ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
এই ব্লগের একজন সার্বক্ষণিক পাঠক হিসেবে আমি এটা বুঝতে পারি যে অনেক ব্লগারই পত্রিকার সাথে যুক্ত। তাই তারা হয়তো বিষয়টা আমার চেয়ে বেশী ভাল বলতে পারবেন।
এই সময়ে দেশে পত্রিকার সংখ্যা অনেক ।
দেশের আনাচে-কানাচে বের হচ্ছে শত শত দৈনিক, সাপ্তাহিক আর মাসিক পত্রিকা। মাঝে মাঝে মনে হয় পাঠকের চেয়ে পত্রিকা বেশী। টিভি দর্শকের চেয়ে টিভি চ্যানেল বেশী।
একটা কথা না বললেই নয় যে, সব গুলো পত্রিকাই দলীয় দোষে দুষ্ট। কোন আওয়ামী, কোনটা জাতীয়তাবাদী।
আবার কোনটা জামাতী। দল বিহীন পত্রিকা আর নেই।
তবে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে একটা পরিবর্তন এসেছে। যদিও সংখ্যাটা আমার মনে হয় খুব বেশী নয়। তারপরও বিষয়টি জাতির জন্য অনেক ভাল।
তা হল: তারা কোন পার্টিকে অন্ধভাবে সমর্থন করে না বলে যে কোন দলের চিরদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়। তাদের কারণেই ক্ষমতায় দল বদল হয়।
একারণে একটি পত্রিকা অন্তত থাকা উচিত যা হবে দল নিরপেক্ষ। যদিও সেটা হওয়া সম্ভব খুবই কম ক্ষেত্রে। কারণ সাংবাদিকরা তো অনেক আগেই ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী আর জাতীয়তাবাদী হয়ে গেছেন।
সেটা না হলে একটা ভাল পত্রিকা অবশ্যই পেতে পারতাম যার মালিক, সম্পাদক প্রকাশক সবই হবেন সাংবাদিকরা।
দৈনিক বাংলা যখন বিলুপ্ত হয় তখন এটা বিলুপ্ত না করে সাংবাদিকরা এটা কিনে নিতে পারতেন। তারা নিরপেক্ষ হলে মানুষ অন্তত একটা পত্রিকা পেতে পারত দলবাজি মুক্ত। এখনো কি এমন একটা কিছু হতে পারে না?
কোন উপায় নেই বলেই অনেক মানুষ আজ দলবাজি সমৃদ্ধ মুখপত্রগুলো টাকা দিয়ে কিনে পড়তে বাধ্য হয়।
সবাই দলীয় আনুকুল্য পেতে চায়।
কি ছাত্র, কি শিক্ষক, কি মাস্তান, কি পেশাজীবী কেউ আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির বাইরে থাকতে চায় না। দেশটা দলবাজিতে ভরে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।