আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্রকে কেড়ে নেওয়ার শামিল

আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি গণতন্ত্র হরণের সামিল। প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা সরকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তাঁরা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর আজ দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় নতুন স্থাপিত জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধনের সময় বলেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আগামী এক মাস সাধারণত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে বিশৃঙ্খলা করেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাকশালের দিকে যাচ্ছে। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বলেছিল, বঙ্গবন্ধু পঁচাত্তর সালে যে বাকশাল গঠন করেছিলেন, তা সঠিক ছিল। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ’ তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমান্বয়ে সংবাদমাধ্যম, বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। সর্বশেষ এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।

এসবের একমাত্র উদ্দেশ্য ভিন্নমত দমন করা। তারা পরিকল্পিতভাবেই বাকশালের দিকে যাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে যে-ই বাধা দিতে যাবে, তাকেই তারা ‘টার্গেট’ করবে। তবে সরকারের এ ধরনের আচরণের ‘সমান প্রতিক্রিয়া’ হবে এবং জনগণ একদিন রুখে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনগুলো (আন্ডারগ্রাউন্ড) উত্সাহী হবে।

প্রকাশ্যে রাজনীতির সুযোগ না থাকলে যারা গোপন রাজনীতি করে, তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে আর তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত হলো মাথাব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার মতো। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত ভালো নয়। এর মাধ্যমে নিষিদ্ধঘোষিত রাজনীতিকেরা আরও উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা সরকারকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, যারা তাণ্ডব করে, তাদের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। সরকার জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করুক। সরকার তা না করে জনগণের অধিকার হরণ করছে। তিনি মনে করেন, প্রশাসনিকভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না। এ জন্য জনগণকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।


গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরুর রহমান সেলিম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে একটি গণতান্ত্রিক প্রয়োজনে করতে পারে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, সেটা আমরা জানি না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখা দেওয়া প্রয়োজন। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.