দুর্নীতি দমন কমিশনের করা একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য দেয়া ওই আদেশে এক মাসের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডে থাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়।
এই অ্যাকাউন্টে তার ৯০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা রয়েছে, যার কোন বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।
এই টাকাসহ মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৪ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলা দায়েরের পর ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর আদালত তার ব্যাংক হিসাবটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
স্ত্রী-কন্যার ভরণপোষণের কথা উল্লেখ করে করা এক আবেদনে মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক গত ৯ মে ওই হিসাব উন্মুক্ত করে দেয়।
এই আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আসে দুদক। আদালত দুদকের আবেদনের শুনানি করে মহানগর দায়রা জজের দেয়া ওই আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও মো. ওমর ফারুক তালুকদারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের ওই আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেয় আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন গাজী মামুনুর রশীদ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকে থাকা ওই টাকা সম্পর্কে দুদকে দেয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ওমর ফারুক জানায়, আত্মীয় ও বন্ধুদের নিকট থেকে ঋণ, স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির অর্থ, কৃষি ও মত্স্য থেকে আয় এবং অন্যান্য উত্স থেকে তিনি এই অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
তবে ফারুকের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।