ওই টাকা সোমবার বিকালে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা (বাংলাদেশ ব্যাংক) সরকারের পক্ষে আইসিবির বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল শাখায় খোলা অ্যাকাউন্টে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছি। ”
এখন নিয়ম অনুযায়ী আইসিবি এই তহবিল থেকে সংশ্লিষ্টদের ঋণ সরবরাহ করবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
তহবিল পরিচালনার বিষয়ে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইএসি) ও আইসিবির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এই তিন প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে তহবিলটি ‘তদারকি’ করবে।
গত ২৯ মে পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন কিস্তিতে নয়শো কোটি টাকার একটি তহবিল দেয়ার ঘোষণা দেয়। এই তহবিল পরিচালনায় সম্প্রতি ওই তিন প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যেসব বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন।
সুবিধা বলতে বোঝানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর নেয়া ঋণের সুদের ৫০ শতাংশ মওকুফ করা হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সুদ ও আসল একটি সুদবিহীন ব্লক অ্যাকাউন্টে রেখে তাদের নতুন ঋণ দেয়া হবে, যার সুদ হার হবে সর্বোচ্চ নয় শতাংশ।
নতুন ঋণের অর্থ বিনিয়োগকারীকে তিন মাসের কিস্তিতে তিন বছরে পরিশোধ করতে হবে। তাতে ওইসব হিসাব থেকে বিনিয়োগকারীরা আবার পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে পারবে।
ঋণ পুনঃতফসিল বা নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা স্টকব্রোকার দাতা-গ্রাহক সম্পর্কের আলোকে কেস-টু-কেসকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারের কাছে আবেদন করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের থেকে সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন না।
তবে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকার তাদের কোনো গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়ার পর ঋণ পুনঃতফসিল করে তার দালিলিক প্রমাণ দিয়ে ওই গ্রাহককে দেওয়া সুবিধার জন্য আইসিবি থেকে ঋণ নিতে পারবে।
এসব আবেদন আইসিবির কাছে উপস্থাপন করবে মার্চেন্ট ব্যাংক অথবা স্টক ব্রোকার। আইসিবির ঋণ মঞ্জুরি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ মঞ্জুর করবে।
এই তহবিলের মেয়াদ হবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ বিতরণের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে প্রতি তিন মাস পরপর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে আইসিবিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।