আমার ব্লগ নিক নেম ছিলো "ছৈয়দ শেইমছুল হুক" কর্তৃপক্ষের খতনার পরে নতুন নাম নিয়েছি "সন্ন্যাসী কবি"! বেদনা দায়ক ছিলো আমার ব্যান খাওয়ার দিন গুলি:(
তরুণীর শরীরে জিন ভর করেছে, আর তাই ঝাড়ফুঁক করে জিন তাড়াতে হবে। এই অনুযায়ী একটি অল্প অন্ধকার ঘরে ওই তরুণীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে জিন তাড়ানোর নামে ধর্ষণের চেষ্টাকালে স্হানীয় জনতার হাতে গণধোলাই খেয়েছে জিনের বাদশাহ নামে পরিচিত হামিদুল ইসলাম ছামী (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম বালাগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসী রাতেই পুলিশের হাতে ওই জিনের বাদশাহকে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে শুত্রক্রবার ওই জিনের বাদশাহকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ওই গ্রামের গজেন্দ্র নাথ রায় জানান, তার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। অনেক চিকিৎসা করেও মেয়েকে সুস্হ’ করতে পারছিলেন না। এলাকাবাসীর কাছে জানতে পেরে মেয়েকে সুস্হ’ করতে জিনের বাদশাহ নামে পরিচিত কবিরাজ হামিদুল ইসলাম ছামীকে খবর দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। কবিরাজ হামিদুল ইসলাম ছামী প্রথমে ওই তরুণীর শরীরে জিন আছর করেছে বলে জানায়। গত বুধবার সাড়ে ৩ কেজি দুধ, ৪ গাদা কলা নেয় জিন তাড়ানোর নামে।
এরপর নিজেই সেগুলো খেয়ে ফেলে। বিশ্বাস স্হাপনে সেদিন রাতে ওই জিনের বাদশাহ ভূত তাড়ানোর কথা বলে রাতভর নিজেই ধ্যান করে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে ফের একাই ধ্যানে বসে। ধ্যান শেষে সন্ধায় ওই তরুণীর শরীর থেকে জিন তাড়ানো হবে বলে বাড়ির লোকজনকে বাড়ি থেকে দহৃরে গিয়ে থাকতে বলে।
তরুণীটি জানায়, জিন তাড়ানোর নামে তাকে ঘরের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে কবিরাজ তার শরীরে পানি ছিটিয়ে মন্তর পড়তে থাকে।
এরপর তার শরীরের ওপর নিজেই ভর করে বসে কবিরাজ। অবস্হা বেগতিক দেখে তরুণী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ওই জিনের বাদশাহকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে জলঢাকা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। - সমকাল।
এসব অন্ধ জ্বীন বিশ্বাসের জন্য এলাকাবাসী এবং মেয়ের বাপ কে জেলে ফেরন করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।