এমপিও ভুক্ত শিক্ষক বনাম কোচিং সেন্টার
সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলাধীন সাটুরিয়া থানার চাচিতারা গ্রামে ‘চাচিতারা অক্রফোট ও আদর্শ কিন্ডার গার্ডেন নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেছে কতিপয় শিক্ষক। যদিও বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতিতে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসায় জড়ানোকে সম্পূর্ন রুপে নিষিদ্ধ ও বেআইনী ঘোষনা করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি এটি মূলতঃ কয়েকজন দলবাজের অবৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। সরজমিনে তদন্ত করে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের পাচঁজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতাই ভ‘ূয়া। প্রচার লিফলেটের তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম উন্মুক্ত কলেজ থেকে টেনে-টুনে ইন্টারমেডিয়েট পাশ হলেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় লেখা হয়েছে (বি.এস.এস)।
মোঃ শরিফ হোসেন অনার্স অধ্যায়নরত হলেও তার নামের পাশে উলেখ্য করা হয়েছে বি.কম (অনার্স) অপর শিক্ষক মোঃ বাবুল হেসেন জগন্নাত কলেজ থেকে তৃতীয় শ্রেনীতে বিএসসি (অর্নাস) এমএসসি করলেও তার নামের সাথে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় উলেখ করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দুই শিক্ষক জনাব চন্ডীদাস প্রমানীক (এমপিও ভুক্ত শিক্ষক, এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়) এবং মোঃ আব্দুর রশিদ (এমপিও ভুক্ত শিক্ষক, এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়)।
এই ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকদের ধারনা এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিবাবক প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে অধিক আথির্ক সুবিধা অজর্নে অত্র প্রতিষ্ঠানের কোমল মতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার চাপ দিয়ে এই কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে বাধ্য করতেই এই প্রতিষ্ঠান।
বতর্মান সরকারের যুগযুগান্তকারী ও সফল শিক্ষানীতিকে অবজ্ঞা করে কি ভাবে এই সকল শিক্ষক এই ব্যবসায় জড়িত হয়েছে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।