আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়


গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গাজাকে চারদিক থেকে ইসরাইলি বাহিনী ঘিরে মুহুর্মুহু বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাওয়ায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার উপক্রম হয়েছে। খাদ্য, পানীয় ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজার হাজার লোক। অপরদিকে, হাসপাতাল ও চিকিৎসক স্বল্পতার কারণেও ইসরাইলি হামলায় আহত অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এদিকে, আগের কয়েকদিন গাজায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিমান হামলা চালানোর পর গতকাল মঙ্গলবার ইসরাইলি বিমানবাহিনী জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও বিমান হামলা চালিয়েছে।

এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়। অপরদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত আছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও এপির। গাজায় মানবিক সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর ইসরাইলি হামলার আগে থেকেই গাজায় খাদ্য ও পানীয় সংকট ছিল।

জাতিসংঘের মানবসেবা বিষয়ক কর্মকর্তা ম্যাক্স গে-লার্ড বলেছেন, গাজায় শিশু ও মহিলাসহ অগণিত লোকের খাবার নেই। তারা চিকিৎসা সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। ইসরাইলি উপর্যুপরি হামলায় বিদু্যুৎ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নামার কারণে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অপরদিকে, ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলেছে, গাজার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নেই। গাজার ১৫ লাখ মানুষের অর্ধেক সংখ্যক জাতিসংঘের রিলিফ সংস্থা ‘ইউএনআরডব্লিউএ’-এর বিতরণ করা খাবারের উপর নির্ভরশীল।

ডিসেম্বরে ইসরাইলি হামলার পর বারবার গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কারণে সংস্থাটি নতুন করে রিলিফ সামগ্রী আনতে পারেনি। হাতে থাকা গমসহ অন্যান্য রিলিফও শেষ হয়ে যাবার কারণে বিতরণ স্থগিত করতে হয়েছে। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিতরণ করার মতো মাত্র দুইদিনের খাবার আছে। যে পয়েন্ট দিয়ে রিলিফ সামগ্রী আনা হয়ে থাকে সে পয়েন্টে তীব্র লড়াই লড়ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইলি সেনারা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে অবরোধ দেয়ায় খাদ্যসামগ্রী যথাস্থানে নেয়াও সম্ভব হবে না।

‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ নামের অপর সংস্থা জানিয়েছে, তার হাতে ৩ হাজার ৮০০ টন খাদ্য মজুদ থাকলেও তা কারনি ক্রসিংয়ের নিকট একটি গুদামে আছে। কিন্তু সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলায় সে খাবার আনা সম্ভব হচ্ছে না। গাজায় স্থাপিত জাতিসংঘের ৪৭টি বেকারির ২৩টি কুকিং গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এসব কারণে সেখানে খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশচুম্বি হয়েছে।

উচ্চমূল্য দিয়ে খাবার কেনার সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ মানুষের। ফলে ইসরাইলি হামলায় ৫৮০ জন নিহত হলেও খাদ্যের অভাবে বহু লোকের মৃত্যুর আশ্কংা তৈরী হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাও একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত হবার কারণে হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই মিলছে না নতুন করে আহত নারী পুরুষ ও শিশুদের। রেডক্রস জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক সংকটের সাথে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে।

এরপর আসে এনার্জি প্রসঙ্গ। ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার ১০ লাখ লোক বিদ্যুবিহীন হয়ে পড়েছে। ডিজেল সংকটের কারণে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী একমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্টটি গত ৩০ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এক ভূতুড়ে পরিবেশে বসে গাজাবাসীকে ইসরাইলি বোমার আঘাতে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে আছে রান্নার গ্যাসের সংকট।

জাতিসংঘ বলেছে, ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার আড়াই লাখ লোক প্রবাহমান পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যক্তিগত পাম্প চালিয়ে পানি তোলারও উপায় নেই। ফলে পানি সংকটের সাথে স্যানিটেশন ব্যবস্থায়ও বিপর্যয় নেমে এসেছে। Click This Link গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গাজাকে চারদিক থেকে ইসরাইলি বাহিনী ঘিরে মুহুর্মুহু বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাওয়ায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার উপক্রম হয়েছে।

খাদ্য, পানীয় ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজার হাজার লোক। অপরদিকে, হাসপাতাল ও চিকিৎসক স্বল্পতার কারণেও ইসরাইলি হামলায় আহত অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এদিকে, আগের কয়েকদিন গাজায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিমান হামলা চালানোর পর গতকাল মঙ্গলবার ইসরাইলি বিমানবাহিনী জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়। অপরদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত আছে।

খবর বিবিসি, এএফপি ও এপির। গাজায় মানবিক সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর ইসরাইলি হামলার আগে থেকেই গাজায় খাদ্য ও পানীয় সংকট ছিল। জাতিসংঘের মানবসেবা বিষয়ক কর্মকর্তা ম্যাক্স গে-লার্ড বলেছেন, গাজায় শিশু ও মহিলাসহ অগণিত লোকের খাবার নেই। তারা চিকিৎসা সুবিধা থেকেও বঞ্চিত।

ইসরাইলি উপর্যুপরি হামলায় বিদু্যুৎ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নামার কারণে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অপরদিকে, ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলেছে, গাজার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নেই। গাজার ১৫ লাখ মানুষের অর্ধেক সংখ্যক জাতিসংঘের রিলিফ সংস্থা ‘ইউএনআরডব্লিউএ’-এর বিতরণ করা খাবারের উপর নির্ভরশীল। ডিসেম্বরে ইসরাইলি হামলার পর বারবার গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কারণে সংস্থাটি নতুন করে রিলিফ সামগ্রী আনতে পারেনি। হাতে থাকা গমসহ অন্যান্য রিলিফও শেষ হয়ে যাবার কারণে বিতরণ স্থগিত করতে হয়েছে।

সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিতরণ করার মতো মাত্র দুইদিনের খাবার আছে। যে পয়েন্ট দিয়ে রিলিফ সামগ্রী আনা হয়ে থাকে সে পয়েন্টে তীব্র লড়াই লড়ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইলি সেনারা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে অবরোধ দেয়ায় খাদ্যসামগ্রী যথাস্থানে নেয়াও সম্ভব হবে না। ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ নামের অপর সংস্থা জানিয়েছে, তার হাতে ৩ হাজার ৮০০ টন খাদ্য মজুদ থাকলেও তা কারনি ক্রসিংয়ের নিকট একটি গুদামে আছে। কিন্তু সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলায় সে খাবার আনা সম্ভব হচ্ছে না।

গাজায় স্থাপিত জাতিসংঘের ৪৭টি বেকারির ২৩টি কুকিং গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এসব কারণে সেখানে খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশচুম্বি হয়েছে। উচ্চমূল্য দিয়ে খাবার কেনার সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ মানুষের। ফলে ইসরাইলি হামলায় ৫৮০ জন নিহত হলেও খাদ্যের অভাবে বহু লোকের মৃত্যুর আশ্কংা তৈরী হয়েছে।

চিকিৎসা ব্যবস্থাও একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত হবার কারণে হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই মিলছে না নতুন করে আহত নারী পুরুষ ও শিশুদের। রেডক্রস জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক সংকটের সাথে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। এরপর আসে এনার্জি প্রসঙ্গ। ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার ১০ লাখ লোক বিদ্যুবিহীন হয়ে পড়েছে।

ডিজেল সংকটের কারণে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী একমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্টটি গত ৩০ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এক ভূতুড়ে পরিবেশে বসে গাজাবাসীকে ইসরাইলি বোমার আঘাতে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে আছে রান্নার গ্যাসের সংকট। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার আড়াই লাখ লোক প্রবাহমান পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যক্তিগত পাম্প চালিয়ে পানি তোলারও উপায় নেই।

ফলে পানি সংকটের সাথে স্যানিটেশন ব্যবস্থায়ও বিপর্যয় নেমে এসেছে। Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.