বাঙলা কবিতা
ব্যস্ততা
===
এতো এতো কাজ থাকে মানুষের! মাঝে মাঝে মুদিত নয়ন, অনিদ্রায় জেগে, তবু নিদ্রিতের মতো শুয়ে থাকা, হয়তো জরুরী। গভীর ও মনোযোগী পাঠ থেকে, পৃষ্ঠাচিহ্নিত রেখে, আচানক উঠে পড়া, পুরনো গানের মিষ্টি মদিরার ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া অপহৃত শৈশবের দিকে; অজস্র অচেনা লোক... সেইসব ভিড় ঠেলে, একবারও না-হাঁটা রাস্তায় নিঃসঙ্গ ভ্রমণকালে, নিজেকেই সঙ্গ দেয়া নিশ্চিত জরুরী। তা না হলে, নিজেই নিজের কাছে আজীবন আগন্তুক থেকে যেতে হবে। আরও যা যা কাজ থাকে মানুষের, আবশ্যিক, সাংসারিক সাচ্ছন্দ, সঙ্গত যন্ত্রণা; সেইসব স্বেদের চন্দন থেকে উঠে দাঁড়াবার পর, মনে হয়, আর কী কী ভাবাই হলো না! তখন তোমার কথা মনে আসে; সামান্য সুখের স্মৃতি, সংক্ষিপ্ত বিকেলের চিলতে রোদের মতো প্রেম, অপরিমেয় ঘৃণা, অপ্রেমের যত অযুহাত; বহুগামিতার তীব্র প্ররোচনা তোমাকে যে এখনও যুবতি হতে বলে; অস্বচ্ছ কাচের পর্দা ভেদকরা বিবিধবর্ণের এক পুষ্পসমারোহে, কল্পনায়, এর সবই দৃশ্যায়িত হয়। কাম-ক্রোধ-যৌন অস্তিরতা, যা তোমার মুহূর্তগুলোকে করে ভার্চুয়াল দিবস-রজনী; সে সবের কোনও সূত্র ধরতে পারি না। বহুদিন হলো, সত্যি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজী পড়তে বসিনি। তোমার অস্থির মন, আজকাল, বিদেশী ভাষায় লেখা দুর্বোধ্য কবিতার মতো; এতো এতো দরকারী কাজ ফেলে আমি আর পড়তে পারি না, অনুবাদে ভরসা রেখে, তোমার জটিল-রস আস্বাদনে আমি আর এগোতে পারি না... এতো সব বিমর্ষ বিহঙ্গ ডেকে ওঠে, মনোযোগ রাখতে পারি না; অগত্যা তোমাকে ফেলে, মেঘেদের সাথে বসি, এইসব অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি নিয়ে, প্রাকৃতিক সেচের প্রসঙ্গে যেন মেঘেদের সাথে খুব জরুরী বৈঠক!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।