আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ রেলমন্ত্রীর এপিএস ফারুকের গাড়ি থেকে উদ্ধার করা টাকার ঘটনাটি সোমবার রাতেই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। ওই রাতে বিজিবির ভেতরে বিজিবি’র কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কয়েক দফা দেন দরবার হয়। তবে সেখানে উপস্থিত বিজিবি সদস্যদের মধ্যে একপক্ষ ঘটনাটি মিডিয়াকে জানায়।
এরপর আর ঘটনা ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি। বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজিবি’র কর্নেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা রাত ১২টার দিকে ঘটনাটি জেনেছেন। রাত দেড়টার দিকে তিনি উপস্থিত থেকে এপিএস ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এপিএস ফারুকের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে নির্দেশনা দেন। পরে তিনি চলে যান।
সে নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবি’র গেটে উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা কাজ করেন। এদিকে গভীর রাত পর্যন্ত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সরকারের উচ্চ মহলে ফোনে কথাবার্তা বলেছেন। মন্ত্রীর ফোন কল পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওই গোয়েন্দা সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, মন্ত্রীর ভয়েস রেকর্ড উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার কাছে এ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
ওই গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র মতে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ৪০ মিনিটের মধ্যে এপিএস ওমর ফারুক ও জিএম ইউসুফ মৃধাকে ১০ বার ফোন করেছেন। এপিএস ও জিএমকে বহনকারী গাড়িতে থাকা রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক বলেন, ‘পথে মন্ত্রী মহোদয় তাদের দু’জনকে একাধিকবার ফোন করেন। ’
এদিকে সোমবার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি’র এক সদস্য বলেছেন, এপিএস ফারুকের গাড়ি নিয়মিত বিজিবি’র ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো। সোমবার রাতে সে কারণে গাড়িটি বিজিবিতে প্রবেশ করতে পারে।
পরে গাড়ি চালক রাস্তার মাঝখানে গাড়িটি থামালে বিজিবি সদস্যরা গাড়িটি ঘেরাও করে। এরপরই গাড়িতে টাকা আছে জানা যায়। এসময় বিজিবি’র এক কর্মকর্তা গাড়ি তল্লাশি করার চেষ্টা করেন। তবে ওই সময় লেফটেনেন্ট পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, উপরের নির্দেশ আছে চেক করা যাবে না।
এর পরপরই বিজিবি’র এক সদস্য বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
৫টি টিভি চ্যানেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এসময় বিজিবি সদস্যরা টেলিভিশন কর্মীদের এপিএস ফারুক, রেলের (পূর্ব বিভাগের) মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী, কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ও চালক আলী আজমের সঙ্গে কথা বলতে দেন। ওই রাত দেড়টার পর থেকে হঠাত্ করে বিজিবি’র সদস্যরা মিডিয়া কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বলে বিজিবি গেট থেকে বের করে দেয়া চেষ্টা করে।
ওই সংবাদ সংগ্রহকারী বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ইত্তেফাককে বলেছেন, প্রথম দিকে বিজিবি’র সদস্যরা মিডিয়ার সঙ্গে ফ্রেন্ডলি বিহ্যাভ করে। পরে ভোরের দিকে বিজিবি’র সদস্যরা আর মিডিয়ার সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ রাখেনি।
গাড়ি চালকের পরিবার নিরাপত্তহীনতায়
গতকাল শুক্রবার এপিএস ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজমের পিতা দুদ মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবার এক ধরনে হুমকির মধ্যে রয়েছেন। দুদ মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, ‘ছেলের কোন হদিস আমরা জানি না। আমরা জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমার ছেলে কোথায় আছে এখনও জানতে পারলাম না।
তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। সে কোন অন্যায় করেনি। ঘুষের টাকা সে ধরিয়ে দিয়ে বরং ভালো কাজ করেছে। ’
দুদ মিয়া আরো বলেন, আমি আগে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতাম তখন আজম ড্রাইভারি শিখছিল। ৪/৫ বছর আগে সে ট্যাক্সি চালাত।
মাঝখানে কিছুদিন এক ব্যবসায়ীর প্রাইভেট গাড়ি চালিয়েছে। ২ বছর ধরে এপিএস সাহেবের গাড়ি চালাচ্ছিল। আলী আজম ঢাকার জিয়া উদ্যানের কাছে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো।
নিখোঁজ আজমের বৃদ্ধ মা মাজেদা বেগম বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। আমার ছেলের নিরাপত্তা চাই।
ঘটনার সঙ্গে যদি আমার ছেলে জড়িত থাকে তার বিচার করা হোক। কিন্তু আমার ছেলে যেন গুম হয়ে না যায়। ’
সেই ৭০ লাখ টাকা কোথায়
আলোচিত সেই ৭০ লাখ টাকা এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে। গত বুধবার সকালে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমণ্ডি শাখায় এই টাকা জমা দেয়া হয়। ধানমণ্ডি শাখায় জমা দেয়া ৭০ লাখ টাকা ইতিমধ্যে মতিঝিল শাখায় ওমর ফারুকের ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছে।
হিসাব খোলার ফরমে সম্ভাব্য লেনদেনের সঙ্গে ফারুকের জমা করা অর্থের পরিমাণের মিল না থাকায় ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ হিসেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। জানা গেছে, ফারুকের লেনদেনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক খতিয়ে দেখবে। লেনদেনের বড় ধরনের অসামঞ্জস্য খুঁজে পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করবে।
সূত্র: ইত্তেফাক
এবার আসুন একটু আলোচনা করিঃ সুরঞ্জিত সেন জানতেন তার ভাগের টাকা আসতেছে। তার ডানহাত সে--ই সকাল থেকে চুলকাচ্ছিল।
ইতিমধ্যে মেনুও তৈরী করে ফেলেছিলেন ভোজের, কি খাবেন, কোথায় যাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। পথে মাল নিয়ে আসার সময় উনি খুব উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন। ১০/১২ বার ফোনে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেসা করেছিলেন কোন সমস্যা হয়েছে কি-না। প্রথমত উত্তর ছিল "বস; সব ঠিকঠাক আছে" কিন্তু বিপত্তি ঘটল ওখানে "ধরা খাওয়ার পর" উপর মহল থেকে ফোন করেও গাড়িটি চেক না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে যা-ই বলেন ড্রাইভারের সাহস আছে।
যদি জীবিত থেকে থাকে তাকে এ্যওয়ার্ড দেওয়া উচিত।
রাজাকরটার ফোন কল লিষ্ট এবং ভয়েস রেকর্ড উদ্ধার করলে সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাবে আশা করি। নতুন বছরের শুরুতে এই রাজাকারটার বিচার সবার আগে বহুনি না করলে দেশ রসাতলে যাবে। শেখ হাসিনা কি জানতেন না ? অবশ্যই জানতেন যে তার দলের কান্ডারীরা দেশ লুট করছেন, তবে নির্দেশ ছিল "লুট করবা করো তবে ধরা যেন না পড়"
আমরা জানতে চাই, সুরঞ্জিত সেন ১০ বার ফোন করে কি কথা বলেছিল ঐ রাতে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।