সৃষ্টির রহস্য খুজছি
আমি যে কলেজে পড়াশুনা করেছে এ গতরে তার এমপিও ভুক্তি হয়নি। গত কয়েক বছর কলেজটি আমার জেলা বরিশালে রেজাল্টে ২য়, ৪র্থ এবং ৩য় হয়েছে। নিশ্চিত এমপিও ভুক্তি হবে বিধায় আমার কলেজের অধ্যক্ষ কোন রাজনৈতিক রাঘব বোয়ালের কাছে যাননি। কিন্তু সেটিই তার এবং আমার কলেজের জন্য কাল হয়েছে।
বেচারা আজ এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে কলেজটিকে এমপিও ভুক্তির ব্যপারে কিছু একটা করার জন্য।
হন্যে হয়ে কিছু দিন যাবত তিনি এবং আমার কলেজের শিক্ষকরা নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। ভিসির অফিস থেকে যখন মল চত্বরে এসে তিনি এবং আমার কলেজের আরো দুই জন শিক্ষক দাড়ালেন তখন তাদের পৃথিবীর সব চাইতে অসহায় মনে হচ্ছিল। বয়স হয়ে গেছে, সরকারী চাকুরীর সুযোগ নেই, অন্য ছোটখাট চাকুরী করার মত অবস্থা নেই বলে কলেজের এমপিও হওয়াটা তাদের রুটি, রুজি এবং সম্মানের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এ যাত্রায় সেটি হচ্ছে না, এটি বুঝে মনে হয় তার মল চত্বরের উপরের আকাশ দেখছিলেন।
বাধ্য হয়ে এখন তারা নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনজন মধ্যে একজন শিক্ষক এক নেতার পিএসএর সাথে কথা বলছিলেন। কথা শুনে বোঝা গেল পিএস-এর মাধ্যমে বস যত টাকা চায় তা দিতে রাজী আছেন তারা। এ ছাড়া যে তাদের আর উপায় নেই।
কলেজটি এমপিও না হবার একটিই কারণ।
সেটি বিএনপির এক নেতার প্র্রতিষ্ঠিত।
রাজনৈতিক এই বৈশম্য যদি প্রন্তিক পর্যায়ের শিক্ষাক্ষেত্রেও হয় তবে দেশ গড়ার কাড়িগররা কোথায় যাবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।