রাজাকার ও তাদের বংশধরেরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাই পাবে
বরাবরই আমার নিজের বিছানাটা বদলালে প্রথম রাতে আমার পুরো ঘুম হয় না। দশ জানুয়ারি রাতেও সেই দশাই হলো। প্রায় সারারাত দিলি্লর অপেক্ষাকৃত নীরব এলাকায় রাতের কুয়াশা দেখেই রাত পার হলো। কোনমতে সকাল হলে তাজ প্যালেস হোটেলের বুফে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা রওয়ানা দিলাম গাড়ির প্রদর্শনী দেখতে। প্রগতি ময়দানের সেই বিশাল কার প্রদর্শনী দেখতে আমাদের দলের ৪৩ জনের মাঝে মাত্র ১২ জন আমরা এলাম।
বাকিরা নানা দিকে ছড়িয়ে গেলেন_কারণ ১১ জানুয়ারিতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের কোন কাজ নেই। সেদিন বলতে গেলে এককভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যস্ততম দিন। দ্বিতীয় দিনেও তিনি ব্যস্ত থাকবেন, তবে সেদিন আমাদের কাজ ছিল অনেক।
একটি ভোক্সওয়াগন মিনিবাসে আমাদের দলটি প্রগতি ময়দানে পেঁৗছলে অবাক হলাম এর বিশালত্ব ও ভিড় দেখে। নিটোল মটরের মতলুব সাহেব থাকায় আমাদের প্রদর্শনী দেখার ব্যাপারটা ভিভিআইপির মতো হয়ে গেল।
প্রগতি ময়দানের বিশাল চত্বরে ঘোরার জন্য আমরা গাড়ি পেলাম। টাটার স্টলের ভেতরে আমরা ঢুকলাম। গাড়িতে বসা বা স্টিয়ারিং ধরাতে আমরা কোন বাধা পেলাম না। টাটা আমাদের চা-কফিতে আপ্যায়িত করল। তবে প্রদর্শনীর ভিড় দেখে আমাদের চোখ কপালে ওঠল।
একদিকে কোটি রুপির জাগোয়ার দেখতে ভিড়, অন্যদিকে মাত্র লাখ রুপির টাটা ন্যানো দেখতেও ভিড়। আমাদের বিস্ময় অবশ্য ছিল রহিম আফরোজের স্টলে। বাংলাদেশের এই একটি মাত্র স্টল বাংলাদেশে উৎপাদিত ব্যাটারি রপ্তানি করে। তাদের মার্কেট সাইজও বিশাল। রহিম আফরোজের এমডি মইন সাহেব আমাদের প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন।
ফলে ওখানে আমরা সত্যি সত্যি আন্তরিকতার সঙ্গে আপ্যায়ন পেলাম। তিনি আমাদের দলের সবার জন্য তার কারখানায় উৎপাদিত একটি করে ব্যাটারি উপহার হিসেবে দিলেন। জানালেন, ঢাকায় আমাদের অফিসে সেটি পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমরা আনন্দে বুকটা ভরিয়ে ফেললাম। বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান শুধু যে মেলায় অংশ নিয়েছে তা নয় বরং ভারতে ব্যাটারি রপ্তানি করে ভারতীয় ও বিদেশী ব্যাটারির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে আছে_এটি কম গৌরবের বিষয় নয়।
কিন্তু মনটা খারাপ হলো যখন শুনলাম যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কেউ প্রদর্শনীর ৭ দিনেও একবার এই স্টলটি দেখতে আসেনি। তাদের বারবার অনুরোধ করার পরও এমন একটি অবস্থা রহিম আফরোজ কামনা করেনি। বাংলাদেশের মিশনগুলো বিদেশে এমন কত জঘন্য কাজ করে সেটি নিজেরা ভুক্তভোগী না হলে জানা যায় না। আমার মনে আছে, ২০০৫ সালে জার্মানির হ্যানোভারে সিবিট মেলায় গিয়ে টের পেয়েছিলাম যে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো কতটা নিষ্ক্রিয় হতে পারে। তাদের চরম অপদার্থতাও সেবার চোখে পড়েছিল।
গাড়ির প্রদর্শনীর পর আমরা দিলি্লর উপকণ্ঠে গোরগাওতে একটি মলে গেলাম। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে ঢুকে পড়লাম সিনেমা হলে। দল বেঁধে থ্রি ইডিয়িটস থেকে তৃপ্ততার সঙ্গে হোটেলে ফিরে এসেই আমরা জানলাম যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো দিনটি অত্যন্ত ব্যস্ততার মাঝে কাটিয়েছেন এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ব্যাপারটি ফলাও করে প্রচার করছে।
ভারত সফর শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই আমরা যখন শুনলাম যে, ভারত তার সবচেয়ে বড় ঋণটি বাংলাদেশকে দিয়েছে, তখন আনন্দিতই হলাম। মূলত বাংলাদেশের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ তেমন বড় কোন ঘটনা নয়।
বাংলাদেশ এখন লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট প্রণয়ন করে এবং দুনিয়ার কোন দেশ থেকেই তার ঋণ পাওয়ার তেমন কোন সঙ্কট নেই। ফলে ভারতের ঋণকে টাকার অঙ্কে নয়, আন্তরিকতার মানদ-ে দেখা ভাল। কিন্তু খবরটি পেয়েই আমাদের প্রতিনিধি দলেরই একজন আগাম মন্তব্য করলেন_কাল সকালে বাংলাদেশের আমার দেশ বা নয়া দিগন্তে শীর্ষ শিরোনাম দেখবেন_৭ হাজার কোটি টাকায় দেশ বিক্রি! কেউ একজন রসিকতা করে বললেন, হিসেবে করে দেখ তো আমাদের ভাগে কত পাওয়া যায়।
আমি স্মরণ করতে পারি, বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ড. আফতাব আহমেদ মনে করতেন যে, ভারত বাংলাদেশ দখল করে রয়েছে। এমনকি চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আফতাব এই কথা বলত।
আমি একবার তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, যদি তেমনটাই হয়, তবে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার দেশটাকে ভারতের হাত থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছে না কেন? আমি আফতাবকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমি তো শারিরীকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বে বাস করছি না_তুই কিভাবে বলছিস, ভারত বাংলাদেশ দখল করে রেখেছে। আফতাব তখন বলত, আজকালের দুনিয়াতে আর্মি দিয়ে দেশ দখল করতে হয় না। আমি আফতাবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললাম, তাহলে তোর সেই তথাকথিত জাতীয়তাবাদী বেগম জিয়া কেন সেই চক্রেই পা ফেলছে। তিনি কেন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছেন? তিনি কেন ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করছেন না? আফতার এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার আগেই তারই প্রিয় সরকারের আমলে সম্ভবত তার প্রিয় কোন মানুষেরই নির্দেশে নিজ বাড়িতে খুন হয়। তবুও আমি ভেবেছিলাম যে নির্বাচনের পরে বিএনপি, জামায়াত বা চারদলীয় জোটের নিশ্চয়ই কিছু উন্নতি হয়েছে।
ভারতে যাওয়ার আগেরদিন বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সাফল্য কামনা করায় একটু আশাবাদী হয়েছিলাম। ফলে বাংলাদেশের মাটিতে পা দেয়ার আগে পর্যন্ত এটি বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে, সত্যি সত্যি ভারত কার্ড আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু ১৪ জানুয়ারিতেই টের পেলাম যে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। বেগম জিয়া চিরাচরিত নিয়মে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করার হাস্যকর অজুহাত দাঁড় করালেন। তখন মনে হয়েছিল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি ঘরানা তাদের অতি আরাধ্য ভারত কার্ড হাতে পেয়েছে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দেশের প্রধানমন্ত্রী গত ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ভারত সফরকালে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতি আবার ভারতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে শুরু করেছিল। বিএনপি ঘরানা এই কার্ডটি ব্যবহার করার জন্য সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছিল। বলা হচ্ছিল, তাদের এই অবস্থানটি নাকি কঠোর হবে।
আমার নিজের কিন্তু তা মনে হয়নি। বিএনপি তেমন কঠোর কর্মসূচি দেয়ার মতো অবস্থায় ছিল বলে আমার মনে হয় না।
যদিও ১৫ জানুয়ারি ২০১০ শুক্রবার জুমার নামাযের পরে বিএনপির বন্ধুরা বিক্ষোভ করেছে এবং হরতাল, বিক্ষোভ বা জনসভার ঘোষণা আসতেই পারত, তথাপি বিএনপি এখনও ভারতবিরোধিতার পালে তেমন বাতাস পায়নি। ২২ জানুয়ারিতেই জুম্মার নামাযের শেষে আগের সপ্তাহের মতো অবস্থা থাকেনি। অন্য কোন সময় হলে (বিএনপির কোমরে যদি তেমন তা কত থাকত) শেখ হাসিনা যেদিন দেশে ফিরেছেন সেদিন ১৩ জানুয়ারি ২০১০ হরতাল ডাকা হতে পারত। হতে পারত, সেদিনই দেশব্যাপী বিক্ষোভ। এমনকি লাগাতার হরতাল-ধর্মঘট-বিক্ষোভ আয়োজন করার কথা তারা বলতে পারত।
তারা যখন বলে যে, হাসিনা দেশটিকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, তখন তাদের দায়িত্ব ছিল নিদেন পক্ষে 'দেশটি বিক্রি থেকে রক্ষা করার জন্য' লাগাতার হরতালের ডাক দেয়া। কিন্তু অনুভব করা যায়, বড় বড় কথা বললেও সরকারের গায়ে অাঁচড় কাটার মতো বা দেশ কাঁপানোর মতো তেমন কোন কঠোর কর্মসূচি দেয়ার মতো অবস্থানে বিএনপি এবং তাদের সহযোগীরা এখন নেই। বরং হাসিনা দেশে ফেরার ৪৮ ঘণ্টা পরে জানা গেল, বিএনপি এখন সমমনা দল খুঁজছে। সমমনার হিসাব-নিকাশ ভাল হলে তারা তাদের ভাষায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারত। কিন্তু বেগম জিয়া সেই কর্মসূচি ঘোষণা করেননি।
সম্ভবত আর কোন কর্মসূচি প্রদানের মতো অবস্থাও তার হবে না।
সাম্প্রতিককালে আমরা জেনেছি যে, বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দাসংস্থাসহ সরকার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছে। উলফার জন্য দশ ট্রাক অস্ত্র আনা, বাংলাদেশে উলফার ঘাটি রাখা এবং উলফাকে সব প্রকারের রাষ্ট্রীয় সহায়তা প্রদান করার বিষয়গুলো বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শাসনের বড় বড় মাইলফলক। গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের সঙ্গে উলফার কারাবন্দি নেতা অনুপ চেটিয়ার দেখা করিয়ে দেয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যে বাংলাদেশে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং তাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য যে ভারতে জঙ্গি হামলা করান ছিল, সেটি কোন নতুন খবর নয়।
পঁচাত্তর থেকে মাঝখানে মাত্র পাঁচ বছর বাদে পুরো সময়টাই ভারত পরোক্ষে বাংলাদেশে পাকিস্তানকে লড়াই করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিও কার্যত ভারত আর পাকিস্তানকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। পাকিস্তান যেহেতু আমাদের সীমান্তবর্তী নয় এবং যেহেতু পাকিস্তানের মানুষরা মুসলমান সেহেতু বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনীতিতে বিরোধিতার ছকটি আবর্তিত হয়েছে ভারতকে ঘিরে। পাকিস্তানি শাসকরা সামরিক শাসন জারি করত ভারতকে পুঁজি করে। বাংলাদেশের শাসকরাও একই কাজ করেছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফকে ভারতপন্থি বা ভারতীয় দালাল বলে চিহ্নিত করা হয়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা ভারতবিরোধী রাজনীতিকদের নির্ভর করেই তাদের দল ও রাজনীতি গড়ে তুলেন। এসব দলের প্রধান উপজীব্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, ইসলাম গেল এবং ভারত বাংলাদেশ দখল করে নিল এসব প্রচারণা। সেসব প্রচারণা এখনও তেমন সক্রিয় আছে। এবার হাসিনা ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার পর বিএনপি ঘরানার কোন কোন ব্যক্তি এমন বলেছেন যে, এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী এদেশে আসবে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর বেগম জিয়া বলেছিলেন ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। বিএনপি ও এরশাদের আমলে ভারতের সঙ্গে আমাদের সর্বোচ্চ বাণিজ্য হলেও এই দু'টি দল বরাবরই ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট প্রদান নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে। অসম বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোন ধরনের উদ্যোগ না নিয়েই এই দলগুলো সুযোগ পেলেই সব দোষ ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।
এসব কারণে ভারত এক ধরনের অস্বস্তির মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ফলে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক ভাল হওয়ার বদলে দিনে দিনে আরও খারাপ হয়েছে।
দিনে দিনে সমস্যার পাহাড় জমেছে। অবিশ্বাস আর সন্দেহে ভারত সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের জন্য সঙ্কট তৈরি করতে পিছপা হয় না। বাংলাদেশের সরকার, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা অন্য বাহিনীগুলো এমন ভাব দেখায় যে, আমরা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে যাব। এর ফলে বারবার সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার বরাবরই ভারতের সঙ্গে কেবল সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেনি বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস গড়ে তুলে দুদেশের সঙ্কটগুলোকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে। এবার শেখ হাসিনা ভারত যাওয়ার আগেই ভারতীয় ও বাংলাদেশের মিডিয়া বলেই যাচ্ছিল যে, ভারত এবার বাংলাদেশকে সব রকমের সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। আমরা ভারতের মাটিতে পা রেখেই টের পাচ্ছিলাম, ভারত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা একটি মর্যাদার আসন তৈরি করে রেখেছে।
তবে আমরা এটাও ভেবেছিলাম যে ভারতের সঙ্গে হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্য যতই মর্যাদার হোক বেগম জিয়া কোন ভাবেই তাকে সহজভাবে নেবেনা। সেই রীতিতেই বেগম সাহেবার রাজনীতি চলছিল।
কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিক্রি কের দেয়া হয়েছে বলার পর দেখা গেছে যে দেশের মানুষ তার সেই অপপ্রচারকে আর আমলে নিচ্ছে না। সম্ভবত সেটি টের পাওয়ার পরই বেগম জিয়া চুপ হয়ে গেছেন_বিকল হয়ে গেছে তার এন্টি-ইন্ডিয়া কার্ড। আমরা জানি না, বেগম সাহেবা এই মেয়াদোত্তীর্ণ কার্ডটি দিয়ে ভবিষ্যতে রাজনীতির আর কোন কেনাবেচা করতে পারবেন কি না।
[মোস্তাফা জব্বার লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ঔপন্যাসিক, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, কম্পিউটার বিষয়ক বইপত্র ও নিবন্ধের লেখক ও কলামিস্ট এবং বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।