সাম্প্রতিককালে দেশে ন্যায্য মজুরির দাবি বাস্তবায়নের নামে পোশাক শিল্প কারখানায় হামলা-ভাংচুর হরহামেশাই হচ্ছে। গুজব, ছোটখাটো বিষয় নিয়েই বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। সামান্য অজুহাতে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকের দুর্ব্যবহারের খবর রটিয়ে দিয়ে কারখানা ভাংচুরের পন্থা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। যা রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদাকেও ক্ষুণ্ন করছে। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়ে দিয়েছে, এ অবস্থায় তাদের পক্ষে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বিজিএমইএ।
এদিকে পোশাক খাতে বিদেশি ক্রেতাদের দেয়া রফতানি আদেশের সময় চলছে এখন। আর এ সময়েই গার্মেন্ট শ্রমিক অসন্তোষ উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের। বিজিএমইএ’র হিসাব মতে, গত পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক পোশাক কারখানায় ভাংচুর ও হামলা হয়েছে।
গার্মেন্ট মালিক ও রফতানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পোশাক শিল্পে গত দু’দিনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিদেশিরাও।
বিশেষ করে বায়াররা মৌসুমে (মার্চ-আগস্ট) নতুন করে তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ায় এবং একের পর এক কারখানা ভাংচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন—এমনটা মনে করছেন রফতানিকারকরা।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাতে হঠাত্ করেই শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ায় তারা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে যেসব কারখানা ভাংচুর হচ্ছে, সেগুলোর রফতানি আদেশ নিয়ে ক্রেতারা উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন। তিনি জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এমনিতেই তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ আগের বছরের তুলনায় অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে প্রায় ২০/২৫ ভাগ।
এখন যদি আবার অস্থিরতা দেখা দেয় তবে পোশাক খাত আর টিকিয়ে রাখা যাবে না।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, কিছু কুচক্রী মহল পোশাক খাতে অস্থিরতার জন্য দায়ী। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীরা তাদের স্বার্থ আদায়ে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে। তিনি বলেন, কারখানা ধ্বংস করে নয়, সমঝোতার মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।