আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অঙ্গীকার অত:পর এ কোন পরিবর্তন?



সকালে ঘুম থেকে উঠি, নতুন একটি দিন শুরু করবো। আর সব মানুষের মত আমারও ঘর আছে, পরিবার আছে, আছে আত্মিয়স্বজন। আমার ও আছে সবার জন্য ভালোবাস, দায়িত্ব কর্তব্য। প্রতিদিন ই দেখি একটা নতুন সপ্ন, তৈরী হয় প্রিয়জনের ভালোবাসার প্রত্যাশা। ঘর থেকে পা ফেলে বাইরে গিয়েই হারিয়ে যায় জীবন সংগ্রামে।

এর নামই জীবন হয়তো। তবুও আমরা পরিবর্তন চায় একটু ভালো থাকার জন্য। কেমন লাগে যদি ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকার পাতা দেখে প্রথম বার মনের জোর হারিয়ে যায়, ডুবে যায় অজানা অনিশ্চয়তায়। ওনেক আশা করে ২০০৮ সালে পরিবর্তনের সপ্ন দেখেছিলাম, ভালো থাকতে। সব সপ্ন যেনো আজ মরীচিকার মত উধাও হয়ে যাচ্ছে।

যেনো ভুল, সব ছিলো ভুল। এদেশে জন্মেছি বলে কি আজন্ম আমায় জ্বলতে হবে? আমি ব্যাবসাহী, আমি সাংবাদিক, আমি ছাত্র, আমি শিক্ষক, আমি আইনজিবী, আমি এদেশের আম জনতা কে দেবে আমার নিরাপত্তা? ঘর থেকে বের হয়ে আমায় পড়তে হয় জীবনের অনিশ্চয়তায়। ব্যাবসা বানিজ্য টেন্ডারের বাক্সের সামনে গেলে আমায় লাশ হয়ে ফিরতে হয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্জনে গিয়ে লাশ হতে হয়, ছাত্রী হলে ইজ্জত হারাতে হয়, উৎসবে আনন্দ করতে গিয়ে ধর্ষিত হতে হয়। আমি সংবাদিক, আমায় হুমকি ধামকি ছাপিয়ে পঙ্গু হতে হয়।

কখনও বা হারাতে হয় প্রিয় প্রান টি। আমি আইনজিবী আমায় লড়তে হয় মৃত্তুর সাথে। আমি সাধারন জনতা প্রতিটি মুহুর্ত আমায় হতে হয় হয়রানির শিকার। এই কি আমার প্রাপ্য ছিলো, এই পরিবর্তন কি আমি চেয়েছিলাম? এর জন্য কি আমার এর খড়কাঠ পোড়ানো? এ প্রশ্নের উত্তর কোথায়? আমি চেয়ে ছিলাম শান্তিতে থাকতে। ভালো ভাবে খেয়ে পরে বঁচতে।

সস্তায় চাল খওয়ানোর কথা ছিলো, অর্থনৈতিক বদল চেয়েছিলাম। বদলে পেলাম ডাহা মিথ্যাচার আর উদরে লাথি। চেয়েছিলাম আইনের শাষন, মুক্ত কথা বলার অধিকার, স্বাধীন জীনবজাপন, বদলে পেলাম প্রশাসনে নির্লজ্জ দলিয়করন, মেধাবিদের বঞ্চিত করন, হারালাম বাক শক্তি, মত প্রকাশের অধিকার। আজ নাজ্য চাকরী পেতে আমায় গুনতে হচ্চে লাখ লাখ টাকা। এটাকি ধরনের পরিবর্তন? এই কি চেয়েছে বাংলার মানুষ? চেয়েছিলাম শিক্ষা গবেষনায় উন্নত বাংলাদেশের বাসিন্দা হতে, বদলে পেলাম শিক্ষালয়ে টেন্ডার বাজী, চাঁদা বাজী, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষন, ভর্তি বানিজ্য, হল দখল সহ নানাবিধ পরিবর্তন।

আহা রে পরিবর্তন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড আমার প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো ছেলেখেলার মত করে মেধাবী ছাত্রের খুন। সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারার সপ্ন দেখেছিলাম আমরা অনেক দিন পরে। সহযোগিতা, সহমর্মিতা, গঠনমুলক কাজ সর্বপরি দেশের জন্য ভালোবাসার উজ্জল রাজনিতি চেয়ে আজ পেলাম ঠক উল্টাটা। বিগত জোট সরকার যা পাঁচ বছরে পারেনি তা মাত্র দুই বছরে করে রাজনৈতিক অশ্লীলতায় রেকর্ড গড়ে গেলো। ক্ষমতার অপব্যাবহারে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে নগ্ন নির্যাতন আজ সর্বকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

এই কি আমরা চেয়েছিলাম? এভাবে কি সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রয়োজন আজ এদেশের মানুষের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।