অধিকাংশ সংসদীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয় না' শিরোনামে আজকের প্রথম আলো (০৯-০৮-১০ইং) প্রথম পৃষ্ঠায় খবর পরিবেশন করেছে। গঠিত ৩৬টি কমিটির মধ্যে ২৫ টি-ই নিয়মিত সভা করে নি। পিটিশন কমিটি সহ বেশ কয়েকটি কমিটি ত সভাই করছে না। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে সংসদ কমিটিগুলোর মধ্যে পিটিশন, বিশেষ অধিকার-সম্পর্কিত ও কার্যপ্রণালী-বিধি-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি গত ১৬ মাসে একটি বৈঠকও করে নি। এই তিনটি কমিটিরই সভাপতি পদাধিকারবলে স্পীকার।
তদুপরি সংসদীয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিরোধ গ্রাম্য-রাজনীতির রূপ নিচ্ছে। আজ পর্যন্ত কোন কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনরূপ দুর্নীতি সংসদে তুলে ধরতে পারে নি। আবার অন্য দিকে কোন কোন মন্ত্রণালয় বিশেষ করে বিমান মন্ত্রণালয় তাদের দুর্নীতি ফাঁস হবার ভয়ে সংসদীয় কমিটি-কে দুর্নীতি তদন্ত করতে সহায়তা পর্যন্ত করে নি। সেক্ষেত্রে উচিত ছিল বিমানের সবকটা কর্মকর্তা ও কর্মচারী-কে ঘাড় ধরে সেখান থেকে বের করে দেওয়া যা আজও করা হয় নি। তবে কি বখরা কিছু পড়েছে কমিটির পকেটে ? তারপর সরকারকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে ভুমি ও আবাসন ব্যবসায়ী দিয়ে গঠিত গণপূর্ত সংসদীয় কমিটি কোনদিনই সঠিক কাজ করতে পারবে না।
ঐ কমিটি থেকে অবিলম্বে নসরুল হামিদ ও এনামুল হক-কে সরিয়ে দিয়ে নতুন সাংসদকে আনা সময়ের প্রয়োজন। অপরদিকে ঠিকাদার দিয়ে গঠিত যোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি-র অবস্থাও তথৈবচ। ঠিকাদার তার নিজের লাভ ছাড়া অন্যের স্বার্থ কক্ষণো দেখে না সেখানে সে দেশের স্বার্থ কি করে উপলব্ধি করবে ? ঐ কমিটি থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ও ওমর ফারুক চৌধুরীকে সরিয়ে নতুন সাংসদ আনা হোক। নৌ পরিবহন কমিটির সদস্য লঞ্চ ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া-কে সরিয়ে নতুন সাংসদকে আনা হোক। উপরোক্ত নসরুল হামিদ ইমারত নির্মাণ ও জমি কেনা-বেচার কাজ করেন।
ব্যক্তিগতভাবে তিনি হামিদ রিয়েল এস্টেটের মালিক। তিনি আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবেরও সভাপতি। আর এনামুল হক এনা প্রপার্টিজ লিমিটেডের মালিক। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংসদীয় কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্তি সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির পরিপন্থী। কার্যপ্রণালী বিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী কমিটিতে সাংসদের আর্থিক, প্রত্যক্ষ ও ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচিত হতে পারে - এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সাংসদকে কমিটির সদস্য করা যায় না।
সুতরাং এ ধরণের কার্যপ্রণালী বিধি-কে কচুপাতা মনে করে যিনি এ ধরণের জগাখিচুড়ি-সম্পন্ন কমিটি তৈরী করেছেন, তাকেও উপযুক্ত জবাবদিহি দিতে হবে। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলকে নিয়ে গঠিত কমিটিগুলোর ব্যাপারেও। এগুলোকে অবিলম্বে নতুনভাবে সাজানো না গেলে দেশ ও জাতি তাদের নির্বাচিত সাংসদদের কাছ থেকে কোনভাবেই উপকার পাওয়ার আশা করতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।