আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্রের শুভঙ্করের ফাঁকি - জোট-মহাজোট !

পাঠশালার ছাত্র এখনো

পৃথিবীজুড়ে গণতন্ত্রের জয়ধ্বণি। সর্বাধিক গণসমর্থন যেখানে, সেখানেই গণতন্ত্রের মূলপাঠ। কিন্তু এই গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায়ই রয়েছে মারাত্মক এক শুভঙ্করের ফাঁকি..... . . . . . . একটি কাল্পনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাবো আমরা এবার। যেখানে ক, খ, গ ও ঘ - এই ৪ জন প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দীতা করবেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১০০।

নির্বাচন শেষে ভোট গণনায় দেখা গেল 'ক' পেয়েছে ১০ ভোট, 'খ' পেয়েছে ২০ ভোট, 'গ' পেয়েছে ৩০ ভোট আর 'ঘ' পেয়েছে ৪০ ভোট। একটা বাচ্চা'র কাছে জিজ্ঞেস করুন- 'ভোটে কে বিজয়ী?' চিৎকার করে বলবে- 'ঘ'....ঘ.....ঘ....... এখানেই প্রশ্নের জন্ম। অধিক গণসমর্থন যে গণতন্ত্রের মূলকথা, সেখানে 'ঘ' মাত্র ৪০% ভোট নিয়ে বিজয়ী হলো। অথচ তাকে সমর্থন করেনি, এমন ভোটার ৬০%। যেখানে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অধিক ভোটের অবস্থান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিনি কিভাবে বিজয়ী হন? ছোট্ট সাধারন অথচ যৌক্তিক প্রশ্ন।

আমি করেছি। আপনিও করতেই পারেন। এই অসঙ্গতি টের পেয়ে পৃথিবীর কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশ তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ২য় পর্যায়ের নির্বাচনের ব্যবস্থা রেখেছে। যেখানে ১ম পর্যায়ের নির্বাচন শেষে সর্বোচ্চ ভোট গ্রহনকারী দুই শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দূর হয় অসঙ্গতি।

বিজয় হয় গণমানুষের গণতন্ত্রের...স্বচ্ছ চুলচেরা বিশ্লেষনে। কথা হচ্ছে- আমাদের দেশের খ্যাতনামা (!) রাজনীতিকরা এই অসঙ্গতি কি টের পাননি? হ্যাঁ, টের পেয়েছিলেন অনেক আগেই। তাইতো এসব ২য় পর্যায়ের মতো কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা উদ্ঘাটনে না গিয়ে এই ফাঁটলকে ভরাট করতে তারা উদ্ভাবন করেছেন ভিন্ন এক তরিকা- জোট, মহাজোট। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার মানসে। নানা সুযোগ সুবিধায় ভরপুর এই তরিকা।

সরকারি বা বিরোধী, অবস্থান যা'ই হোক...এই তরিকা'র রয়েছে নানামুখী ব্যবহার-সুফল। বাহ.... মেধা আছে বলতে হয় আমাদের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিদের। প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দীদের সমন্বয়ে গঠিত এই জোট মহাজোট অবশ্যই আমাদের একটা সমাধান দিয়েছে। কিন্তু জাতিকে ফেলেছে শাঁখের করাতে। হয় জোট, নতুবা মহাজোট....এই ২টার একটা আপনাকে বেছেই নিতে হবে।

আর কোন উপায় আছে ভাই?? আছে???? থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।