আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্তানকে কি সত্যিই মা হত্যা করেছিলো? নাকি বাবা!! নাকি আমরা সবাই?

চলো আবার সবুজ গড়ি

অনেক বক বক হয়েছে এই নিয়ে। ব্লগিয় এই সব প্যাচালে আরো কিছুটা অতিরিক্ত চক্ষুপিড়ন বাড়াতে আমার কি বোর্ডের কি গুলো চেপে যাচ্ছি। বেচারী নারী ভ্যাজালে পরে গেছে। নাহ্‌ আমি সহানুভুতির দৃষ্টিতে ঐ মায়ের দিকে তাকাআচ্ছিনা। বরং সহানুভুতি দেখাচ্ছি যে সমাজ এমন একটি পরিস্থিতির জন্ম দিলো সেই সমাজের ঘুনে ধরা বিবর্ণ খুটি গুলোকে।

১। এখন আমাকে কয়েকটি জবাব দিন। মাতৃত্ত্ব আর ভালোবাসা দুটি সম্পুর্ন আলাদা জিনিশ। এরা একে অপরের সম্পুরক কখনোই নয়। যে নারীর সাথে তার স্বামী শয্যা পৃথক করে নিয়েছে ঐ নারী তার প্রয়োজনের সময় কাকে কাছে পাবে? আর স্বামীর সাথে মিল থাকলে কেনই বা তাকে অন্য পুরুষের কাছে যেতে হবে? ঐ সন্তানটিকে কেউ হত্যা নাকরলেও সে নিজেই আত্মহত্যা করতো।

কারন এমন বাবা মা তার প্রয়োজন নেই যাদের আচার আচরন থেকে সে কল্যানকর কিছুই শিখতে পারেনা... বরং এই ছেলে বেঁচে থাকলে অনাদর অবহেলায় নেশাখোর কিবা সন্ত্রাশী হওয়ার সম্ভাবনাই আমাদের সামনে চলে আসে। এবার বলুন মায়ের পরকিয়ার জন্য কি বাবাই দ্বায়ী নন? পরকিয়ার প্রয়োজন তখনি হয় যখন আপন মানুষটি আর আপন থাকেনা। আর আপন মানুষ আপন না থাকার বহুবিধ কারন থাকতে পারে... হতে পারে মানুষটি ধন সম্পদের প্রতি এতোটাই ক্রেজি যে তার সংসারকে সঠিক ভাবে সময় দিতে পারছেনা। অথবা সে বিশ্বাস ভেঙ্গেছে। এটা নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

এই শহরে হাজার হাজার মানষ পরকিয়া করছে। এর জন্য আপনি কাকে দুষবেন? মানুষ কখনোই মৌলিক ভাবে খারাপ কোনো জন্তু নয়। যারা এখনো পরকীয়া করছে তারা হয়তো এই নিউজে একটু মুচকি হেসে আবার অন্যান্য নিউজে চোখ বুলাতে শুরু করেছে। সেই সাথে থাকছে মিডিয়ার ভয়াবহ সন্দেহ আর অনৈতিক উৎসাহের বীজ। ওপারের চ্যানেলগুলোর অপকর্মের কথা বলতে বলতে তো ব্লগে ফেনা উঠে গেলো আর নতুন করে বলে কি'ই বা লাভ হবে? সেই সাথে এপারের চ্যানেলেও আজকাল ঐ ফ্লেভার আনার সংকীর্ণ চেষ্টা।

২। হতেও পারে মহিলার প্রদত্ত বক্তব্যই সঠিক। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এমন ঘটনার জন্ম হতে পারে। তাছাড়া বিষয়টি এখনো প্রমানিত নয়। কিন্তু আমরা প্রমানিত সন্তোষজনক সত্যের চেয়ে অপ্রমানিত মুখরোচক মিথ্যাকে অনেক বেশী প্রাধান্য দেই।

যেটা আমাদের নেচার। নারী তো সব সময়ই দূর্বল। তাকে যেটা চাঁপিয়ে দেয়া হয় সেটা মেনে চলতেই তাকে বাধ্য করা হয়। ২য় কথাটি আমার নিজেরও বিশ্বাস করতে মন চাইছেনা। তবুও মনে হয় সমাজের নৃশংস অধ্যায়গুলো যদি অন্তত মনকে প্রবোধ দিয়ে ভুলে থাকতে পারি... তাও সান্তনা।

তবুও চোখ বন্ধ করে দেখে যাওয়া এই সব অন্ধকার থেকে সমাজকে মুক্ত করতে পারিনি বলে আগামীর কাছে কি আমাদের কোনো জবাব দিহিতা করতে হবেনা? আমার কথায় কার কি ই বা আসে যায়? সবাই তো কত মোটা মোটা থিসিস নিয়ে ব্লগে হাজির হচ্ছেন। বাস্তবতা যে সমূদ্রের বিস্তর ঢেউয়ের ওপারে অবস্থান করছে। কোনো সাহসী মাঝি নেই... যে কিনা যয় করে সকল ভয় দেশকে নিয়ে যাবে সন্দর আগামীর বন্দরে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.