আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষ থেকে নারী হলেন গাইবান্ধার আশরাফি



গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কিশামত দশলিয়া গ্রামে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর হওয়া আশরাফি আক্তার রিতা জানিয়েছেন আগামীতে সুন্দর মা হবার ইচ্ছা রয়েছে তার। বাকী জীবনটা স্বামী সংসার নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে কাটাতে চান। তিনি জানান বাড়ির বাইরে বেরুতে ভষিন লজ্জা লাগে। রাস্তার মানুষরা তার দিকে লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে। যা খারাপ লাগে তার।

সম্প্রতি আশরাফুল ইসলাম রিফুল পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর হয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। এখন তার নাম আশরাফি আক্তার রিতা। একদিন এই আশরাফুল ইসলাম রিফুল বর সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম ওরফে রিফুলের পিতার নাম মৃত সোলায়মান আকন্দ ছিলেন একজন কৃষক। মা মৃত খোতেজা খাতুন গৃহিনী।

দুই ভাই চার বোনের মধ্যে আশরাফুল সবার ছোট। বড় বোন শেফালি, লতিফা, ফাতেমা ও রেহেনা খাতুনের বিয়ে হয়েছে। ভাই রফিকুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। আশরাফুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার নিয়ামত নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। ১৯৯১ সালে ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়।

মৃত্যু পথযাত্রী মার শেষ ইচ্ছা পুরনে আশরাফুল ১৯৯১ সালে ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের জান্নাতি’র সাথে তার বিয়েও হয়। বিয়ের দু’মাস পর আশরাফুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আশরাফুল থেকে রূপান্তর আশরাফি জানায়, এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কয়েক মাস আগে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। প্রাথমিক অবস্থায় মেয়েদের মত চলাফেরা, কথাবার্তা, রূপ সজ্জা, খাবার-দাবার খেতে ভাল লাগে। জানতাম আমি পুরুষ মানুষ।

অথচ ছেলেদের সাথে কথা বলতে খুব ভাল লাগতো। ২০০৬ সালের শেষের দিকে হঠাৎ মেয়েদের মতো সবকিছু শুরু হয়। তারপর নারীতে রূপান্তর হবো এটা নিশ্চিত হই। তখন মাথার চুল কাটা বন্ধ করি। ২০০৯ সালের প্রথমদিকে নাক ফুঁড়িয়ে স্বর্ণের জিনিস ব্যবহার করতে শুরু করি।

গত বছরের নভেম্বর মাসে কান ফুঁরিয়ে স্বর্ণের দুল পড়ি। দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ভোটার তালিকায় তার নাম আশরাফুল ইসলাম রিফুল হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। গত বছরের ১৫ নভেম্বর গাইবান্ধা নোটারী পাবলিকে এফিডেভিট করে নাম পরিবর্তন করে আশরাফুল স্থানে আশরাফি করা হয়। তখনই হৈ চৈ পড়ে যায়। ওই দিনই (১৫ নভেম্বর) এফিডেভিটের মাধ্যমে আশরাফি তার আত্মীয় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে বাবলু সরদারকে (৪৩) বিয়ে করে।

১৮ নভেম্বর ৩ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে কাজীর মাধ্যমেও তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়। তার স্বামী মিজানুর রহমান বিএ পাশ করে ১৯৯৫ সালে সর্বানন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করছেন। তিনি জানান তারা দুজন এখন ঘর-সংসার নিযে ভীষন ব্যস্ত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.