আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অকেজো জ্ঞান

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/

অকেজো জ্ঞান ফ্রান্সিস বেকন জোর দিয়ে বলেছেন, "জ্ঞানই শক্তি"। তবে সকল জ্ঞান সম্বন্ধেই এটা সত্য নয়। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে জোনাকী পোকা তার দেহের মাঝে কি করে আলোক বিন্দু তৈরি করে বা দোয়েল পাখি কি করে এতো সুন্দর গান গায়। এই জ্ঞান যদি আমি অর্জন করতে সমর্থ হই অর্থাৎ আমি যদি জানতে পারি কি করে তারা তা করে তাতে করে আমার কোনো লাভই হবে না।

আজ আমি যেমন বেকার আছি, এই জ্ঞান অর্জনের পরেও আমি তেমনি বেকারই থাকবো। চাকুরির বা জীবিকার্জনের জন্য এই জ্ঞানের কোনো ভূমিকা নেই। তাই এই জ্ঞান অকেজো জ্ঞান। তাহলে কি বেকন সাহেব ভুল বলেছেন? না, তিনি ভুল বলেননি। তিনি যে জ্ঞানের কথা বলেছেন তা হচ্ছে কেজো জ্ঞান, যাকে আমরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বলি সেই ধরনের জ্ঞানের কথাই ছিলো বেকন সাহেবের মনে।

মূলতো এই অকেজো জ্ঞান বা বিদ্যার্জন হচ্ছে "বেঁচে থাকার আনন্দ" এর অংশ, আড্ডা সুরাপান বা যৌনকর্মেরই মতো। এটা শুধু গণিত বা সাহিত্য সম্পর্কেই সত্য নয়, বরং অন্যান্য জটিলতর বিষয় সম্পর্কেও সত্য। পিথাগোরাসের উপোপাদ্যগুলি কি পরিমান জটিল তা বলে বুঝাতে হবে না। আমার দ্বারা কখনোই তা সমাধান করা সম্ভব হবে না। কিন্তু যারা সমাধান করতে পারেন তাদের আনন্দের মাত্রটিও আমার দ্বার অনুভব করা সম্ভব হবে না।

সমাধানে আনন্দ যে রয়েছে সেটা কিন্তু নিশ্চিত। সর্বত্রই জ্ঞান ধীরে-ধীরে গণ্য হচ্ছে নিতান্তই প্রযুক্তিগত দক্ষতার উপাদান হিসেবে। একটা সময় আমেরিকার শিক্ষা পর্ষদ উল্লেক্ষ করে ছিলো যে "ব্যবসায়িক পত্রাদি রচনায় অধিকাংশ লোক মাত্র দেড় শো শব্দ ব্যবহার করেন। সুতরাং তাদের উপদেশ স্কুরের পাঠ্যবিষয় থেকে বাকি শব্দগুলি বাদ দিতে হবে। " আর ইংরেজদের উদ্ভাবিত "মৌলিক ইংরেজী"-তে আট শো শব্দই যথেষ্ট মনে করা হয়।

তাছাড়া আমরা এটা বলতে পারি যে, জীবিকা অর্জনের শুরুর আগে সব কিছু শেখার সময় ও সুযোগ মেলে না, তাই নিঃসন্দেহে কেজো জ্ঞান খুবই দরকারি অকেজো জ্ঞনের তুলোনায়। গত কয়েকশ বছর যাবত মানুষ এই অকেজো জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, প্রশ্নগুলি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে। আর ক্রমান্বয়ে এটা পরিস্কার হয়ে উঠেছে যে সেই জ্ঞান অর্জনই মূল্যবান যা সমাজের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ বিশেষে প্রয়োগ করা যায়। যে জ্ঞান আমার মোটেও নাই। “বার্ট্রান্ড রাসেল”-এর “আলস্যের জয়গান” নামক বই এর দ্বিতীয় অধ্যায় "অকেজো জ্ঞান" এর কিছু অংশবিশেষ আমার মত করে উপস্থাপন করলাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.