-
অলিউল্লাহ নোমান
রিমান্ডে শিবির নেতাদের ঝুলিয়ে রেখে নির্যাতনের সময় আল্লাহ বলে চিত্কার করলে মুখে লাঠি ঢুকিয়ে বলা হয়, তোদের আল্লাহ এসে এখন বাঁচাক।
র্যাব অফিসে নির্যাতনের সময় শিবির নেতা সাবিত ও রাজু এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপহৃত শিবির নেতা গোলাম মোর্তজাকে সেখানে দেখেছেন। গোলাম মোর্তজা অপহৃত হওয়ার পর সন্ধান চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা রিট আবেদনের সম্পূরক পিটিশনে এ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে এ সম্পূরক পিটিশনের বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। গোলাম মোর্তজার সন্ধান চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা ৫৬৬০/২০১০ রিট আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এ সম্পূরক পিটিশন দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রশিবিরের চার নেতাকে আটক দেখায় র্যাব। তারা হলেন ইমরান ওরফে মাসুম, জায়েদ বিন সাবিত, সুলতান মাহমুদ রিপন ও আলমগীর হাসান রাজু। তাদেরকে গত ৪ আগস্ট মিডিয়ার সামনে হাজির করে র্যাব। মোহাম্মদপুর থানার তিনটি মামলায় (৮, ৯ ও ১০, তারিখ ৪ আগস্ট) তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। সম্পূরক রিট আবেদনটিতে জানানো হয়, মিডিয়ার সামনে হাজির করার চারদিন আগে রাজুকে এবং তিনদিন আগে সাবিতকে অপহরণ করে র্যাব।
পরবর্তী সময়ে তাদের নামে মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিস্ফোরক আইনে একটি ও সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় রিমান্ডে নিয়ে র্যাব অফিসে নির্যাতনের একপর্যায়ে জায়েদ বিন সাবিত ও রাজু অসুস্থ হয়ে পড়েন। উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে নির্যাতনের সময় তারা আল্লাহ বলে চিত্কার করলে মুখে লাঠি ঢুকিয়ে বলা হয়—তোদের আল্লাহ এসে এখন বাঁচাক।
রিমান্ডে র্যাব অফিসে থাকার সময় তারা অপর শিবির নেতা গোলাম মোর্তজাকে সেখানে দেখেছেন বলে উল্লেখ করা হয় সম্পূরক আবেদনে। সাবিত ও রাজুকে হাইকোর্ট বিভাগে হাজির করে গোলাম মোর্তজার বিষয়ে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য সম্পূরক আবেদনে অনুরোধ করা হয়েছে।
গোলাম মোর্তজা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গত ২ জুলাই ধানমন্ডি থেকে অপহৃত হয় বলে তার পরিবার দাবি করে আসছে।
সম্পূরক আবেদনে আরও জানানো হয়, সাবিত ও রাজুকে ঝুলিয়ে রেখে নির্যাতনের একপর্যায়ে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দ্রুত তাদের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির জন্য ফরোয়ার্ডিং দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের অবস্থা গুরুতর। এতে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ আগস্ট তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট।
সম্পূরক আবেদনটিতে আরও জানানো হয়, তারা যেহেতু অপহৃত গোলাম মোর্তজাকে র্যাব অফিসে দেখেছে, তাই তাদের ফের রিমান্ডে দেয়া হলে মেরে ফেলা হবে। এজন্য পুলিশ যাতে তাদের ফের রিমান্ডে নিতে না পারে সেজন্যও হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।