হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে
আর কত মৃত্যু চাই তোমার? বলো, কত দীর্ঘ মৃত্যুর মিছিল হলে তুমি ক্ষান- হবে? তুমি যদি প্রতিশ্রুতি দাও যে, তুমি ক্ষান- হবে তাহলে আমিও, আমরা, আমরা আরও অনেকে সেই মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যাবো। তারপরও তো অসহায় কিছু মানুষের থেমে যাবে আহাজারী। বুক ফেটে ঝড়বে না আর করুণ রক্ত। হ্যাঁ, আমি তাই চাই। কেউ আমার দলে ভিরুক আর নাই ভিরুক আমি একাই সে কাতারে দাঁড়িয়ে যাবো।
তবু শানি-র নিশ্বাস যেনো এ বাঙ্গালী নিতে পারে তার জন্য আমি লড়ে যেতে চাই।
যেদিকে নিশ্বাস নেই সেদিকেই লাশের গন্ধ। সেই লাশের গন্ধের হলকা বারবার আমার সামনে এসে ধাক্কা খাচ্ছে। সে লাশ আমার শিশুর লাশ, সে লাশ আমার ভাইয়ের লাশ। সে লাশ আমার...আমার বাঙ্গালীর লাশ।
আমার বাংলাদেশির লাশ।
ছোট খাটো একটা কাজ করি। এই কাজের বদৌলতে সারা দেশের দৈনন্দিন তথ্য জানতে পারি। তাতে দেখেছি গোটা বাংলাদেশে প্রতিদিন কোনো না কোনো ভাবে প্রায় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন অঘটনে মৃত্যু বরণ করে। তাই এ মরণ সংবাদ কিছুটা গা সওয়া হয়ে গেছে এখন।
কিন' তারপরও কিছু কিছু অমানবিক, পাষবিক মৃত্যু দেখলে আর সি'র থাকতে পারি না। সি'র থাকা যায় না আসলে!
এতো কিছুর পরও গত ১ জুন তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়িতে ভবন ধ্বসে ২৫ জনের প্রাণ হানি হয়েছে। লাশের এই সারি দেখে প্রথমে একটু আঁতকে উঠেছিলাম। কিন' ভাবি নি এই লাশের সারি দিয়েই শুরু হবে দীর্ঘ লাশের মিছিল। একের পর এক লাশ নির্বাক শ্লোগান দিয়ে সামনে দিয়ে চলে যাবে।
গুণতে গুণতে একবার সংখ্যা গণনা ভুল হয়ে যাবে। দেখতে দেখতে একবার খেই হারিয়ে ফেলবো এ কথা হয়তো ভাবা হয় নি কখনোই। কিন' না ভাবলেও ঘটনা তো আর থেমে থাকে নি। ঘটনা ঘটনার নিয়মেই হয়তো ঘটে গেছে।
১ জুনের কান্না থামতে না থামতেই ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াভহ অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারালো ১১৬ টি তরতাজা প্রাণ।
হয়তো প্রাণ হারাবে আরও অনেকেই। মেহেদী রাঙ্গা হাতের সেই মেয়েটিও পারে নি আর সুখের হাসি হাসতে। পারবেও না কোনো দিন। যে বাবা আদরের সন-ানকে বাঁচাবার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছিলো। সেই নিরাপদ হেফাজতেই প্রাণ দিতে হয়েছে নিস্পাপ ওই শিশুটিকে।
এসব কার কারণে? আমার উত্তর জানা নেই। অনেকেই বিশ্বাস করেন, সব কিছুর আড়ালেই একজন কলকাঠি নাড়েন। সব কিছুই তিনি দেখেন। তাহলে কী তিনি এসব আহাজারি দেখে উল্লাস করেন? বুঝি না গো সাঁই।
মাইরি বলছি, আমরা আর এই হত্যাযজ্ঞ দেখতে চাই না।
তার চেয়ে বরং নিজের মৃত্যু চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।