ভয় করি না আমি কোনকিছু.................
অনেক আগের লেখা একটা গল্প । রাজাকার নিজামী'র ওপর কি কারনে একদিন প্রবল ক্ষোভ হলো । ক্ষোভ মানে, সামনে থাকলে গুলি করে মারব টাইপ অবস্থা । এক বসাতেই লিখে ফেলেছিলাম । সে সময় হুমায়ুন মাথার ভেতর প্রবল আকারে জেঁকে বসেছিলো ।
বেশ কাঁচা লেখা অবশ্যই । ভয়ে ভয়ে এখানে দেয়া । জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে ।
এক.
বদিউজ্জামান বদরুলের মেজাজ এই মুহুর্তে চূড়ান্ত রকমের খারাপ। যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে ।
অবশ্য এই চাকরিটার জন্যই তাকে আজ এই ফাউল কাজটা করতে হচ্ছে । তাকে এখন যেতে হবে হিথ্রোতে । যদিও হিথ্রোতে যাওয়া আসা বদরুলের জন্য কোন ঘটনাই না , দিনে তাকে চার-পাঁচবার যাওয়া আসা করতে হয় । আজকে এই ডেলিগেট, তো কালকে ওই ডেলিগেট । ফ্রেঞ্চ, জার্মান কিংবা জাপানী বাবাজী ।
বহু হোমড়া চোমড়া মানুষজনদের বদরুল হিথ্রোতে পৌঁছে দেয় । এইটাই তার কাজ।
“দি আরিয়ান্স লিমিটেডের” এর ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেণ্টের জুনিয়র ড্রাইভার বদরুল । এতো দূরে ড্রাইভ করতে বদরুলের খারাপ লাগেনা । গান শুনতে শুনতে এম 25 ধরে সোজা এয়ারপোর্ট ।
গাড়ীর প্যাসেঞ্জার দের সাথে খাজুরা আলাপ করতে বদরুলের ভালই লাগে । এইদেশে থাকার কারনে বদরুল ইংরেজীটাও খুব একটা খারাপ বলে না । মাঝে মধ্যে এরাবিক ডেলিগেটরা আসলে বদরুলের আরবী বলতে হয় । হারামজাদারা ইংরেজী বলতে চায় না । তাই বদরুলের টুক-টাক আরবী শেখা হয়েছে ।
নবীজিও আরবিতে কথা বলতেন । প্রচুর সওয়াব । তবে এক বদ লোক তারে একটা ভুল আরবী শিখানোর কারনে গত বছর বদরুলকে বড় একটা ঝামেলায় পড়তে হয়েছিলো । চাকরি যায় যায় অবস্থা । লোকমান ভাই না থাকলে ওইবারই চাকরি গেসিলো ।
এক শেখের সাথে খাজুরা আলাপের এক পর্যায়ে বদরুল তাকে আরবীতে বলতে গিয়েছিলো
, " আন্নাক্কা সালু বি হাইফা তিন্নু, ইন্না আদাহ"…মানে আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। বদরুল কথাটা ইংরেজীতেই বলতে পারত , কিন্তু নিজের আরবী জ্ঞানের বহরটা বোঝানো আর শেখ সাহেবকে একটু চমকিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থেকে বদরুল নিজেকে সংযত করতে পারে নাই । আর তাছাড়া বদরুলের খুব শখ নবীজির শহর দেখা । তাই একটু ভাব জমানোর চেষ্টা করছিলো । শেখ সাহেবের রাগ দেখে তো বদরুলের খুব অবাক ।
পরে অবশ্য বদরুল জানতে পারে এই কথার মানে, "তোরে পুটকি মারি। " ইশ!কি বেইজ্জতি ঘটনা!! ওইবার আরিয়ান্স লিমিটেডের চেয়্যারম্যন তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো । তবে যেতে হয় নাই । শেখদের সাথে কি একটা সমস্যার কারনে নাকি কন্টাক্টই হয় নাই । বদরুল অবশ্য ধরতে পারে না, পুটকি মারতে চাওয়ার কারনেই নাকি অন্য ভেজালের কারনে কনটাক্ট টা হয় নাই।
আজকের কাহিনী ভিন্ন । বদরুল এই প্যাসেঞ্জার রে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারছে না । একে কি জায়গামত নিবে ?নাকি রাস্তার মাঝখানে ফেলে যাবে বদরুল বুঝতে পারছে না । কুত্তারবাচ্চা আবার দেখি কুট কুট কইরা পান খায় । গন্ধে পুরা গাড়ী শেষ ।
ফাঁকে আবার দেখি ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করে ।
-হাউ আর ইউ ? লং টাইম ড্রাইভিং ?
বদরুলের ইচ্ছা হলো বলে, "ওই হারামজাদা, তুই ইংলিশ কইস না । তোর আবার ইংলিশ কি ? তুই কইবি উর্দূ নইলে আরবী। "
বদরুল জবাব দেয়, “মি… নো ইংলিশ”
-হুম…তা বাংলা জানো তো?
বদরুলের বলতে ইচ্ছা হয় ,ওই শুয়োরের বাচ্চা, “তুমি” কি ? চিনস না জানস না, “তুমি” কইরা কস!! লাথথি দিয়া গাড়ী থেইকা ফালায়া দেয়া দরকার।
বদরুল জবাব দেয় না ।
তার ইচ্ছা করে আজকে একটা অঘটন ঘটাতে । বদরুল বুঝতে পারে না মতিউর রহমান নিজামী ওরফে মইত্যার লন্ডনে কি কাজ ? ফান্ডের কাজ হইলে যাবে সৌদি আরব নইলে কুয়েত । হুজুরগো পা ধইরা বইসা থাকবো । তাগো জিনিষ চাটবো । এইখানে আরিয়ান্স লিমিটেডের সাথে ঘটনা কি ?
মইত্যা কথা বলে যেতে থাকে, “বুঝলা মিয়া…এই দেশের স্ট্রাকচার গুলার দিকে তাকাও ।
কি কইরা রাখসে । পাঁচশ বছরেও কিছু হইব না”
বদরুল মনে মনে বলে , "তুই তোর দিকে তাকা ফকিরনীর পুত । তুই যেই রাজাকার । রাজাকারই আসস । তোর স্ট্রাকচারও পাঁচশো বছরে বদলাইবো না।
"
মইত্যা আফসোস করে। “ইবা কুল্লি খাইজা বিরু বাঙ্গালা” মানে হইতেসে কিচ্ছু হইব না বাংগালীদের ।
বদরুলের ইচ্ছা করে কুত্তার বাচ্চার পাছা বরাবর একটা লাথথি দেয় । হারামজাদা রাজাকার । তোর আবার দেশ নিয়া চিন্তা ।
বদরুল আর পারে না এইসব শুনতে । গান ছাড়ে । ও আমার দেশের মাটি…তোমার প’রে ঠেকাই মাথা… অন্য সময় হলে এই গান বদরুল জীবনেও শুনত না । মইত্যা শুয়োরের বাচ্চাটারে বিরক্ত করার জন্য তার এই গান ছাড়া । একটু পর বদরুল যাবে ডাবল একশনে ।
জয় বাংলা গান টা দিবে,তার পর পরই বংগবন্ধুর ভাষন টা ছাড়বে । যাক, গানগুলা থাকতে আজকে কাজে লেগেছে। বদরুলের রক্ত ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে । তার ধারনা আজকে কিছু একটা সে করবে । দরকার নাই এই বালের চাকরি ।
আজকে সে অন্য মানুষ । পুরা ফায়ার ধিকি ধিকি ।
দুই.
মতিউর রহমান নিজামী মইত্যার মনটা আজকে খুব একটা ভাল না । কালকে দেশে ফিরলেই তো মুযাহিদ,কাদের মোল্লা সব তাকে ঘিরে ধরবে । ফান্ডের কি করতে পারলো ।
কেউ তো আর বিশ্বাস করবে না যে ইউ.কে থেকে ফান্ডের চিন্তা এখন থেকে বাদ । শালারা যে যেই শর্ত দিসে তাতে করে টাকা আনা মুশকিল । এইসব কথা বললেই সবাই সন্দেহ করে । তাদের ধারনা আমি টাকা মারি । ফান্ডের কথা বলে নিজের গোডাউন ভর্তি করি ।
আরিয়েন্স লিমিটেডের আলহাজ শফিকুল ইসলাম বোখারী তারে এক গাদা নসিহত করলো , "আপনাদের এতগুলা পোলাপানরে এইখানে চালাই । পড়ালেখা, কাজ । আর আপনাগো আমলে আমার সাপ্লাই টা কেমনে আটকায় ?" আর দুনিয়ার হাবি-জাবি কথা । মইত্যার জিন্নাহ টুপি চিড়-বিড় করে । মাথার ভিতরে চুলকাতে থাকে ।
মাথা গরম হয় । কিছু বলতে পারে না । মনে মনে বলে তুই দেশে যাবি না ? তারপর তোরে দেখতেসি । আফসোস পাওয়ারে নাই । "ইক্রা কুল্লা ইয়ত বি সামওয়া ।
" মইত্যা আরবীতে বিড় বিড় করে। মানে , "দেশে গেলে তোর খবর আছে। "
গত রাতে বোখারী সাহেব পোলিশ একটা মেয়ে পাঠালো । খারাপ না । এম্নিতে সৌদিতে গেলে পাকিস্তানী মেয়ে পাওয়া যায় ।
বিছানাতে পাকিস্থানী মেয়েদের উপর মেয়ে হয় না । গতকাল রাতে পোলিশ মেয়েটাও খারাপ ছিলো না । ভালই লেগেছে । তার উপর তার সাথে সারারাত গল্প করেছে । আলাপ না করলে মইত্যা জানতই না পোল্যান্ডে আলু হচ্ছে প্রধান খাদ্য ।
কত কি যে জানার আছে !! তার জিনিষ দাঁড়ায় না দেইখা হারামজাদীর কি হাসি। আরে,এই বয়সে দাঁড়ায় নাকি!! মাঝে মধ্যে এরশাদের উপর তার হিংসাই হয় । বাটপার টা যে কেমনে করে ! শালার জোর আসে ! নিজামী ভাবে তার আর কত বয়স হইসে।
তারপরেও রাতটা খারাপ যায় নাই । মইত্যার ভালোলাগে যে , এইখানে আসলে নামায পড়তে হয়না ।
উফ! দেশে থাকলে নামাজ না পড়লে কত ভেজাল !! সে কতবার নিজের চোখে দেখেছে ,মুজাহিদ ওইসব কাজ করে নামাজ পড়তে গিয়েছে ।
এই দিকে ড্রাইভারের ব্যাপারটাও বুঝা যাচ্ছে না । কিসব গান ছাড়ে । আবার দেখি শেখের ভাষনও ছাড়ে । মইত্যার কিঞ্চিত সন্দেহ হয় ।
হারামযাদা ফাজলামী করে না তো ! এই বয়সী পোলাপানের মেজাজ মর্জী ধরা যায় না । কখন যে কি করে!!
মইত্যা ড্রাইভারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করল । উত্তর দেয় না । মনে হয় তেল হইসে বেত্তমিজটার । আদব কায়দা জানেনা ।
নিজামী লক্ষ্য করেছে সে গাড়ীতে উঠার পর থেকেই ড্রাইভারের চোখ মুখ কেমন যেন শক্ত হয়ে গেছে । এই বয়সী তার একটা ছেলে আছে । মহান নেতা’র নাম চিন্তা করে মইত্যা তার নাম দিয়েছে আইয়ুব খান । ওহফ! কি লিডার ছিল, সাক্ষাত বাঘের বাচ্চা । অথচ তার ছেলেটা হলো একটা ফুলটাইম হিরিঞ্চি।
সারাদিন ফেন্সি আর হেরোইনের উপর থাকে । এখন শুনেছে ইয়াবা না কি আসছে সেইটা নিয়া আছে ।
মইত্যা ভাবে এইগুলা কি তার পাপের ফসল ? আইয়ুব খান স্কুল থেকে প্রতিদিন বাসায় ফিরে কাঁদত । সবাই নাকি আড়ালে আবডালে তাকে রাজ়াকারের পোলা বলে গালি দেয় । এক সময় স্কুল পাল্টিয়ে দিতে হলো ।
তাতেও লাভ হয় নাই । ছেলেরে আমেরিকাতে পাঠিয়েও কোন ফল পায় নাই । কাজের কাজ যা হয়েছে,আইয়ুব খান হিরিঞ্চি হয়ে ফেরত এসেছে । সবখানেই এক কথা । রাজাকার,রাজাকার ।
মইত্যা ভাবে তার দিন তো চলে যাচ্ছে । এইসব তো তার গত ছত্রিশ বছর ধরে সহ্য হয়ে গেছে । এমন কি তার মেয়ে গুলজার, আর এখন তার নাতি-পুতিদেরো নাকি রাজাকারের নাতি এই গালি শুনতে হয় । রাস্তা ঘাটে সবখানে মানুষজন সবসময় ঘৃণা’র সাথে তাকায় । ওরা কিভাবে এগুলো সামলাবে ? মইত্যার ইচ্ছা করে বাংলাদেশটাকে শেষ করে ফেলতে ।
ইস আবারো যদি পাকি ব্রাদারদের সাথে এক হওয়া যেত ! সে তো চেষ্টা করেই যাচ্ছে । কিন্তু কিছুতেই লাভ হচ্ছে না । কিছু করতে গেলেই কোথথেকে যে এত বাধা আসে!!
মইত্যা আর কিছু ভাবতে পারে না । গাড়ীর ফাঁক দিয়ে মেয়েদের দেখতে নিজামীর খুব ভালো লাগে । কেমন সুন্দর সুন্দর মেয়ে ।
কি সুন্দর তাদের বুক । আহা,মাখনের মত হাত । সারা পা খালি । কি ভাল্লাগে । মইত্যা’র ইচ্ছে করে এখানে থেকে যেতে ।
কিন্তু তাতেও সমস্যা । এইবারের ট্রিপ টা তাকে যেভাবে সাবধানে আসতে হয়েছে । কেউ জানতে পারে নাই । আওয়ামিলীগের হারামজাদাগুলা খবর পাইলে সমস্যা আছে । তার কাছে খবর আছে বি এন পি’র কিছু পাতি নেতা তাকে খুঁজতেসে ।
এখন ভালয় ভালয় পৌছতে পারলেই হয় । এই বয়সে এত ঝক্কি ঝামেলা ভাল্লাগেনা মইত্যা’র ।
তিন।
বদরুলের মাথা ধরেছে । আজকে অনেকদিন পর এইভাবে তার মাথা ব্যথা করছে ।
যে জীবনে বদরুল আছে , এইখানে মাথা ব্যথা,পায়ে ব্যাথা,খোস-পাচরা,সর্দি,জর,কাশা-কাশি এইসবরে পাত্তা দিলে চলে না । হাগা মুতার মত দেখতে হয় সব কিছু । কিন্তু আজকের কথা ভিন্ন । সেই কখন থেকে মাথা ফোরটি নাইন হয়ে আছে।
বদরুল এখন আছে টরবে রোডে ।
একটু পর টার্ন নিতে হবে থ্রি-সেভেন্টিনাইন বরাবর । তারপর ভিক্টোরিয়া রোড ধরে টান । আরো ঘন্টা খানিকের মামলা।
বদরুল লক্ষ করলো মইত্যা কুত্তারবাচ্চা আশে পাশের গাড়ীতে মেয়েছেলে দেখলেই কেমনে জানি তাকায় । বদরুল মনে মনে শুওরের বাচ্চা বলে গাল দেয় ।
মুখে অইটা কি ! রস বাইয়া পড়তেসে নাকি হারামজাদার মুখ দিয়া ? পুরা গাড়ীতে একটা বদ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে । মনে হয় মইত্যা পাদ দিসে । হারামজাদা খাইসে কি ! বদরুলের ইচ্ছা করে মইত্যার পাছায় একটা লাথথি দিতে । ব্যথায় তার মাথা ছিড়ে যেতে থাকে । মনে হয় কয়েকটনি একটা বোঝা তার মাথায় কেউ চাপিয়ে দিয়েছে ।
* * *
বদরুল হঠাত করে গাড়ী বেশ নিরব একটা জায়গাতে নিয়ে থামায় । ব্রিজটাউনের আশে পাশে কোথাও হবে । আজকে তার সবকিছু অচেনা লাগতে থাকে। বদরুল হঠাত চিতকার করে বলে ,
“ওই কুত্তার বাচ্চা,বাইর হ গাড়ী থেইকা”
মইত্যা বুঝতে পারে না । ভয়ে তার বুক ফেটে যাচ্ছে।
কেউ আশে পাশেও নেই। মেরে ফেলবে নাকি?একাত্তর সালেও এক মুক্তি তারে পাছার মধ্যে বেয়নেট দিয়া গুতা দিয়েছিলো । আজকে এতো বছর পরেও তার পাছায় সে ব্যাথাটা আছে । কাউকে সে দেখাতে পারেনি । অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলো মইত্যা ।
মইত্যা মিন মিন করে বলে “বাবা কি হয়েছে”।
বদরুলের আর অপেক্ষা করতে ভাল্লাগেনা । মইত্যার পাছা বরাবর দুইটা লাথথি দেয় । সব শক্তি দিয়ে গালে ইচ্ছা মত চড় মারে।
“কুত্তার বাচ্চা তুই রাজাকার ।
আবার কস কি হইসে?”
মাল পত্র সব সহ মইত্যা কে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয় বদরুল । এইখানে আরেকটা গাড়ী পাওয়া বেশ মুশকিল ই হবে । আর তার উপর মইত্যার কাছে নাই ফোন । আজকের জন্য হারামীর হিথ্রো যাওয়া বাদ । "মর কুত্তার বাচ্চা এই শীতে ।
" বদরুল বিড় বিড় করে
বদরুলের মাথা ধরা কমতে থাকে । দেশ নিয়ে বদরুল কোনদিনই ভাবে নাই । ছোটবেলা থেকেই তাকে তার পরিবার টানতে হচ্ছে । ওইটাই ছিল তার সব চিন্তা, ওইটাই তার দেশ । অনেক কষ্টে,বহু টাকা খরচ করে এইদেশে এসেছে বদরুল ।
আজকে এই ঘটনার পর হয়ত তার চাকরিটা’র আশা করা বোকামী । বদরুল আজকে চাকরির মত তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ভাবে না । এইখানে চাকরি একটা গেলে আরেকটা পাবে । আজকে তার বড় ভাল্লাগে ।
অনেকদিন পর দেশের কথা ভাবে বদরুল ।
মইত্যার গালে কয়েকটা চড়, পাছায় কয়েকটা লাথি, বদরুলকে অন্য রকম মানুষে পরিনত করে । অন্য রকম ভাবতে শেখায়।
তার জন্য এই পরিবর্তনটা বড় প্রয়োজন ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।