বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
২০০২ সাল থেকে ইঙ্গ-মার্কিন সৈন্যরা অবরোধ করে রেখেছে বাগদাদ। তদ্রুপ, ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্র“য়ারি মাসে বাগদাদ অবরোধ করেছিল দুধর্ষ মংগোল সৈন্যরা। নারীপুরুষশিশু নির্বিশেষে তারা প্রায় ১০ লক্ষ নিরপরাধ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।
মংগোল আক্রমনে সবচে বড় ক্ষতির সম্মূখীন হয় জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রটি- বাগদাদের সুবিখ্যাত ‘বাইত আল হিকমা’ গ্রন্থাগারটি সম্পূর্ন ধ্বংস করে ফেলে মঙ্গোল সৈন্যরা, সেতু তৈরির জন্য লক্ষাধিক বই তাইগ্রিস নদী তে নিক্ষেপ করেছিল মূর্খরা! মংগোল অবরোধের পর বাগদাদ কয়েক শতাব্দীর জন্য জনশূন্য হয়ে পড়ে ...আর সেই সঙ্গে মুসলিম সভ্যতাটির কেন্দ্রের গৌরবময় শিখাটিও ক্রমশ নির্বাপিত হয়ে যায় ...
মানচিত্রে আব্বাসীয় খেলাফতের সীমানা। ত্রয়োদশ শতকে, অর্থাৎ, আমরা যে সময়ের কথা বলছি, সে সময় এই খেলাফতের সীমানা অবশ্য এতটা স¤প্রসারিত ছিল না ।
আব্বাসীয় খেলাফতের সময়কাল ৭৫০ থেকে ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ অবধি বি¯তৃত ছিল। হজরত আলীর মৃত্যুর পর ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ থেকে উমাইয়ারা ইসলামী বিশ্ব শাসন করে আসছিল। আব্বাসীয় বংশটি ৭৫১ খ্রিস্টাব্দে উমাইয়াদের উৎখাত করে ইসলামী বিশ্বর শাসন ক্ষমতা দখল করে।
তাইগ্রিস নদী। ছবিতে সেকালের আব্বাসীয় বাগদাদ। এই সুখশান্তিই ধ্বংস করেছিল রক্তলোলুপ মংগোলরা ...
ত্রয়োদশ শতকে বাগদাদ ছিল আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী। মংগোল অবরোধের সময় আল মুসতাসিম বিল্লাহ ছিলেন বাগদাদের খলিফা । খলিফার পুরো নাম আল মুসতাসিম বিল্লাহ আবু আহমাদ আবদুল্লাহ বিন আল মুসতাসিম বিল্লাহ।
তিনি ১২১৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেছিলেন। ১২৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাগদাদ শাসন করতে থাকেন।
আল মুসতাসিম বিল্লাহর আমলের মুদ্রা।
ত্রয়োদশ শতকে বাগদাদের জনসংখ্যা ছিল প্রায় দশ লক্ষ। এত লোকের ভরণপোষন কি ভাবে হত? প্রশ্নটি অর্থনীতির।
(এক) আর্ন্তঃবানিজ্য। বাগদাদ হয়ে উঠেছিল তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এখনকার দিনের তাইওয়ান-সিঙ্গাপুরের মতন। (দুই) কৃষি। দজলা বা তাইগ্রিস নদীর পানিই ছিল বাগদাদ-কেন্দ্রিক কৃষির প্রধান অবলম্বন।
আসলে সেচ ব্যবস্থার ওপরই বাগদাদী খিলাফত টিকে ছিল। মংগোল আক্রমনে সেচব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
তাইগ্রিস নদী। এখনকার ছবি। এই নদীর সেচ-ব্যবস্থাই সে কালের বাগদাদের সভ্যতা টিকিয়ে রেখেছিল।
ত্রয়োদশ শতকে বাগদাদ তখনও ঐশ্বর্যশালী নগরী। বাগদাদ অবরোধের পূর্বে মংগোল সেনাপতি বইজু বেশ ক’বার আব্বাসীয় সাম্রাজ্য আক্রমন করেছে, তবে কখনও বাগদাদ নগরী আক্রমন করেনি।
যদিও ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য ছোট হয়ে এসেছিল। যার অবস্থান ছিল আজকের দিনের ইরাক ও সিরিয়া মিলিয়ে । বাদদাদের উন্নতির শীর্ষে ছিল, আগেও একবার বলেছি, প্রায় দশ লক্ষ অধিবাসী ও প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল প্রায় ৬০,০০০ সৈন্য।
অবশ্য ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি বাগদাদের প্রতাপ খর্ব হয়ে আসে। যদিও খলিফাই ছিলেন প্রধান। আব্বাসীয় সাম্রাজ্যজুড়ে ছিল মামলুক ও তুর্কি সামন্ত অধিপতিদের নিয়ন্ত্রন। মামলুক হল এক ধরনের সৈন্য কিংবা দাস যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে।
মংগোলিয়ার মানচিত্র।
এখানেই উত্থান হয়েছিল যুদ্ধবাজ মংগোলদের।
বাগদাদ অবরোধ এর নেতৃত্বে ছিলেন মংগোল সেনাপতি হালাগু খান। (১২১৭ ১২৬৫) ইনি ছিলেন চেঙ্গিস খান এর নাতী। হালাগু খান দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চল জয় করেছিলেন।
মংগোল সৈন্য
মংগোল সৈন্য
বাগদাদ অবরোধে অংশ নিয়েছিল প্রায় ১৫০,০০০ মংগোল সৈন্য ।
১২৫৭ খ্রিস্টাব্দে সৈন্যদের নেতৃত্ব গ্রহন করেন হালাগু খান। বিশাল সৈন্যবাহিনী বাগদাদ অভিমূখে রওনা হয়। আসলে সেই অবরোধকারীরা ছিল বর্তমান কালের ইঙ্গ-মার্কিনীদের মতো যৌথবাহিনী। কেননা, মংগোল সেনাবাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে খ্রিস্টান ফোর্স ও ছিল। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল জর্জিয়া।
খোয়ারিজম শাহ জালাল আল দিন এদের রাজধানী তিফলিসি তছনছ করেছিলেন । মংগোল সেনাবাহিনীর জোটে আর্মেনিয় সৈন্যরাও ছিল, ছিল অ্যান্টিওর্কের (বর্তমান তুরস্ক) ফ্রাঙ্কিশ সেনাবাহিনী। পারস্যের একজন সমসাময়িক পর্যবেক্ষক ছিলেন আতা আল মুলক। তিনি লিখেছেন, ‘মংগোল সৈন্যবাহিনীতে প্রায় ১০০০ চৈনিক আর্টিলারি বিশেষজ্ঞ ছিল। আর তার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল আর্মেনিয়, জর্জিয়ান, পারস্য ও তুর্কি সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
’
মংগোল বাহিনীর অগ্রযাত্রা।
খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ মংগোল আক্রমনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি সৈন্যবাহিনীকে সংগঠিত করতে পারেননি বলে অভিযোগ আছে। খলিফা বাগদাদের নগরদূর্গ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সমন্বয় ঘটাতে পারেননি। তাঁর অবস্থা ছিল অনেকটা ২০০২ সালে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের মতো।
দিশেহারা । নিরূপায়। এর ওপর হালাগু খান কে ধ্বংস করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ । এতে হালাগু খান ক্রোধান্বিত হয়ে ওঠেন; এবং অতি নিষ্ঠুর পদ্ধতিকে খলিফাকে হত্যা করার পরিকল্পনা আঁটেন।
বাগদাদ নগরের মানচিত্র।
হালাগু খান তাইগ্রিস নদীর দু’পাড়ের সৈন্য সমাবেশ করার নির্দেশ দেন। বাগদাদ নগর ঘিরে সাঁড়াশির মতো করে সৈন্যবাহিনী বিভক্ত করেন । বাগদাদ নগরের পশ্চিম দিক থেকে খলিফার সৈন্যরা কিছু প্রতিরোধ করে। তবে তারা পরাজিত হয়। মংগোল সৈন্যরা এরপর তাইগ্রিস নদীর বাঁধ ভেঙে দেয়।
হু হু করে প্রবাহিত পানির তোরে খলিফার সৈন্যরা তলিয়ে যায়। এভাবে ফাঁদে পড়ে সৈন্যদের সলিল সমাধি ঘটে। যারা বেঁচে গিয়েছিল, তাদের হত্যা করা হয়।
বাগদাদ।
বাগদাদ নগরের কাছে এসে হালাগু খান খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ কে আত্মসমর্পন করতে বলেন।
খলিফা রাজী হননি।
ক্রোধান্বিত হালাগু খান এর নির্দেশে চৈনিক সমরবিদরা ২৯ জানুয়ারি বাগদাদ নগরের বাইরে ‘সিজ যন্ত্র’ বসিয়ে বাগদাদ নগরীর ওপর বড় বড় পাথরের গোলা নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
ভারী পাথর ছোঁড়ার সিজ মেশিন
সিজ যন্ত্রটি উদ্ভাবন করে প্রাচীন গ্রিকরা । পরে রোমানরা উন্নত করে। সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন: মধ্যযুগের আব্বাসীয়দের এত যে সুনাম শুনি, অথচ তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারল না।
কি এর কারণ? আমরা তো কখনও বলি না মংগোলরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অগ্রসর ছিল। তবে কি মধ্যযুগের আব্বাসীয়দের জ্ঞানবিজ্ঞান ছিল কেবলই তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক নয়? এই প্রশ্নটি উঠতেই পারে।
মংগোল সৈন্য।
৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাগদাদ নগরের প্রতীরক্ষা প্রাচীরের দখল নিয়ে নেয় মংগোল সৈন্যরা। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত খলিফা সমঝোতার আহব্বান জানান।
১০ ফেব্রুয়ারির বাগদাদ আত্মসমর্পন করে ।
ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে উল্লসিত যৌথ বাহিনী বাগদাদ নগরে প্রবেশ করে ।
এরপর শুরু হয় ইতিহাসের জঘন্যতম এক হত্যাকান্ড।
মংগোলদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র ; এসব অস্ত্রের আঘাতেই নারীপুরুষশিশু নির্বিশেষে প্রায় ১০ লক্ষ নিরপরাধ মানুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে মংগোল সৈন্যরা ।
বাগদাদ শহরের অধিবাসীরা পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়।
মুখোমুখি হয় মৃত্যুর । কারও মতে ১২৫৮ সালের ১৩ ফেব্র“য়ারির পর বাগদাদে ৯০,০০০ বেশি মানুষ মারা যায়। কারও কারও মতে এই সংখ্যা আরও বেশি। মার্কিন ম্যাগাজিন ‘দি নিউ ইওর্কার’ এর সাংবাদিক ইয়ান ফ্রাজিয়ার এর মতে, বাগদাদ হত্যাযজ্ঞে নিহতের সংখ্যা ২ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ। মানে পাষন্ড মংগোলরা রেহাই কাউকেই দেয় নি।
মংগোল সেনাপতি হালাগু খানের ছবি। ইনি নাকি বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। হতে পারে। আমাদের সময়ের থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও যে ভাবে বিরোধী পক্ষকে দমন করল তাতে বুদ্ধর বাণী যে তারা বিশেষ পাত্তা দেয় না তাইই মনে হয় ...
বাগদাদের ‘বাইত আল হিকমা’ বা মহা গ্রন্থাগার ধ্বংস করে অজ্ঞ ও উন্মাদ মংগোল সৈন্যরা। চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে জ্যোর্তিবিদ্যার সহস্রাধিক গ্রন্থ ছিল ‘বাইত আল হিকমা’য় ।
সভ্যতার কত বড় ক্ষতি করেছিল হিংস্র মংগোলরা। লক্ষাধিক বই তাইগ্রিস নদী তে নিক্ষেপ করে সেতু তৈরি করেছিল মূর্খরা! আর তাতে তাইগ্রিস নদীর পানি কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকগনের রক্তে তাইগ্রিস নদীর পানি রক্তবর্ণ ধারণ করেছিল । শুধু তাইই নয়, জোট বাহিনীর সৈন্যরা বাগদাদের মসজিদ, প্রাসাদ, হাসপাতাল লুঠ করে ও ধ্বংস করে । যেসব রাজকীয় প্রাসাদ তৈরিতে সময় লেগেছিল বছরের পর বছর সে সব পুড়িয়ে দেয়।
বাগদাদে মার্কিন সৈন্য। ১২৫৮’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মংগোল বাহিনীও ছিল ইঙ্গ-মার্কিন জোট বাহিনীর মতো উন্মাদ ...
খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহকে বন্দি করা হয়। তাকে জোর করে দেখানো হয় নগরের অধিবাসীদের হত্যার বিভৎস দৃশ্য ও ধনসম্পদ লুঠের করুন দৃশ্য। মংগোলরা বিশ্বাস করত খলিফার শরীরে রাজকীয় রক্ত প্রবাহিত, সেই রক্ত ঝরালে বিধাতা রুষ্ট হবেন ; কাজেই মংগোল সেনাপতি হালাগু খান খলিফাকে হত্যার এক অভিনব পদ্ধতি আবিস্কার করে।
হালাগু খান-এর নির্দেশে ২০ ফেব্র“য়ারি খলিফাকে একটি বস্তায় ভরা হয়, তারপর বাগদাদের এক চওড়া রাস্তায় বস্তাটি ফেলে রাখে। মংগোল সৈন্যরা বস্তার ওপর দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে দেয়।
প্রাক্তন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেফ একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন: History punishes them, who comes later. এই কথাটি যেন খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহর জন্য সত্য হয়েছিল।
তারপর কি হয়েছিল?
হতভাগ্য খলিফার পরিবারের অন্যদেরও হত্যা করা হয়। খলিফার একজন ছেলে বাদে সব ছেলেকে এক এক করে হত্যা করা হয়।
জীবিত ছেলেকে পাঠানো হয় মংগোলিয়া। সে ওখানে বিবাহ করে। তবে তাকে ইসলামী ধর্মীয় বিধান পালন করতে দেওয়া হয়নি। হালাগু খানের হারেমে খলিফার একটি কন্যাকেও পাঠানো হয়েছিল ।
বাগদাদের একটি প্রাসাদ।
এ রকম অসংখ্য প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছিল সেই ১২৫৮’র অভিশপ্ত ফেব্রুয়ারিতে ...
বাগদাদের বাতাসে পচা রক্তের গন্ধ। পোড়া লাশের গন্ধ।
হালাগু ক্যাম্প পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।
এরপর বাগদাদ জনশূন্য হয়ে পড়ে কয়েক শতাব্দীর জন্য ...
আব্বাসীয়রা হৃত গৌরব আর ফিরে পায়নি। বাগদাদের সেচব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
খালগুলি সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল -যা পরে আর মেরামত করা হয়নি। খালগুলির অকার্যকরতার আরেক কারণ জনসংখ্যার হ্রাস। খালগুলো ভেঙে পড়ে বা পলি জমে ভরাট হয়ে ওঠে। এটিই কৃষি ধ্বংসের অন্যতম কারণ। কারণ, ত্রয়োদশ শতকে বাগদাদী সভ্যতার কৃষির মূল ভিতই ছিল তাইগ্রিস নদীর সেচব্যবস্থা।
বাগদাদ অবরোধ নিয়ে অনেক উপকথা ছড়িয়েছিল। তার একটি হল বাগদাদ অবরোধের পর মংগোল সেনাপতি খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ কে একটি বিলাসবহুল ঘরে বন্দি করে রাখে; তারপর খলিফাকে অনাহারে রেখে মেরে ফেলে। নিচের ছবি তে সে কথাকাহিনীই ফুটে উঠেছে। হলাগু খান (বাঁয়ে) বাগদাদের খলিফা আল মুসতাসিম বিল্লাহভ
চিত্রটি পঞ্চদশ শতাব্দীর ।
ছবি ও তথ্য: ইন্টারনেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।