আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভক্তি



সুলতান মাহমুদের আয়াজ নামে একজন গোলাম ছিলেন। আয়াজ সুলতান কে খুব ভালোবাসতেন, সুলতানও আয়াজকে পছন্দ করতনে। এমনকি রাজকার্য পরিচালনায়ও আয়াজের পরামর্শ নিতেন। এতে করে অনেক সভাসদ সুলতাননের উপর নাখোশ হন। সুলতান এটি বুঝতে পেরে আয়াজের অবস্থান তাদের কাছে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিলেন।

সুলতান তার মহামূল্যবান কহিনুর পাথরটিকে হাতুড়ি দিয়ে সভাসদদের ভাংতে বললেন। কিন্তু সভাসদরা হতভম্ভ হয়ে গেলেন এবং মনে মনে ভাবতে লাগলেন সুলতান পাগর হয়ে যাচ্ছেন কি ? সুলতান আয়াজ কে নির্দেশ দিলেন, আয়াজ বিনা দ্বিধায় হাতুড়ির আঘাতে গুড়িয়ে দেলো হিরক খন্ড। সুলতান আয়াজকে বল্লেন - আয়াজ তুমি আমার এত প্রিয় হিরক খন্ডটি ভেঙ্গে ফেললে? আয়াজ কাতর স্বরে জবাব দিলো, হুজুর ক্ষমা করে দিন, সাংঘাতিক ভুল হয়ে গেছে। আয়াজ নিজের দোষ স্বিকার করেছে বা দোষ কাঁধে তুলে নিয়েছে। কিন্তু একথা বলেনি যে আপনার আদেশেই এ কাজ করেছি।

আয়াজের কথার মর্মার্থ বুঝতে পেরে সুলতান চিৎকার করে বলে উঠলেন , শুন সভাসদগণ যদি শরিয়তের বিধান ভংগ না হতো তবে আমি আদেশ দিতাম আমাকে আর আয়াজকে একই কবরে দাফন করার। বেশ কিছু দিন পর সুলতান অসুস্থ হয়ে পড়লেন, চিকিৎসকরা জানালেন সুলতান আর বেশী দিন বাঁচবেন না। একথা শুনে আয়াজ কাঁদতে কাঁদতে ২ দিনের মধ্যেই মারা যায়। আয়াজের মিত্যুর কথা শুনে সুলতানও পরের দিন মারা গেলেন। সুলতানের অছিয়ত অনুযায়ী আয়াজকে তাঁর পাশেই দাফন করা হয়।

অসাধারণ 'ভক্তি'। অনেকেই জানেন, তারপরও শেয়ার করলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।