যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
ইসরায়েল ২০০৬ এ লেবাননে যে পরাজয় বরন করেছে - তাতে ইসরায়েল নামক কৃত্রিম রাস্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়টা দারুন হুমকীর সন্মুখীন।
ইসরায়েলের নাগরিকদের অধিকাংশেরই একাধিক দেশের নাগরিকত্ব আছে। এদের ধর্ম আর আর্থিক নিরাপত্তার প্রলোভন দেখিয়ে সমগ্র বিশ্ব থেকে আনা হয়েছে। বিশেষ করে অধিকৃত ভূমিতে যারা বিশেষ ব্যবস্থায় বসবাস করছে - এরা কোন ভাবেই দ্বিতীয় দেশের সাথে তাদের সম্পর্ক ছেদ করে না।
হেজবুল্লার কাছে পরাজয়ের পর ইসরায়েরের অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেই ফিরে যাচ্ছে তাদের আদিবাসে।
ইসরায়েরের জন্যে এই নেতিবাচক মাইগ্রেশন একটা ভয়াবহ বিষয়। বিশেষ করে প্রতি বছর ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সাহায্য আর কুটনৈতিক সমর্থন পেয়েও ইসরায়েলী রাজনীতিকরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এদের একটা বড় অংশই দূর্নীতিতে ডুবে গেছে।
ইসরায়েল ইহুদীদের অভিবাসন বাড়ানোর চেষ্টা করার পরও গত বছর এই অভিবাসনের পরিমান কমেছে ৮%। আরেকটা তথ্য বেশ গুরুত্বপূর্ন তা হলো -
ইসরায়েলের ইহুদী অধিবাসী ৭৬% আর আরব ২৪%।
ইহুদীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩% অন্যদিকে আরবদের বৃদ্ধির হার ২.৪%।
এই বিষয়টি দেখরে বুঝা যাবে - ইসরায়েল রাষ্ট হিসাবে টিকে থাকার জন্যে অভিবাসনের উপর কতটা নির্ভরশীল।
এখন দেখা যাচ্ছে - প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর শক্তি প্রয়োগ করে টিকে থাকা একটা দেশের জনগোস্ঠী সেই দেশের সামরিক শক্তির উপর তাদের নিরাপত্তার জন্যে পরিপূর্ন নির্ভরশীল। বলা হয় পৃথিবীর সব দেশের একটা সেনাবাহিনী আছে - কিন্তু বিশ্বের একটা সেনাবাহিনীর একটা দেশ আছে - নাম ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সেনাসদস্যের একটা বিরাট অংশই দেশের বাইরে বসবাসকারী পার্টটাইম সৈন্য - যা আবার অভিবাসের উপর নির্ভরশীল।
ইসরায়েলের নাগরিকত্ব নিতে চাইলে একজন কানাডিয়ান বা আমেরিকান ইহুদীর অবশ্যই সেনাবাহিনীতে নাম লিখাতে হবে।
এখন দেখা যাক দেশের ভিতরের রাজনীতির বিষয়গুলো। আরিয়াল শ্যারনের প্রস্তানের পর মুলত দেশে নেতৃত্বের সংকট চলছে। কাদিমা পার্টির নেতা লিপ্পি যদি্ও প্রধান মন্ত্রী হওয়ার কথা কিন্তু কোয়ালিশনের শরিকরা তাকে যথেস্ঠ " টাফ" বিবেচনা না করায় কয়েকমাস পরে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেন লেবাননের পরাজয় বিষয়টা মুল হিস্যু না হয়ে - তাই ক্ষমতাশীন কাদিমা পার্টি নিজেদেরকে বিজয়ী দেখানোর জন্যেই এই মুহূর্তে গাজার উপর এই বিপর্যয় তৈরী করেছে।
গত একবছর যাবত সম্পূর্ন অবরুদ্ধ এই ছোট্ট ভূখন্ডের ১৫ লক্ষ অধিবাসীর অপরাধ হলো দূর্নীতিগ্রস্ত পিএলওকে ভোট না দিয়ে হামাসকে ভোট দিয়েছে।
পৃথিবীতে যত মানবাধিকারের সংজ্ঞা তৈরী হয়েছে - তার সবগুলোই লংঘনকরা ইসরায়েলের কর্মকান্ডের মৌখিক নিন্দা জানাতে ব্যর্থ বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি আমেরিকার ক্ষমতার নাটাইয়ের সুতা যে ইহুদী লবীর হাতে এই বিষয়টি সবার জানা। কিন্তু এরা যে খুব দ্রুততার সাথে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখে একটা কুলুপ এটে দিতে পেরেছে - তা দেখে সত্যই অবাক হলাম। দূর্ভাগ্যের কথা হলো গাজায় এই বিপর্যয়ের জন্যে কনজারভেটিভ কানাডার সরকার হামাসকে দায়ী করেছে। কি আর বলবো।
মনে হচ্ছে জন্মই প্যালেস্টাইনীদের আজন্ম পাপ। পাশের দেশ মিসর - যেখানে এক দালাল বসে আছে ক্ষমতায়। আর মধ্যপ্রাচ্যের রাজাবাদশাদের কথা বলার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে ইউরোপীয়ানরা ইহুদীদের কৌশলে ইসরায়েলে পাঠিয়ে দিয়ে হাত ধুঁয়ে বসে আছে।
এজন সাধারন মানুষ হিসাবে টিভির পর্দায়ে ভেসে উঠা ভয়অবহ দৃশ্যগুলো দেখি আর নিজের অক্ষমতায় কাতর হই।
একজন প্যালেস্টাইনী বৃদ্ধ এই বিপর্যয়ের ভিতরেও বলছিলো -আমেরিকা বা ইসরায়েল সর্বশক্তিমান নয় - সর্বশক্তিমান হলো আল্লাহ।
ভাবছি - আল্লাহ ছাড়া কি আর কেউ প্যালেস্টাইনীদের রক্ষা করতে পারে - বিজয়ী করতে পারে।
আল্লাহ প্যালেস্টাইনীদের সহায় হউন।
সুত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।