আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিকারুন্নিসা কলেজে ৩২ ফেল,....আমার ভাবনা.....



দেশের সেরা কলেজের মধ্যে প্রায় প্রথম স্থান বলেই সবার কাছে পরিচিত রাজধানীর ভিকারুন্নিসা স্কুল এন্ড কলেজ। এস এসসি এবং এইচ এসসি দুই পরীক্ষায় তাদের ফলাফল ঈর্ষণীয়। জিপিএ প্রাপ্তিতে তাদের অবস্থান থাকত সবার শীর্ষে। নিয়ম-কানুন এবং শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভিকারুন্নিসা হয়ে উঠেছিল মেধাবী তৈরির কারখানায়। কিন্তু দুই রেজাল্টে তাদের সেই নজরকাড়া রেজাল্টের ক্রমাবনতি ঘটছে।

তাতে দেশের অভিভাবক মহল, সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা হচ্ছে সদ্য এইচ এস সি পরীক্ষায় ভিকারুন্নিসা করেজের ৩২ জন ছাত্রী ফেল করেছে। ঢাকা বোর্ডে তাদের স্থান নেমে এসেছে অষ্টম স্থানে। কেন এই অধ:পতন?..কেন এই দু' বছরে এত ছন্দপতন?... নিশ্চয়ই কারণ আছে। আর এই ছন্দ পতনে যে বিষয়টা কাজ করেছে তা হচ্ছে..নির্লজ্জ দলীয়করণ।

বর্তমানে স্কুলটির গভর্নিং বডির সভাপতি এক সময়ের বাম নেতা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, অসমাপ্্রদায়িক আন্দোলনের পুরোধা, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বিশিষ্ট বাম নেতা রাশেদ খান মেনন। তাকে নিয়ে কয়েকদিন পূর্বেও পত্রিকা জুড়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। একক সিদ্ধান্তে শত শত ছাত্রীকে র্ভর্তি করেছেন। বিনিময়ে পকেটে পুরেছেন বিশাল অংকের টাকা। ব্লগেও এ নিয়ে ঐ কয় দিন ব্যাপক লেখা লেখি হয়েছিল।

তার এই অন্যায় আবদার যখন পাঁচ শতাধিক এর উপর পৌঁছেছিল..তখনই বাধ সাধেন কলেজের প্রিন্সিপাল। ততকালীন প্রিন্সিপাল একজন আওয়ামী ঘরানার লোক হয়েও শুধু স্কুলের ভাবমুর্তি রক্ণার স্বার্থে যখন আর অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি করাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন..তখন তাকে কলেজ থেকে অনেকটা জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি বিদেশ থেকে এসে এ সকল কার্যকলাপের সাথে তিনি জড়িত নয় বলে সাংবাদিক সম্মেলণ করেছেন। কিন্তু সাংবাদিকরা যখন ভর্তি তালিকা দেখাতে চেয়েছেন....তিনি নিরুত্তর থেকেছেন। বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন......তারা শিক্ষার মান উন্নয়নে যে কোন কিছু করতে রাজি আছেন।

কিন্তু ঐতিঞ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংশের জন্য কি আপনারা দায়ী নন?....অঅপনারা সে দিন মিডিয়ার মারপত জেনে ও কেন ব্যবস্থা নেননি?.... যে ৩২ জন ছাত্রী ফেল করেছে..কেন ফেল করেছে?....তাদেরকে কি নার্সিং করা হয়নি?....নাকি তারা ও তদ্বিরের জোরে ভর্তি হয়েছে?...... সবশেষে বলব..রাশেদ খান মেননেরা কত বড় বড় বুলি ছেড়েছেন...কত ান্যায়ের প্রতিবাদ করেন..মানবাধিকারের কথা বলেন....দুর্নীতি দমনের কথা বলেন...জীবনে কোন দিন জামানত রক্ষা করতে পারেননি..এবার নৌকায় চড়ে...জীবনে প্রথমবারের মত এমপি হয়েছেন,,,,জাতি আপনাদের চিনে ফেলেছে.....বড় বড় বুলি বলতে আসলে এর পর সমুচিত জবাব দিয়ে দেবেন। অবশ্য এ নিয়ে আমার এক বন্ধু বলে....রাশেদ খান মেনন আর ইনু সাহেবরাও জানে কখনো তারার ইহকালে আর এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখেননা তাই....যা পাচ্ছেন..লুটে পুটে খাচ্ছেন.....আখের গোচাচ্ছেন। কিন্তু অঅপনারা কাইতে থাকেন খান....যে ৩২ টা মেয়ে ফেল করল তাদের দায়ভাব কে নেবে?....ঐতিঞ্যবাহী ভিকারুন্নিসার পতনের ভার কে নেবে?.... প্রিন্সিপালতো রেজাল্ট খারাফ এর উত্তরে সাংবাদিকদের বলেছেন...ব্যাপার না! দেশের সকল স্থান লুটে পুটে খেয়ে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খাওয়া শুরু করেছেন.......ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল মন্ত্রীরা..আপনাদেরকে দিযেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে না পারলেও ....টাল-মাটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.