আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিমান্ডে নিয়ে চরম শত্রুরও নির্যাতন সমর্থন করি না….



বাংলাদেশের মানুষ কে অসভ্যতার জন্য গনহারে যেভাবে আমরা দোষারোপ করি তার থেকে অনেক বেশী ক্ষমতার শীর্ষে ও বাইরে থাকা রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবষ্থাকে করি না। আমাদের দেশে প্রশাসনের ও বিচার বিভাগে কর্মরত তথাকথিত স্বাধীন(!) বিচারকরা রিমান্ডে নিয়ে যে চরম শারিরীক নির্যাতন হয় এটা জানার পরেও তারপরও কেন যে তারা সরকারের হুকুনের চাকর হয়ে এই অমানবিক কাজগুলো করেন? মাহমুদুর রহমান বা অন্য যে কেউই হোক না কেন তাঁকে বা তাঁদেরকে নিয়ে মানবতকে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে অসহায় অবস্থায় নির্যাতন করে ব্যক্তিগত ক্ষোভ মিটাবো এটা কোন স্বাভাবিক ও সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ণ লোকের কাজ হতে পারে না। মাহমুদুর রহমান আদালতে বলেছেন, ক্যান্টনমেন্ট থানায় অমার ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তাতে আমার বাঁচার কথা নয়। আমার সৌভাগ্য যে আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। দেখা হওয়ার কথা ছিল না।

গত ৯ তারিখে আমাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। প্রথম দিন গভীর রাতে ৫/৬ জন লোক এসে চোখ বেঁধে আমাকে বিবস্ত্র করে মেঝেতে ফেলে দেয়। নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কায়দায় তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। রিমান্ডে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়।

আদালতের কাছে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত থাকলে একজন নাগরিকের ওপর এ ধরনের জুলুম নির্যাতন হতে পারে কিনা? আদালতেরই দায়িত্ব একজন নির্যাতিত বিচারপ্রার্থীকে বাঁচানোর। আমি আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে মাহমুদুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেটের উদ্দেশে বলেন, আপনি একজন নারী। তবুও বলতে হচ্ছে আই ওয়াজ আনড্রেসড (আমাকে বিবস্ত্র করা হয়েছে)। আমার চোখ বাঁধা হয়েছে, কনুই দিয়ে পিঠের ওপর আঘাত করে বসিয়ে আমার প্যান্ট খুলে ফেলা হয়েছে।

আমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হ্যাচকা টান দিয়ে ও পিটিয়ে মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমার আর কিছুই স্মরণে নেই। সম্ভবত এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমি দেখি থানার সেকেন্ড অফিসারের কক্ষে আমাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখন আমি দেখলাম নড়তে পারছি না।

টর্চারড হওয়ার কারণে সম্ভবত আমি নড়তে পারছি না। আমার কোমরের পেছনে ব্যথা হচ্ছে। সুত্র: রিমান্ডে অজ্ঞাত লোকদের হাতে নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মাহমুদুর রহমান : চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে Click This Link পাদটিকা: আর যারা রিমান্ডে নিয়ে মাহমুদ নামের 'অমানুষ'-এর নির্যাতনে যারপর নাই পুলকিত তাঁদের খুশী হয়ে তা ধিন-ধিন করে নাচার সুবিধার জন্য এই ভিডিও ক্লিপটি উপকারে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস: Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।