জীবনে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি কোন চাওয়াই অপূর্ন নেই । বড়লোক হওয়ার খুব সখ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন (ইউপি) বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে রেলের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তিলকপুর রেলস্টেশনের পূর্বপাশে রেলওয়ের এক হাজার বর্গফুট জায়গা ছিল। বছরখানেক আগে আজাহার আলী ওই জায়গায় ছাউনি নির্মাণ করে কাঁচা বাজার বসান, যা থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করছেন তিনি। কিন্তু ওই নেতার দাবি, জায়গাটি তিনি রেলওয়ের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন।
আর রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, জায়গাটি ইজারা দেওয়া হয়নি, দখল করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে তিলকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজাহার আলী তিলকপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে ৬৮ শতাংশ জায়গায় বাঁশ পুঁতে দখল করেন। বছরখানেক আগে ওই জায়গায় ছাউনি নির্মাণ করেন তিনি। স্টেশন মাস্টার বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পদ বিভাগ ছাউনিটি উচ্ছেদ করে। এরপর আবার ওই জায়গায় ছাউনি নির্মাণ করেন ওই নেতা।
সেখানে তিনি কাঁচা বাজার বসিয়ে ভাড়া আদায় শুরু করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তও হয়েছে। কিন্তু এখনো বাজারটি সরানো হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ছাউনির নিচে ৩২টি কাঁচামালের দোকান রয়েছে।
পাশে আরও কিছু জায়গায় বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে। দোকানিরা জানান, বিএনপির নেতা আজাহার আলীর লোকজনকে তাঁরা প্রতি মাসে ৫০০-৭০০ টাকা করে দোকান ভাড়া দেন। তিলকপুর হাটের ইজারাদারকেও প্রতিদিন খাজনা দিচ্ছেন দোকানিরা।
ইজারাদারের ব্যবস্থাপক সুশান্ত সাহা বলেন, রেলওয়ের জায়গায় স্থানীয় বিএনপির নেতা কাঁচা বাজার বসিয়েছেন। প্রথমদিকে তাঁরা ওই বাজার থেকে টোল পেতেন না।
এখন পাচ্ছেন। তিলকপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, জায়গাটি দখল হওয়ার পরই তিনি রেলওয়ের ভূসম্পদ বিভাগে জানান। এরপর ভূসম্পদ বিভাগের লোকজন এসে ছাউনি উচ্ছেদ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে জায়গাটি রেলওয়ে কাউকে ইজারা দেয়নি। ’
রেলওয়ের জমি দখলের কথা অস্বীকার করে আজাহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গাটি কৃষিভিত্তিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইজারা নিয়েছি।
প্রতি বছরই রেলওয়েকে খাজনা দিচ্ছি। ’ তবে তিনি ইজারার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পদ কর্মকর্তা কিরণচন্দ্র রায় জানান, তিলকপুর স্টেশনের জায়গাটি কাউকেই রেলওয়ে ইজারা দেয়নি। জায়গাটি দখল করা হয়েছে। সেটি উচ্ছেদ করা হবে।
আক্কেলপুরের ইউএনও এস এ এম রফিকুন্নবী জানান, বাজারটি অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।