অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা। ঘৃণায় বমি আসতেছে ,
ঘৃণায় আয়নার সামনে দাড়াতে পারছি না,
আমি এই ধরনের পোস্ট দিতে চাই না কিন্তু নিজের বিবেকের সামনে দাড়াতে পারছি না তাই লিখতে বাধ্য হলাম।
ঘৃণা লাগতেছে ভাবতে সেই ৩০লক্ষ শহীদের কথা ভেবে,
ঘৃণা লাগতেছে ভাবতে সেই ২লক্ষ নারীর কথা ভেবে,
ঘৃণা লাগতেছে ভাবতে সেই অসংখ্য শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা ভাবতে,
ঘৃণা লাগতেছে ভাবতে সেই অসংখ্য বীর পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধাদের কথা ভাবতে।
ভাবতে ঘৃণা লাগে সেই মহান নেতার কথা ভাবতে "বঙ্গবন্ধু"
ক্ষমা চাওয়ার মত মুখ নেই আমার, কিন্তু প্রতিবাদি আমি আজ প্রতিবাদের ভাষায় জবাব দিবো, যদি কাল জামাত শিবির আমার মুণ্ডু নিয়ে ফুটবল খেলার জন্য জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কুকুরের মত পাগল হয় তবে আমি শীরচ্ছেদিত হতে পিছ পা হবো না, তবুও আজ আমি জবাব দিবো ।
পরশু স্যার জাফর ইকবালের একটা কলাম প্রথম আলোতে পড়লাম, সে বরাবরের মত খুব সুন্দর সাবলিল ভাষায় তার যুক্তি তুলে ধরেছেন জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে।
ভেবেছিলাম আজ হয়ত জামাত শিবির নেড়ি কুকুরের মত লেজ গুটিয়ে অন্ধকার গলির মধ্যে লুকিয়ে নিজেদের সনভ্রম বাঁচানোর চেষ্টা করবে কিন্তু আমি ভুল প্রমাণিত হলাম আজ রাতে যখন আমি এফ বি তে একটা জামাত পেজে গেলাম।
চোখে পড়ল কয়েকটা জঘন্য পোস্ট, তার থেকেও বেশী জঘন্য সেই সব পোস্টে পরা মন্তব্যগুলো।
কয়কজন এটাও বলছে "জাফর ইকবাল স্যার নাকি জামাতকে না ইসলামকে অপমান করার জন্য সেই লেখাটা লিখেছেন। "
আমার কয়কজন আত্মীয় আছে তারা শুধু মাত্র জামাতকে সাপোর্ট করে ইসলামের কারণে।
ইতিহাস নিয়ে কিছু লিখব না আজ কারণ আমরা সবাই কম বেশী ইতিহাস জানি।
জবাব দিবো আমি ধর্ম ব্যাবসায়ী জামাত শিবিরকে কুরান দিয়ে -
সূরা আল বাক্বারাহ-
আয়াত ৮-
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।
আয়াত ৯-
তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
আয়াত ১০-
তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
আয়াত ১১-
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
আয়াত ১২-
মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
আয়াত ১৩-
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
সূরা আল আ’রাফ -
আয়াত ৮-
আর সেদিন যথার্থই ওজন হবে। অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই সফলকাম হবে।
আয়াত ৯-
এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে, তারাই এমন হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। কেননা, তারা আমার আয়াত সমূহ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতো।
এরপরও যদি জামাত শিবিরকে ইসলামের জন্য সাপোর্ট করতে মন চায় তবে ইতিহাস জানুন তারপর এই আয়াতগুলোর সাথে তাদের কার্যক্রম মিলান।
জাফর ইকবাল স্যার আপনার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করলাম মাত্র।
স্যার সাবধানে থাকিয়েন কারণ এরাইত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং আল্লাহ্ এসব জানত বলেই এই সব আয়াত নাযিল করেছিলেন কিন্তু মূর্খ মুসলিম জাতি আল্লাহ্র কুরান পড়ে না কিন্তু ইসলাম বলে বেশী বেশী মাতামাতি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।