যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
১. এক মহীয়সী সাচিকো হাশিদার কথা
ছবির দুজন হলেন শিরোনামের সাচিকো আর তাঁর স্বামী শিনসুকে হাশিদা; হাশিদা নামেই পরিচিত। হাশিদা একজন জাপানী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আরো ভেঙে বললে মূলতঃ যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ে ফ্রিল্যান্স রিপোর্টে আগ্রহ তাঁর, ছিলো; এখন নেই, কারণ তিনি নেই, ওপারে চলে গেছেন।
২০০৩ এর মার্চে যখন পুরো পৃথিবীকে "জোর যার মুল্লুক তার" শ্লোকটি বারবার মনে করিয়ে দিয়ে মার্কিন সরকার ইরাকে অসভ্য আক্রমণ করে বসে, তখন হাশিদা দেশে বসে থাকতে পারেননি। সাংবাদিকের রক্ত, তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে কখনও বাগদাদে, কখনও বসরায়, কখনও সামাওয়ায় -- যুদ্ধ যেখানে হয়েছে, মানবতা যেখানে আক্রান্ত হয়েছে, সব জায়গাতেই। শুরু থেকেই এই আক্রমণের বিরুদ্ধই তাঁর কলম চলছিলো, সেজন্যই হয়তো তাঁকে ঘুরতে হয়েছে পথে পথে, সংগ্রহ করতে হয়েছে সত্যকে, কলম আর ক্যামেরার মাধ্যমে।
এমনি কোন পথের বাঁকে কাঁদতে থাকা অবস্থায়, অথবা হয়তো কোন হাসপাতালের বেডে অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকা অবস্থাতেই হাশিদা আবিস্কার করেছিলেন দশ বছর বয়েসী মোহাম্মাদকে।
মোহাম্মদ দশ বছরের এক নিষ্পাপ বাচ্চা, যার চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। অসভ্য মধ্যযুগের সাথে আধুনিক সভ্যযুগের একটা পার্থক্য হলো, যুদ্ধক্ষেত্রে এখন আহত বা নিহত সৈনিকের চেয়ে অনেক বেশী দেখা যায় অসহায় নিরূপায় শিশুদের, যাদের কারো হাত উড়ে গেছে, কারো নাকমুখ ঝলসে গেছে, কারো একটা চোখের কোটর ফাঁকা! মোহাম্মদের কি অবস্থা ছিলো আমরা জানিনা, জানা যায়নি অথবা মিডিয়া জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি, তবে হাশিদা চুপ থাকতে পারেননি-- এটুকু নির্দ্বিধায় বলতে পারি। তাঁর মনে হয়েছিলো এই ছেলেটিকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতেই হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি মোহাম্মদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জাপান যাবার টিকেটের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেই টিকেট তুলেও দিয়েছিলেন মোহাম্মদের হাতে। এখন শুধু ডাক্তারের এ্যাপয়ন্টমেন্ট আর ভিসা-পাসপোর্টের ফর্মালিটিজ বাকী, তাহলেই মোহাম্মদের চোখ ভালো হয়ে যাবে।
ঠিক সেরকম সময়েই, ২০০৪ সালের মে মাসে একদিন হাশিদার স্ত্রী সাচিকোর কাছে একটি ফোন আসে, জানানো হয়, বাগদাদের কাছেপিঠেই কোন এক এলাকায় ইরাকী গেরিলাদের রকেট লাঞ্চারের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে হাশিদা শিনসুকের গাড়ী, ভাতিজা ওগাওয়া আর দোভাষী আরেক মুহাম্মাদসহ তিনজনই মারা গেছেন সাথেসাথেই! "অভাগা মোহাম্মদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবার শেষ আশাটা বোধহয় গেলো!" -- হাশিদার মৃত্যুর খবর পেয়ে মোহাম্মদের অভিভাবকের (যদি কেউ থেকে থাকে) এরকমই ভাবার কথা। তবে ভাগ্য সবসময় এতটা নির্দয় হয়না হয়তো। কারণ, যে ফোনে হাশিদার মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁর স্ত্রীকে, সেই একই ফোনে তাঁকে এও জানানো হয় যে মৃত্যুর আগে আগে হাশিদা যে কথাগুলো রেখে গেছেন তাঁর স্ত্রীর জন্য তাদের একটি হলো, ইরাকী সেই দশ বছরের ছেলে মোহাম্মদের চোখের চিকিৎসাটা যেন জাপানে ঠিক মতো করানো হয়।
স্বামীর নিরপরাধ মৃত্যুতে সাচিকো নিশ্চয়ই পাথর হয়েছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারেননি, হয়তো এখনও পারেননা যে, যে ইরাকীদের জন্য হাশিদা ছুটে গেছিলেন, যে ইরাকীদের পক্ষে নানান ভীতিকে জয় করে জাপানী মিডিয়ায় মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ ছিলেন হাশিদা সবসময়, সেই ইরাকীরা কিভাবে তাঁর স্বামীকে হত্যা করতে পারলো!! কি কঠিন পরিমাণ রাগ সাচিকোর হবার কথা তা হয়তো তাঁর অবস্থানে না থাকলে কখনই বোঝানো যাবেনা। কিন্তু স্বামীর সাথে অন্তরের অদ্ভুত যে যোগাযোগ ছিলো তাঁর, তা থেকে তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন ক্ষমতাহীন আর ক্ষমতাবানের লড়াইয়ের সমীকরণ।
তাই রাগ করে থাকতে পারেননি সাচিকো, চিৎকার করে অসভ্য ইরাকী গেরিলাদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারার দাবীও করেননি এই মহাত্মা নারী।
তবে হাশিদা শিনসুকের স্ত্রী, হাশিদা সাচিকো, স্বামীর মৃত্যস্থান ইরাকে গিয়েছিলেন একবার ঠিকই; না, কোন প্রতিশোধ নিতে না, অভিশাপ দিতেও না, শুধুই খুঁজে বের করতে মোহাম্মদকে, সেই দশবছর বয়েসী হতভাগা ছেলেটিকে, এবং বাস্তবে খুঁজেও বের করেন তিনি! জাপানে নিয়ে আসেন মোহাম্মদকে, নিজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করিয়ে তার চোখ ভালো করান; যারা বিনা কারনে বিনা অপরাধে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে মাত্র ক'মাস আগে তাদেরই এক বংশধরকে তিনি মায়ের স্নেহে আদর করেন, মাথায় হাত বুলান বারবার; বুকে জড়িয়ে ধরে বিদায় দেন সুস্থ্য মোহাম্মদকে। সে দৃশ্য টেলিভিশনের কল্যাণে দেখার সৌভাগ্য হয় আমার -- নিঃসন্দেহে এ জীবনে আমার দেখা সুন্দরতম দৃশ্য।
২. সাচিকো একা নন
তবে সাচিকো একা নন। মহৎ হৃদয়ের মানুষ জগতে কম না, জাতিতে জাতিতে সাচিকোরা আছেন যারা প্রতিহিংসাকে ছাপিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করতে পারেন।
যারা ক্ষমতাবানের আর ক্ষমতাহীনের সমীকরণটা বোঝেন, এবং নৈতিক কারণেই কখনও সেটাকে উপেক্ষা করতে পারেননা।
যথাযথ তথ্যের অভাবে নামধাম দিতে পারছিনা, তবে এরকম আরেকটি উদাহরণ হলেন একজন মা, এক মার্কিন মহিলা, যাঁর সন্তান মারা গিয়েছিলো ৯/১১ এর জঙ্গী হামলায়। সে ছুতোয় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করার বেশ কিছুদিন পরে এই মা গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে, পত্রিকায় অসহায় আফগানদের কালো কালো মৃয়মান মুখগুলোর মাঝে কি নিজের হারিয়ে যাওয়া পুত্রকে দেখতে পেয়েছিলেন এই মা? নাকি তিনি বুঝেছিলেন যে, তাঁর নিজের সন্তানটি সেই সেপ্টেম্বর ১১ এর সকালে মৃত্যুর আগে যেরকম নিরূপায় বোধ করছিলো, সেই একই রকম নিরূপায় বোধ করছে আফগানিস্তানে থাকা লাখ-লাখ কোটি-কোটি লোক, শুধু একটি সকাল জুড়ে না, দিনের পর দিন! আফগানিস্তান ভ্রমন শেষে তাই দেশে ফিরে এসে এই মহীয়সী মা বসে থাকতে পারেননি, চোখের জল আর অবাধ্য শোককে ছাপিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তোলেন অসহায় আফগানদের সহায়তার পক্ষে, এবং অন্যায় আফগানিস্তান আক্রমণের বিরুদ্ধে!
একই কাজ করেছেন আরেকজন পিতা, জাপানী এই ভদ্রলোকের ছেলেটিও কপালের ফেরে ঘুরতে গিয়েছিলেন আমেরিকায় সেই ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে, ৯/১১ এর হামলার কারণে ফিরে আসতে পারেননি। পুত্র হারানো বাবা গেলেন আফগানিস্তানে, ছেলের খুনীদের সম্পর্কে নানারকম কথা শুনেছেন, তাদের নিজচোখে দেখে আসতে গেলেন। গিয়ে দেখলেন জীর্ণ শীর্ণ খুনিদের বংশধরেরা, অসহায় চোখে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
ছেলে হত্যার প্রতিশোধ নেবেন কোথায়, শুরু করে দিলেন আফগানিস্তানে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। এখনও সম্ভবতঃ সেখানেই আছেন, যারা তাঁর সন্তানকে মারার আয়োজনে ছিলো বলে তিনি জানেন, তাদের দেশের মানুষের পাশে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন, হাতে হাত রেখে কাজ শুরু করলেন কোন কারণে -- ব্যাখ্যা না করতে পারলেও আমরা উপলব্ধি করতে পারি তা।
হাশিদা সাচিকো বা এই আমেরিকান মা অথবা জাপানী বাবার কথা শুনে, এবং এরকম মানুষ যে জগতে আরো অনেক আছেন সেই অনুমান থেকে আমরা কেবল বুঝি, মানবতা শেষ হয়ে যায়নি, যায়না, বরং এঁদের হাত ধরে দ্বিগুণ, তিনগুণ, হাজারগুণ শক্তি নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে বারবার।
বর্গীরা যতবার তাদের বর্বর অস্ত্র তাক করে আক্রমণ চালায়, এই মানুষেরা যেন ততবারই ভালোবাসার দেয়াল গড়ে সেটা ফিরিয়ে দেয়।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত সেনাপরিবারদের উদ্দেশ্যে
এত বড় ভূমিকার পর কি আহবান রাখতে চাই হয়তো না বললেও হয়তো বোঝা যাচ্ছে।
তাও বলতেই হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেনা অফিসারদের পরিবারবর্গের প্রতি বলছি, আমি জানি বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎ করে সম্পূর্ণ অন্যায় কারণে প্রিয়জনকে হারিয়ে আপনাদের যে কষ্টটা হচ্ছে সেটা অপূরণীয়; কোন কারণ ছাড়া এভাবে প্রিয়জনকে হারালে কি ধরনের কষ্ট, ঘৃণা, বিরক্তি জন্মাতে পারে খুনীদের ওপর, সেটা হয়তো আপনাদের অবস্থানে না থেকে পরিমাপ করা সম্ভব না। আপনাদের এই কষ্টের সাপেক্ষে আন্তরিক সহানুভূতি আর ঘটনার সঠিক তদন্টের মাধ্যমে মূল আসামীদের শাস্তির দাবী জানানোর চেয়ে বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
তবে, আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়ার আছে, একটিমাত্র বিশেষ অনুরোধ আছে। আপনারা হয়তো পত্রিকায় পড়ছেন, টিভির নিউজেও হয়তো দেখছেন, এমনকি লোকমুখেও জানতে পারছেন, আপনাদের মতোই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আরেকদল মানুষ, হয়তো একসাথে এতজন নয়, হয়তো ধীরে ধীরে, কিন্তু একই রকম কষ্টই, তার বর্ণ আলাদা নয়! আর ভনিতা করছিনা, বলেই ফেলি, আপনারা জানতে পারছেন যে একের পর এক বিডিআর যুবক "আত্মহত্যা" করেছে, সম্ভবতঃ সংখ্যাটা এখন পনেরোর কাছাকাছি; একইসাথে নিখোঁজ বিডিআর সদস্যদের সংখ্যা নিয়ে নানারকম তথ্যবিভ্রাট সম্পর্কেও আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন, জেনেছেন।
আমরা সিভিলিয়ান বা সাধারণ জনগন অথবা আপনারা, আমরা কেউই অবুঝ ন দুধের শিশুও নই। আমরা আপনারা, সবাইই খুব ভালোভাবেই জানি এইসব তথাকথিত আত্মহত্যা বা সংখ্যা বিড়ম্বনার আড়ালে আসলে কি ঘটছে, আমরা হয়তো মুখে উচ্চারণ করতে পারিনা বা ভয় পাই। তাও এই ক্ষণে মুখের আর অন্তরের নেকাব খুলে ফেলে স্বীকার করে নিই, যে রাষ্ট্রের প্রতি আমরা আনুগত্য স্বীকার করেছি, সেই রাষ্ট্র আজ আইনের কাঠামোর ভেতরে বসে মানব হত্যায় মেতেছে, আত্মহত্যার নামে একের পর এক বিডিআর যুবক হত্যা হচ্ছে এই রাষ্ট্রের বাহিনীর হাতে। যে কষ্টটা আপনারা ভোগ করেছেন সেই ২৫ শে ফেব্রুয়ারীর পর থেকে সেই কষ্টটা এখন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে একেকটি বিডিআর যুবকের পরিবারে। শুধু ছড়িয়েই পড়ছেনা, হতভাগা আফগান অথবা ইরাকীদের মৃত্যুর অপেক্ষার মতোই এই পরিবারগুলোর সদস্যরাও অপেক্ষা করে বসে আছেন কখন শুনতে পাবেন তাঁদের ছেলের, স্বামীর, ভাইয়ের অথবা বাবার "আত্মহত্যা"র সংবাদ।
সেই অপেক্ষারত শূণ্যদৃষ্টি আপনার আমার সবার অন্তর কাঁপিয়ে তুলবে, আমি নিশ্চিত, অন্ততঃ য্তক্ষণ আমাদের মাঝ থেকে মানবতা সম্পূর্ণ বিলোপ না হবে ততক্ষণ তো বটেই।
ক্ষমতাবান আর ক্ষমতাহীনের লড়াইয়ের এই সমীকরণ মার্কিন-আফগান-ইরাক আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী-বিডিআর যুবকদের বেলায় একই আচরণ করে, এখানে যেন ক্ষমতাবান দলের খেলোয়াড়েরা ক্ষমতাহীন দলের খেলোয়াড়দের হাত-পা বেঁধে মাঠে ফেলে রেখে অথবা গোলপোস্টের সাথে বেঁধে রেখে ইচ্ছে মতো একের পর এক গোল দিচ্ছে!! এ খেলা দেখে আমরা সাধারণ জনগণই স্থির থাকতে পারিনা, আর একই রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়া আপনাদের জন্য এই অত্যাচার কতটুকু অসহনীয় তা বুঝতে আমার কষ্ট হয়না।
এ প্রসঙ্গে সংক্ষেপে যে প্রশ্নটা রাখা যেতে পারে, তা হলো, আপনাদের প্রিয়জনদের সেই নির্বিচার হত্যার বিচারে যদি আসল ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা না পড়ে, শুধু প্রতিশোধের লালসায় যদি কয়েকশ বিডিআড় যুবকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ বিচারকাজ শেষ হয়, আপনারা শান্তি পাবেন? নির্বিচার হত্যার শিকার হয়ে যাঁরা চলে গেলেন তাঁরা কি পরপারে শান্তি পাবেন? একের পর এক আত্মহত্যা করে পরপারে যাওয়া বিডিআর যুবকদের দেখে তাঁরা কি ভাববেন?
আপনারা আজ অত্যাচারিত, আপনাদের কন্ঠে যে বজ্রনিনাদ উঠবে, আপনাদের একতা যে ঢেউয়ের সৃষ্টি করবে, তা আর কারু দ্বারা হবেনা। আপনারা যদি বিডিআর যুবকদের ঐ অন্যায় মৃত্যুর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন, আপনারা যদি প্রিয়জন হারানোর শোককে সত্যিকারের শক্তিতে রূপান্তরিত করে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হন যাতে আর কাউকে অযথা শোকাহত না হতে হয়, আমার বিশ্বাস আমাদের "মহান কর্তৃপক্ষ" সেটা শুনবেন, অথবা অন্তত এই দেশের আপামর জনগণকে আপনারা পরম ভালোবাসাসহ পাশে পাবেন, এটুকু তো বলতেই পারি।
আপনাদের কাছে আমার বিনীত আহবান, আসুন, একতাবদ্ধ হয়ে কন্ঠ তুলুন বিডিআর যুবকদের অন্যায় মৃত্যুর বিরুদ্ধে।
আর যেন একটিও অযথা প্রাণনাশ না হয়, ঘটনার বিচার যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় -- এসব দাবীর মাধ্যমে একটি মহতী সত্যের শুরু করতে পারেন আপনারাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।