ফলে বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান জানান, গত ১৮ অগাস্ট হঠাৎ করে ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য চারশ পঞ্চাশ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ছয়শ পঞ্চাশ মার্কিন ডলার করে। এতে বন্দরে ওইদিন আমদানি বন্ধ থাকে।
পরদিন সোমবার (১৯ অগাস্ট) আবার নতুন মূল্যে পেঁয়াজ এলেও মঙ্গলবার কোনো চালান আসেনি বলে তিনি জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন আমদানি মূল্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছানোর পর দাম দাঁড়ায় ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। ফলে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি দাম হয় ৬০ টাকা।
ভারত সরকার নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে রপ্তানি বন্ধ না করে ‘কৌশলগত’ রপ্তানি মূল্য বাড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মহসিন মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন নতুন এলসিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় বন্ধের পথে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, একমাস ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে খুলনার ‘হামিদ এন্টারপ্রাইজ’ শুধু পেঁয়াজ আমদানি করছে।
অন্য আমদানিকারকরা ইতোমধ্যে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ।
“মূল্য বৃদ্ধির পর সর্বশেষ সোমবারও ভারত থেকে প্রতি টন ৬৬০ ডলারে ৪৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে হামিদ এন্টারপ্রাইজ,” বলেন এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।