চতুর্মাত্রিক.কম (choturmatrik.com)
পাতালরেলের ভেতর হঠাৎ দিনের চমৎকার আলো বা রোদ মেখে
(সম্ভবত) দুটো প্রজাপতি ঢুকে পড়ে
ঝকঝকে রেলের কামরায় তারা ছটফটে দুর্দান্ত হেমন্ত নিয়ে আসে
এভাবে কবিতা এবং জীবন জন্ম নেয়
জানালাগুলো নিশ্ছিদ্র বলে
বেরুবার পথ নেই, নেই চলে যাবার অবারিত উপায়
তাতে দুটো বা অনেক প্রজাপতির কোনো ক্লায়কেশ নাই
জানি
দরোজাগুলোয় কড়িবর্গা নেই, নেই চমৎকার কড়ার কণ্ঠ
সেগুলো নিঃশব্দেই খোলে, বিশ কি তিরিশ মুহূর্তের পরে বুঁজে আসে
আবেশে আপ্লুত চোখে
খুব মসৃণ আমি দেখি বা
দেখি না
দরোজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে তারা বেশ নিমরাজি--
ঘুরছে তখনও চাকাবিহীন দুমুখো শকট
স্টেশন স্টেশন পেরিয়ে যায়
পায়ের নিচে বেরিয়ে যায়
এভাবে কতো অনির্ণেয় জাংশনে প্রজাপতি
(দুটোই ছিলো বোধহয়, নাকি অজস্র?)
সংখ্যা ও পরিসংখ্যানের কি বেমালুম প্রয়োজন, নয়!
তাদের কিছু যায় আসে না, মানবিক স্টেশনে
তারা থামতেই চায় না
গতিশীল অনড় চেয়ার
চেয়ারে আমরা বসে থাকি, গন্তব্যের প্রয়োজনে- উদ্দেশে
মনে হয় কিছু নেই? প্রজাপতিগুলোই কেবল
আছে
দিনশেষে রাতের কালোতেও রঙহীন পাখার ঝাপটানি দেখি
এ কেমন বিম্বাধর আকর্ষণে মেতেছে তারা!
দরোজার পাশে দুটো প্রজাপতি জড়াজড়ি উড়ছে না উড়বে না নিথর চুপচাপ শুয়ে থাকে পাখা নড়ে অল্প বেশি জড়াজড়ি পড়ে থাকে জমে থাকে রেলের কামরায়
***
- অনীক আন্দালিব
২৬.৯.৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।