সাত দিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর অবশেষে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা পোশাক শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে ওই বৈঠকে অঙ্গীকার করেছে বিজিএমইএ।
বৈঠকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে কারখানার মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈঠকে শ্রমিক-মালিক নেতাদের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দেশের ৭৯ শতাংশ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন মালিক ও শ্রমিকনেতারা। বহিরাগতদের দ্বারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ করবেন।
এ ছাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান নেতারা।
বিজিএমইএর সভাকক্ষে আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে আতিকুল ইসলাম যৌথ ঘোষণাটি পড়েন।
বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তারসহ ৪০টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ-বিন-মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।