মঙ্গলবার বিকেলে সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু হয়েছে।
অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ আক্রান্ত গরুর মাংস খেয়ে উপজেলায় কাতুলী ইউনিয়নের ইশাপাশা গ্রামে ৬ জনের দেহে রোগটির সংক্রমণ ঘটে বলে জানান সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সাহিদা আক্তার।
তিনি জানান, গত ৪ মে ইশাপাশা গ্রামের নকের আলী মিয়ার একটি পালিত গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন সেটি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেয়।
যারা মাংস কেটেছে ও ভাগাভাগি করেছে তাদের মধ্যে ৬ জনের শরীরের এ রোগের জীবানু পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরীক্ষার পরে এটা অ্যানথ্রাক্সের জীবানু বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অ্যানথ্রাক্স প্রাণি থেকে প্রাণিতে ছড়ানো রোগ। শুধু আক্রান্ত পশুর মাংস ও রক্তের সংস্পর্শে এলেই তা মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে এলাকার সকল গবাদি পশুকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
এ রোগে আক্রান্ত পশু প্রচণ্ড জ্বরে মাথা নিচু করে থাকে এবং এর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়।
তাই আক্রান্ত পশুকে চিহ্নিত করে নিধন (কালিং) করে মাটির ছয় ফুট নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। এতে এ রোগের জীবাণু সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকার সব পশুকে প্রতিষেধক দিতে হবে।
সংক্রমিত মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে ঘা সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে ব্যথা ও জ্বর হয়।
তবে চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।