!!!
রাত ১টার দিকে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি। এমন বৃষ্টি এখানে আমি ৩বছরের মাঝে দেখিনি। এমন বৃষ্টি দেখে কি ঘরে বসে থাকা যায়? বৃষ্টিতে ভিজতে বের হয়ে গেলাম আমি আর সোনালি। ডরমেটরির পার্কিং লটে বৃষ্টি উৎযাপন করলাম।
খেয়ালি জীবন ভাল লাগে।
নিয়ম করে খাওয়া ঘুম কোনটাই ভাল লাগে না। রাত ৩ টায় ডিনার আবার ভোর ৫ টায়-ই নাস্তা। এলোমেলো এই জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটালেন আমার GP (General practitioner)। ব্লাড রিপোর্ট ভাল না। কোলস্টরেল নামক বিদঘুটে ব্যপারটা নাকি বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বেড়ে যাচ্ছে।
গত এক বছর ধরে ডায়েট কন্ট্রোল করে যাচ্ছি এই tiny figure এও । তাতেও কাজ হচ্ছে না। ফ্যামিলি হিস্টরির কারনে বয়ে বেরাতে হচ্ছে এই কুৎসিত পদার্থটা রক্তের মাঝে।
কোন উপায় নেই এক্সসারসাইজ করতে হবে। সেখানেও বিপত্তি কম না।
৩বছর আগে দার্জিলিং এর পাহাড়ে নিজের পায়ের কোন অংশে গোলমাল বাঁধিয়ে এসেছি। এখনও জানতে পারিনি গোলমালটা কোথায় বাঁধিয়েছি। ৩বছরে একজন অর্থপেডিক্স ডক্টরের এ্যাপয়েন্টমেন্ট যোগাড় করতে পারিনি নিয়মের বেড়াজালে আটকে পরে। কিন্তু জিম করব? কোন ইনসট্রুমেন্ট দিয়ে কি করে তা-ই তো জানি না। এত ঝামেলা্য় না যেয়ে তাই নিজের পা-কে তোয়াক্কা না করে, নিজের খেয়ালি জীবনে নিয়মের বেড়ী পড়িয়ে সকালে এক ঘন্টা হাঁটা শুরু করলাম।
প্রথম দিন সমস্যা হয়নি। এক ঘন্টা হাঁটা তো কোন ব্যাপার-ই না। গত ৩ বছরে তো অনেক কিছুই শিখেছি, রিকশা হীন জীবনে হাঁটা শেখা ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না ।
আজ সকালে হাঁটতে বের হয়ে দেখি পা ফেলতে পারছি না। পা ফেললেই মনে হচ্ছে মরে যাব।
ভাবলাম নিজের রুমে হাঁটলে তো এমন ফিল করিনি। তারমানে জুতোর কারনে হতে পারে। ভাবতে ভাবতেই পা থেকে জুতো খুলে ফেললাম। মুজো পকেটে আর জুতো জিন্সের বেল্টের সাথে বেঁধে হাঁটা শুরু করলাম। কষ্ট হলেও ১ ঘন্টা হেঁটে বাড়ি ফিরলাম।
"ডোন্ট মাইন্ডের এই দেশে" ভোর ৫ টায় একা একটা মেয়ে খালি পায়ে জিন্সের সাথে জুতো বেঁধে ঘুরতে পারে। রাত ১ টায় রাস্তায় নেমে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। নিজেও কিছুটা "পাছে লোকে কিছু বলে"র বিরুদ্ধে ছিলাম। কিন্তু এই দেশ সেটাকে সুন্দর করে ভাবতে শিখিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।