সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত মুজাহিদুল ইসলাম সুমনের (২৬) সংজ্ঞা ফিরেনি সাত মাসেও। গত বছর ৮ অক্টোবর, ২০০৯ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুমন এর সিটি স্কানিং করে মাথার অভ্যন্তরে রক্তক্ষরন হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। নিউরো সার্জারি বিভাগের ডাক্তার আসিফ বরকত উল্লাহর পরামর্শে তার মস্তিস্কে অস্ক্রোপচার করা হয়।
পরে তার চিকিৎসা করেন নিউরো ডেসিন বিভাগের চিকিৎসক দীন মুহাম্মদ। চার মাস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর সংজ্ঞাহীন অবস্থাতেই সুমনকে গত ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১০ হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়। প্রায় সাত মাস সুমন তাদের পূর্ব আলীপুর বাড়িতে একইভাবে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন। নল দিয়ে চলছে তার খাবার-দাবার ও মলমূত্র ত্যাগ।
সুমনের পিতা আবদুল হান্নান একজন দরিদ্র স্কুলশিক্ষক।
একমাত্র পুত্র সুমনের চিকিৎসার জন্য জমিজমা বিক্রি করে, আত্মীয়স্বজন এর সহায়তা নিয়ে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। সুমনের মা ও দুই বোন মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে পড়েছেন। পিতা আবদুল হান্নান জানান, সুমনকে সুস্থ করতে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া দরকার। এ জন্য ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ সামর্থ তার নেই।
তাই সুমনের চিকিৎসার জন্য হৃদয়বান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- সঞ্চয়ী হিসাব-৫০৫৪, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, স্টেশন রোড শাখা, ফরিদপুর। মুদারাবা সঞ্চয় হিসাব-১০৮০৬, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিৎ, ফরিদপুর শাখা।
মোবাইলঃ- ০১৭১৮৯৮৫৬৭০, ০১৭১৪৩৬৫৯২২
যারা সহায্য পাঠাতে চান তারা দয়া করে উক্ত ব্যাংক ও মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করাবেন।
লেখাটা একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা।
একজন দরিদ্র স্কুল শিক্ষক বিধায় আমার মনে নাড়া দিয়েছে। আমার একজন প্রিয় স্কুল শিক্ষক ছিলেন, যিনি আর্থিক কষ্টে বিনা চিকিৎসায় বিদায় নিয়েছেন। তার জন্য কিছুই করতে পারি নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।