রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
অনেক ব্লগার কই ফর্ম পাওয়া যাবে, কি করতে হবে লিখেছেন এর আগে।
আমি এক পরিচিত জনের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিতে গিয়ে আগারগাও এ কি কি করতে হয় জেনে আসলাম। আপনারা ও জেনে রাখতে পারেন। আনঅফিসিয়াল বললাম, কারণ এই নিয়ম কানুন মনে হয় বাইরে গুলো কোথাও লিখা পাবেন না।
জরুরী- ৬০০০ টাকা, ১৫-২০ দিন লাগে
সাধারন ৩০০০ টাকা, কত দিন ঠিক নাই।
ফর্ম এর সব কিছু পূরণ করে আগারগাও পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। ভিতরে সোনালী ব্যাংক এর বুথে ক্যাশ টাকা জমা দিতে পারবেন।
টাকা জমা দেওয়ার পর পাশে একটা রুম আছে। সেটা তে সব ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করে সিল দেওয়া হয়।
ফর্মে ভেরিফিকেশন করফার্ম হলে যদি সময়ে কুলায়, তাহলে টোকেন খুজে দেখতে পারেন(গেইটে আর্মি'র লোকেরা টোকেন দেয় যাতে সিরিয়াল নম্বর থাকে)।
যদি নিদির্ষ্ট পরিমান টোকেনের অবশিষ্ট থাকে, তাহলে কপাল ভালো বলতে হবে। ১ দিনে সব কাজ শেষ করতে পারবেন। (আমি পারি নাই, ২ দিন লাগলো আমার)
যদি প্রথম দিনে টোকেন না পান, পরের দিন ৮টা'র দিকে গিয়ে টোকেনের জন্য লাইনে দাড়াবেন। ভেরিফিকেশন এর কাগজ দেখে আপনাকে টোকেন দিবে সকাল ৯টার সময়। (২ টা লাইন থাকে, একটা ফর্ম জমা দেওয়ার, আর একটা পাসপোর্ট রিসিভ করার।
দেখে শুনে লাইনে দাড়াবেন। )
প্রতি ঘন্টায় আনুমানিক ৫০ জনের কাজ করতে পারে ৮টা বুথে। যদি আপনার সিরিয়ার ২০০ নম্বরে হয়, তাহলে মিনিমাম তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা লাগবে। খামাকা দাড়িয়ে না থেকে চাইলে আইডিবি ভবন থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
আমার সিরিয়ার পড়ল ২২৮ এ, ডাক পড়ল ২টা ২৫ এ।
টোকেন নেওয়ার পর আপনার ছবি তোলা হবে, টোকেনের সিরিয়াল অনুযায়ী। তারপর ডেলিভারী এর জন্য আপনাকে সময় জানিয়ে একটা স্লিপ দিয়ে দিবে।
ডেলিভারী এর দিন আবার লাইন দিয়ে টোকেন নিতে হবে। টোকেনের সিরিয়াল অনুযায়ী পাসপোর্ট পাবেন।
আশা করি উপকৃত হবেন।
কেউ যদি সহজে আর কোনো নিয়ম জানেন, জানাতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।