বেপোয়া মানুষ
খুলনা অঞ্চলের পাটকলগুলোতে উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের চাহিদা আরও বেড়েছে। এতদিন ২০টি দেশে পাট ও পাটজাতদ্রব্য রফতানি হত। এখন আরও ৫টি দেশে পাটের নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে ২৫টি দেশে রফতানি হবে খুলনার পাট। যে কারণে ইতোমধ্যে শিল্পবন্দর এ নগরীতে প্রতিমাসে নতুন নতুন বায়ারদের আনাগোনাও বেড়েছে।
খুলনার পাট ও পাটজাত দ্রব্যের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ভিয়েতনামের। যদিও এদেশের পাটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ভারত, পাকিস্তান ও চীন। রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে মিসর, ইরান, সিরিয়া ও লিবিয়া পাট আমদানি কমিয়েছে। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম আমাদের নতুন বাজার। শীঘ্রই এ দুটি দেশে রফতানি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, শ্লোভাকিয়া, পাটজাত দ্রব্য কেনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি শ্লোভাকিয়ার বায়াররা ক্রিসেন্ট ও খালিশপুর জুটমিল পরিদর্শন করে গেছেন। অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশী পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা রয়েছে। গত অর্থবছর খালিশপুর জুট মিল থেকে ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ১৯শ’ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য সুদান, সিরিয়া, ভারত ও ইরানে রফতনি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন জাপান, তুর্কি, গ্রীস, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের ৯টি সরকারী পাটকলে জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদন হয়। স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে এবং চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশে পাটজাত পণ্য রফতানি হয়। এ অঞ্চলের পাটকলগুলো হচ্ছে প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, খালিশপুর, স্টার, দৌলতপুর, আলিম, ইস্টার্ন, জেজেআই ও কার্পেটিং। মে মাসে ভিয়েতনামে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ হাজার বেল পাট রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টি বেসরকারী পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান মে মাসে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ লাখ বেল পাট রফতানি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।