ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
আবাসিক গ্যাস-গ্রাহকেরা জানুয়ারি থেকে প্রিপেইড মিটার পাবে, শিল্পকারখানায় কেন মিটার দেয়া হবে না?
অপচয় কি খালি বাসায়ই হয়? শিল্পকারখানা কি অপচয় করে না? আমি তো শুনেছি তারা প্রচুর গ্যাস ফাউ ব্যবহার করে। বিনিময়ে তিতাসের অসত কর্মকর্তার টাকা কামায়।
দেশের এক জন নাগরিক হিসাবে চাই গ্যাসের অপচয় বন্ধ হোক।
আবাসিক ও শিল্পকারাখানা সব জায়গায় মিটার দেয়া হোক।
গ্যাস এক সময় ফুরিয়ে গেলে তখন কেদেও কোন লাভ হবে না।
গ্যাসের অপচয় বন্ধ করার জন্য সব আবাসিক গ্রাহককে আগামী জানুয়ারি থেকে প্রিপেইড মিটারের সংযোগ দেওয়া হবে। প্রথমে রাজধানী ঢাকার ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪৮২ জন আবাসিক গ্রাহককে এই মিটার দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ মিটার দেওয়া হবে।
দেশব্যাপী এই মিটার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (টিজিটিডিসিএল) সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চুক্তি হয়েছে। বুয়েটের পরিকল্পনা ও নকশা অনুসারে এসব প্রিপেইড মিটার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চুক্তি অনুসারে নতুন প্রিপেইড মিটার লাগানোর পাশাপাশি পুরোনো প্রিপেইড মিটারের কার্যকরতা নিরীক্ষা করে দেখা হবে। এর আগে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তিতাস কোম্পানি বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রায় তিন হাজার প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করেছিল। মিটারগুলো মানসম্মত না হওয়ায় গ্রাহকেরা ভোগান্তিতে পড়ে।
পরে এগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এবার তাই বুয়েটের তত্ত্বাবধানে এসব মিটার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এবার প্রথম পর্যায়ে ধানমন্ডি এবং লালমাটিয়া এলাকায় পাঁচ হাজার মিটার দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকায় মিটার দেওয়া হবে। রাজধানীর পর সারা দেশের সব আবাসিক গ্যাস সংযোগে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হবে।
বর্তমানে সারা দেশে ২২ লাখ ১২ হাজার ৩১০টি আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা মিটারগুলো ভালো ছিল না।
জানা গেছে, দেশের আবাসিক গ্যাস সংযোগে প্রতিদিন ২৩৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহূত হচ্ছে। আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ করা গেলে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ ২০০ ঘনফুটে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
(সূত্র: প্রথম আলো)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।