সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা কুরুপতি! দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত,সদ্য করিয়াছি পান—সুখী নহি তাত, অদ্য আমি জয়ী।
(“জানলা দিয়ে আকাশটাকে দেখ, টিভি দেখ না”)
তোমার মতো বড্ডো বেশী ভাবা
আমার কি আর সাজে?
আমি এখন ব্যস্ত আছি সকাল সন্ধ্যা
আবোল তাবোল কাজে।
তুমি যখন খুব সকালে উনুন ধরাও রান্নাঘরে
আমি তখন মুখ লুকিয়ে লেপের তলায় ঘুমাই প’ড়ে প’ড়ে
ঘুম ভেঙ্গে যায় তোমার গলায়, ওমা সকাল হলো না কী!
তুমি তখন ঘাবড়ে গেলে, কত্তো বেলা, রুটি ছ্যাঁকাই বাকী,
“লক্ষ্মীছাড়া, সাতটা বাজে”, গালটা টিপে বললে তুমি লেপ সরিয়ে
“এত্তো সকাল! ভাল্লাগে না!”, আমি তখন বলি তোমার হাত জড়িয়ে
তোমার মতো ঘড়ি ধরে চলা
আমার কি আর সাজে?
আমি এখন ব্যস্ত আছি সকাল সন্ধ্যা
ঘড়িবিহীণ কাজে।
আমি যখন স্কুল থেকে এসে ভাত খেতে যাই বসে
“উঁহু আগে হাত ধোয়া যাই”, ভারী গলায় বললে তুমি কেশে।
দুপুর বেলা ঘুম আসে না খেলতে লাগে ভালো
যেই না ভাবা, অমনি তোমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল,
“পাজী ছেলে চুপটি করে ঘুমো”-
এই না বলে ঘুমপাড়ানী গান শুনিয়ে কপালে দাও চুমো।
তোমার কোলে মাথা রেখে কখন যে ঘুম যাই
জানি আমি, তুমি তখন ভাবতে বসো কত্তো কী যে ছাই!
বিকেল বেলা তুমি যখন আমায় নিয়ে লুডো খেলতে বসো
বাবা শুধুই বলে এসে, স্বরজ সোনা, এই অঙ্কটা কষো।
বলো তো মা, এখন কি আর অঙ্ক কষার সময়?
মন চলে যায় এত্তো দূরে, পাখিগুলো আকাশেতে কেমন আসর জমায়!
বাবার মতো গোমরা মুখে চলা
আমার কি আর সাজে?
আমি তোমার ছোট্ট ছেলে, ব্যস্ত আছি
সকাল সন্ধ্যা দুষ্টুমিরই কাজে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।