবা কোন ছুটির মৌসুমে আবার বাড়িটি প্রাণ ফিরে পায়।
এবার বাড়িতে এসে আরও বেশি ভাল লাগছে,কেননা আমার আগেই আমার সব থেকে প্রিয় কাজিন আতিক চলে এসেছে ।
প্রথম কয়েকদিন ওর সাথে হেভি মাস্তি করে কাটালাম। দুজনেরি পরীক্ষা শেষ ,তাই সারাদিন খেলাধুলা আর টইটই করে সারা গ্রাম ঘুরে ফিরে কাটালাম। দিন যত যাচ্ছিল আমাদের আনন্দের পরিমানটাও তত বারছিল। একিতো ঈদ ঘনিয়ে আসতেছে,তার উপরে অন্য কাজিনদের চলে আসার সময় হয়ে আদছিল। আমরা আসলে ঈদের বেশ কিছুদিন আগে উপস্থিত হইছিলাম।
যাইহোক,আমাদের এক কাজিন যে ছেলেমেয়ে সহ গ্রামের বাড়িতেই স্থায়িভাবে থাকেন ,উনি এসে যানালেন আগামিকাল সন্ধ্যায় উনি এক ফকির ডেকে জিন নামাবেন। জিন দিয়ে নাকি ভাবি এবং উনার মেয়ের চিকিৎসা করাবেন। উনি বল্লেন যে আমরা ইচ্ছে করলে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারি,কিন্তু কোন দুষ্টামি করা যাবেনা। তাহলে জিন রেগে গিয়ে আমাদের ক্ষতি করতে পারে। আমরাতো উনার কথা শুনে দারুন উৎসাহবোধ করলাম।
বল্লাম যে কোনরকম দুষ্টামি করবনা। এটা আসলে আমাদের দুজনের জন্যেই দারুন এক এডভ্যাঞ্চার হবে বলে দুজনেই দারুন উত্তেজনায় একটি দিন পার করলাম। পরের দিন আমার বড় ভাইকেও এই বিষটি জানালাম। আমাদের সবার কাছে এই বিষটি একদম নতুন বলে ভাইয়াও অনেক আগ্রহি হল। যদিও বলেছিলাম দুষ্টামি করবনা।
কিন্তু আমরা ৩ জনে মিলেই বুদ্ধি বের করতে লাগলাম কিভাবে এই ফকিরের জিন নামানোর রহস্য ধরা যায়। কেননা আমাদের ৩ জনের কেউই বিশ্বাস করতাম না যে মানুষ জিনকে নামাতে পারে । আর তারা এসে সবার সামনে কারও চিকিৎসা করতে পারে। তো অনেক ভেবে চিন্তে বের করলাম যে জিন যখন আসবে তখন আমাদের কাছে গোপনে রাখা ছোট্ট টর্চ লাইট জ্বেলে দেখব আসলেই ওটা জিন কিনা। ভাইয়ার কাছে মোবাইল ছিল।
সে বলল যে ওইটার আলো জ্বেলে সেও দেখবে। যাইহোক ,এই করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে এল। আমরা আমাদের মত প্রস্তুত হতে থাকলাম।
colobe. . . . .
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।