‘তুমি আলো দিয়া ছবি আঁকো
চতুষ্কোণ সাদাকালো;
বালিকারে ডাকো।’
আলোক চিত্রকর মোমবাতি সংগ্রহ করেন, আগুনে
পোড়ান চুল, নখ এবং হরেক রঙতামাশাময় লেখাবলি;
একটু অবশ অনুভূতি জাগে, একটু নিজেকে স্বৈরাচারী মনে হয়,
তবু তিনি অ্যাশট্রেতে চোখ দেন, ফ্ল্যাশব্যাকে অতীতকালীন
হাত, অতিবিষ্মিত পা, (অতি)কাছাকাছি ঠোঁট-প্রীতিপ্রেম
ইত্যাদি ভাবদুর্ভাব ভাবনায় কষ্ট হয় না; কেবল
সঙ্গমে গোঁজামিল ছিলো, মনে হয়- শরীর কেন্দ্রচ্যুত হলে
বিকেন্দ্রীভূত রঙ এতো বেশী উত্তেজ আনে?
সব পোড়ে। তোমার কৃত্রিম কলাকৌশল, প্রভৃতি
হাইব্রিড স্বপ্নসকল; মমতা বিযুক্ত মৃৎনারী,
তোমার নানামুখী অসুখ- পোড়ে।
আধিপত্য গলিত হবার কালে
ইতিউতি চায়।
"এইসব কার কাছে আবশ্যিক ভালোবাসা পাবে"-
আলোক চিত্রকর মূক ও বধির থাকেন; তার
পুরাতন স্নায়ু, উত্তেজিত রসায়ন
আবাসিক শ্মশানঘাটে অজৈব ছাই হয়ে যায়।
কালচে কুন্ডল বালিকার উর্ধ্বাংশ শরীর
উন্মুক্ত রাখে।
চিত্রকর বুকের দক্ষিণাংশ আলো দিয়া আঁকেন।
কলোনী:৩ ০৬.০৭.২০১০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।