বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে তিন পক্ষের প্রতিনিধিরা সমঝোতায় সই করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইএসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান স্মারকে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী এই তিন প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে তহবিলটির তদারকি করবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ মে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকে তিন কিস্তিতে ৯০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিলটি পরিচালনার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবি যৌথভাবে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করে, যা গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যেসব বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন।
সুবিধা বলতে বোঝানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর নেয়া ঋণের সুদের ৫০ শতাংশ মওকুফ করা হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সুদ ও আসল একটি সুদবিহীন ব্লক অ্যাকাউন্টে রেখে তাদের নতুন ঋণ দেয়া হবে, যার সুদ হার হবে সর্বোচ্চ নয় শতাংশ।
নতুন ঋণের অর্থ বিনিয়োগকারীকে তিন মাসের কিস্তিতে তিন বছরে পরিশোধ করতে হবে। তাতে ওইসব হিসাব থেকে বিনিয়োগকারীরা আবার পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে পারবে।
ঋণ পুনঃতফসিল বা নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা স্টকব্রোকার দাতা-গ্রাহক সম্পর্কের আলোকে কেস-টু-কেসকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারের কাছে আবেদন করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের থেকে সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন না।
তবে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকার তাদের কোনো গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়ার পর ঋণ পুনঃতফসিল করে তার দালিলিক প্রমাণ দিয়ে ওই গ্রাহককে দেওয়া সুবিধার জন্য আইসিবি থেকে ঋণ নিতে পারবে।
এসব আবেদন আইসিবির কাছে উপস্থাপন করবে মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা স্টক ব্রোকার।
আইসিবির ঋণ মঞ্জুরি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ মঞ্জুর করবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা আইসিবির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবে বলে আশা করছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাড় করার পরপরই মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারগুলো থেকে আবেদন নেয়া শুরু হবে।
এবিষয়ে এস এম মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিবিকে এই তহবিলের অর্থ দেবে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার জন্য আইসিবির কাছে আবেদন করবে।
আইসিবি আবেদন যাচাই-বাছাই করে দ্রুততার সাথে ছাড় করবে। ”
নীতিমালা অনুযায়ী, এই তহবিলের মেয়াদ হবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ বিতরণের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে প্রতি তিন মাস পরপর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে আইসিবিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।