আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাজায় কোমলমতি ফিলিস্তিনি শিশুরা এখনো বিপর্যস্ত।

এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
ইসরায়েলি আক্রমণের ছয় মাস কেটে গেলেও তার রেশ পুরোদমেই রয়ে গেছে গাজায়। এখনো আতঙ্কে ভুগছে সেখানকার শিশুরা। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ইসরায়েল।

গত ডিসেম্বরে পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহতার আরো পরিষ্কার চিত্রের জন্য আর বোধহয় বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সোমবার থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে যু্দ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাক্ষ্য নেয়া শুরু করেছে। প্রথম দিনেই কমিশন শুনেছে, বেশ কিছু ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা। যুদ্ধে পা হারানোয় হুইল চেয়ার নেয়া এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, কী করে ইসরায়েলি বোমা তার ঘরটাকে এক মুহূর্তে প্রায় ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে পরিবারের ১১ জন সদস্যকে চিরতরে কেড়ে নিয়েছে। আরেকজন জানালেন, এক মসজিদের ভেতরে কীভাবে ১৭টি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

ইসরায়েলি হামলার পরও গাজা উপত্যকায় যারা বেঁচে আছেন তারাও এখন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। ২০০৭ সালে হামাস শাসনভার নেয়ার পর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েল এবং মিশরের নিষেধাজ্ঞা। রেডক্রস জানিয়েছে, ২২ দিনের হামলা শেষে ইসরায়েলি বাহিনী ৬ মাস আগে চলে এলেও এখনো গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে ঢোকা যাচ্ছেনা। এমনকি ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, স্কুল ইত্যাদি মেরামতের সামগ্রীও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সেনাবাহিনী৷পানির পাইপ, সিমেন্ট, ব্যথানিরোধক ওষুধ, এক্সরে ফিল্ম ইত্যাদির অভাবে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় পশ্চিম তীর ও গাজার ওপর থেকে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার দাবি করেছে রেড ক্রস।

ওদিকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের সাক্ষ্য নিতে গিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দেখেছে, গাজায় শিশুরা এখনো ভালো নেই, চরম দুর্দশা আর আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছে তারা। কারো কারো জন্য যুদ্ধ সৃষ্টি করেছে মনস্তাত্বিক সমস্যা। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া ২২ দিনের এ হামলায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি এবং ১৩ জন ইসরায়েলি প্রাণ হারায়। যে শিশুরা এই হত্যাযজ্ঞ কাছ থেকে দেখেছে, তারা মানসিকভাবে এখনো খুব বিপর্যস্ত। শিশু মনরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ইয়াদ সারাজ মনে করেন, ২২ দিনের যুদ্ধে শিশুরা এত রক্তপাত আর হত্যার দৃশ্য দেখেছে যে ওই অভিজ্ঞতা তাদের নেতিবাচক অনুভূতি, জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

গাজার ১৫ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশির বয়স এখন ১৮র নিচে। তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা সংবাদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.