রোববার বরগুনা-২ আসনে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “হাই কোর্টের রায় বহাল রয়েছে। ওই রায় বহাল থাকলে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। তবে স্বতন্ত্রভাবে যে কেউ অংশ নিতে পারে। ”
আদালতের রায় বহাল থাকলে জাতীয় নির্বাচনেও দলটি অংশ নিতে পারবে না বলে জানান সিইসি।
“হাই কোর্ট নিবন্ধন বাতিল করেছে। ওই রায়ের ওপর স্টে অর্ডার হয়নি। স্টে না হওয়া পর্যন্ত তথা হাই কোর্টের রায় বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াত। ”
কাজী রকিব বলেন, রায়ের কপি তারা এখনো হাতে পাননি। হাতে পেলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। আর বরগুনা-২ আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩ অক্টোবর।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে নির্বাচন কমিশন। সে সময় ৩৮টি দলের সঙ্গে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াতে ইসলামীও নিবন্ধিত হয়। আইন অনুযায়ী শুধু নিবন্ধিত দলগুলোই বিগত নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়।
জামায়াতকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি শেষে হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ গত ১ অগাস্ট রায় ঘোষণা করে।
সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ওইদিনই চেম্বার জজের কাছে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল জমা দেন জামায়াতের আইনজীবীরা, যাতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়। তবে ৫ অগাস্ট শুনানি করে চেম্বার আদালত রায় স্থগিতের আবেদন নাকচ করে দেয়।
অবশ্য জামায়াত আপিলের শুনানিতে আবারো স্থাগিতাদেশ চাইতে পারবে।
সরকার ও বাম দলগুলো ওই রায়কে স্বাগত জানালেও জামায়াতে ইসলামী রায় প্রত্যাখ্যান করে ৪৮ ঘণ্টা হরতাল করেছে।
অন্যদিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দল হিসাবে জামায়াতকে নিষেদ্ধের জন্যও সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।