রিকশা চালিয়ে কষ্টে জীবন চলতো বাই ফাঙলি নামের গরীব এই চাইনিজ রিকশাওলার। ১৯৮৭ সালে, ৭৪ বছর বয়সে সে কষ্টের এই কাজ ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামে ফিরে দেখে ছোট শিশুরা মাঠে কাজ করছে কারন তাদের স্কুলের বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই। তা দেখে সে তার সারাজীবনের সঞ্চয় ৫০০০ ইউয়েন দান করে দেয়। আর সিদ্ধান্ত বদলে আবার ফিরে যায় পুরনো পেশায়, কষ্টের জীবনে।
তিয়ানজেন শহরের রেলস্টেশনের পাশে ছোট্ট এক জায়গা নিয়ে রিকশা চালানো শুরু করে আবার। সারাদিন-সারারাত রিকশা চালিয়ে পয়সা জোগার করতে থাকে। সারাদিনে সে মাত্র ২০-৩০ ইউয়েন আয় করতো, যা সযতনে রেখে দিত। নিজে খুবই কম খেত আর পুরনো ছেঁড়া জামা কাপড় যা পেত পরতো। এভাবে সে কাজ করে সমস্ত আয় গরীব ছাত্রদেন বেতনে দান করে দিত।
এভাবে সে স্কুলের গরীব ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতো। নিজে নিরক্ষর হলেও তার স্বপ্ন ছিল, এইসব ছেলেমেয়ে শিক্ষিত হয়ে সবকিছু একদিন বদলে দেবে।
২০০১ সালে যখন তার বয়স ৯০ এর কাছাকাছি, সে তার রিকশা নিয়ে তিয়ানজিন ইয়াওহুয়া মিডল স্কুলে যায় তার অনুদানের শেষ কিস্তি জমা দিতে। সে ছাত্র-ছাত্রীদের জানায়, তার পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব হবে না। এসময় ছাত্র-শিক্ষক সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
ফাঙলি'র সর্বমোট অনুদানের পরিমান ছিল ৩,৫০,০০০ ইউয়েন, যা দিয়ে ৩০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা চলতো।
২০০৫ সালে শরীরে লাঙ্গস্ ক্যান্সার ধরা পড়ে বাই ফাঙলি'র। ৯৩ বছর বয়সে মারা যায় মহত এই মানুষটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।