গত গ্রীষ্মে ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির পক্ষ থেকে লেকের পাড়ে পিকনিকে যাবার সিদ্ধান্ত হল। কিন্তু পিকনিকের আগের দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা গেল “থান্ডার স্টর্ম” হবে। পিকনিক কমিটির পক্ষ থেকে আগের দিন ভোটাভোটির আয়োজন করা হল। দেখা গেল যত থান্ডার স্টর্মই হোক না কেন সবাই যেতে প্রস্তুত! অগত্যা পিকনিক কমিটি নির্ধারিত দিন আমাদের নিয়ে রওনা দিল লেক এরি’র দিকে। এদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভুল হতে খুব কম ই দেখেছি।
সেদিনটি ও এর ব্যাতিক্রম ছিলনা। লেকের পাশে যখন বাস থামল তখন থান্ডার স্টর্ম শুরু হয়ে গেছে। কি আর করা ! এই অবস্থায় বাসের ভিতর বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। পিকনিক কমিটির প্রধান পেনেভ (বুলগেরিয়া থেকে আসা এক ছাত্র) প্রস্তাব করল, কাছেই নাকি টমাস আলভা এডিসনের বাড়ী! এই পরিস্থিতিতে সেখানে যাওয়াই উত্তম। কিন্তু অর্ধেক স্টুডেন্ট বলল যে তারা লেকের পাড়েই থাকবে- থান্ডার স্টর্মকে উপেক্ষা করে! কাজেই শেষ পর্যন্ত ঠিক হল- যারা লেকের পাড়ে থাকতে চায় তারা বাস থেকে নেমে নিজেদের মতন করে উপভোগ করুক আর বাকিরা যাবে টমাস আলভা এডিসনের বাড়ীতে! আসার পথে ওদের কে বীচ থেকে পিক করা হবে!
আমি এবং আমার স্ত্রী টমাস আলভা এডিসনের বাড়ীতে যাবার লোভে বাসে বসে থাকলাম।
অর্ধেক যাত্রীকে রেখে আমরা রওনা দিলাম ভিয়েনা নামক ছোট্ট গ্রাম টির দিকে। দশ মিনিটের মধ্যে পৌছেঁ গেলাম “এডিসন মিউজিয়াম অব ভিয়েনা” তে। হ্যা এখন তো আর সেটা বাড়ী নেই- রূপান্তরিত হয়েছে মিউজিয়ামে।
আগে জানতাম এডিসনের বাড়ী আমেরিকাতে। কিন্তু উনার পূর্বসুরি রা যে বেশ কিছুদিন কানাডাতেও ছিলেন তা সেদিন ই জানলাম।
এ মিউজিয়াম টির অবস্থান ভিয়েনা নামক একটি ছোট্ট গ্রামে যেখানকার বর্তমান লোকসংখ্যা মাত্র ৫৬৬ জন। এই গ্রামেই জন্ম নিয়েছিলেন এডিসনের দাদা। মিউজিয়ামে ঢুকার সাথে সাথে এক মহিলা খুব উৎসাহের সাথে এর ইতিহাস বর্ননা করতে শুরু করল। আজ আমি ইতিহাসে খুব বেশী যাবো না। বরঞ্চ এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত কিছু মূল্যবান আবিষ্কার আর এডিসনের ব্যবহিত আসবাবপত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আপনাদের হয়ত ভাল লাগবে…
খুব মনযোগ দিয়ে আমাদের বুঝাচ্ছেন সেই মহিলা…
মালয়শিয়া থেকে আসা খুবই উৎসাহী স্টুডেন্ট পন্সেল্ভিয়া …
মিউজিয়ামে ঢুকার পথ…
আরো কিছু ছবি…
ভাল কথা, মিউজিয়াম থেকে আমরা যখন বের হলাম তখন কিন্তু ঝড় থেমে গেছে। পেনেভ বলল “চল এবার আমরা এরি লেকের সৈকত থেকে ঘুরে আসি। ” আমরাও মহা ফুর্তিতে রওনা দিলাম আমাদের মূল পিকনিক স্পট “এরি লেকে”র দিকে………।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।