আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলার পথে(পর্ব ২৬) -- ফাতরার বন - আমতলী , বরগুনা ।

চক্ষু মেলিয়া তাকানোর পর থেকে খালি বাঁদরামি করি যাহা দেখি সবই নয়া লাগে , , পাখির মতো মন হলেও,কলিজা বাঘের মতো , মানুষের মতো খালি দেখতে তে তে তে কুয়াকাটা ভ্রমনে যারা গিয়েছেন তারা অবশ্যই শুনেছেন আমতলী উপজেলার তালতলি রেঞ্জ , বরগুনা জেলার অন্তর্গত ফাতরার বন কথা । ফাতরার বন : কুয়াকাটার অতি সন্নিকটে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কোলঘেঁষে আন্ধার মানিক নদীর পশ্চিম দিকটায় তাকালের দেখা যাবে এই বনটি । এর আশেপাশে দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের মত । ফাতরার বনাঞ্চলের আয়তন ৯ হাজার ৯৯০ একর। ফাতরার বন নামে পরিচিত হলেও কাগজে কলমে এটি টেংরাগিরি।

এখানে বেশি যে গাছ গুলো আছে তা হল - - শাল, সেগুন, ছইলা, কেওড়া, গজারি, হেতাল, গেওয়া, সুন্দরী, বাইন আর জঙ্গলা । ট্রলারে করে গিয়ে নামলেই কিছুদূর হাঁটলেই দেখতে পাবেন ভেতরে সুন্দর ঘাট বাঁধানো একটি পুকুর । বসার জন্য ব্যাবস্থা ও আছে । এখন এখানে বেশ কিছু মানুষ থাকলেও , প্রথম দিকে কেবল ২ টি সিডরে ঘরবাড়ি হারানো পরিবারকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়ে ছিল , তারা বনটি দেখাশোনাও করে। ফাতরার বনের আশেপাশে অনেক গুলো খাল রয়েছে ।

যেমন - চরের খাল, ছোট চরের খাল, ফাইসাখালী, বেহুলার খাল, নিশান বাড়িয়ার খাল, নিদ্রা সখিনার খাল । কিন্তু যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না হওয়াতে পর্যটকরা এগুলো সম্পর্কে জানে না । ফাতারার বনে ঘুরতে আসলে পিকনিক ও করতে পারেন । সাথে করে মুরগি ও চাল নিয়ে আসলে এখানে যে পরিবার গুলো আছে তারাই রান্না করে দিবে । ইনাদিং অনেকেই এখানে পিকনিক ও ক্যাম্পিং করে থাকে ।

কিভাবে যাবেন : অবশ্যই আগে কুয়াকাটা যেতে হবে । কুয়াকাটা থেকে ট্রলারের ব্যাবস্থা আছে । জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকার মত যাওয়া আসা । কুয়াকাটা বিচে দেখবেন অনেক ট্যুরিজম কোম্পানি আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে রিজার্ভ ও নিতে পারেন । এবার ফাতরার বনের কিছু ফটু এই সেই বিখ্যাত ট্রলার ঐ দূরে ফাতরার বন আরও একটু কাছে এই খালটা দিয়ে ঢুকে গেলেই বন এই কাদায় অসংখ্য কাঁকড়া আপনাদের সকলের দোয়াতে পৌঁছে গেলাম ফাতরার বন , মাঝে সমুদ্রের অংশে ট্রলার একটু নাচানাচি করলেও ওটা ব্যাপার না এই পথেই প্রবেশ , আসেন আসেন ভেতরে পুকুর , চারধারে কিন্তু সাগর এই বনের অর্থাৎ লবণ পানি একটু জিরিয়ে নিতে পারেন , মানুষ বসবাস করে তাই পরিষ্কার সামনের দিকে হাঁটা দিলে হালকা ঝাউ বন আরও সামনে এগিয়ে গেলে এই সাঁকোটি পাবেন , সাঁকোটি দেখে হামহাম এর কথা মনে পড়ে গেল ।

এরকম কত শত গুলো যে পাড় হয়েছি । তাই এইটার উপর বিসমিল্লাহ্‌ বলে রউনা দিলাম । কিন্তু ওপারে নামার অবস্থা নেই , হাঁটু সমান কাঁদা । দেখেই সন্ধেও হচ্ছিল তাই হাতের লাঠিটা দিয়ে পরখ করে নিলাম আর পিছু হঠতে হল । সাঁকো পাড় হয়ে ওপারে গেলে এবার সাগর দেখা যাবে ।

এই ছিল ফাতরার বন । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়া দেখার আর তেমন কিছু নেই তবে ক্যাম্পিং ও পিকনিক করতে হলে এটি নিঃসন্দেহে একটি অস্থির জায়গা । কুয়াকাটা গেলে অবশ্যই ফাতরার বন যাবেন । কারণ এটি তেমন কোন আকর্ষণীয় না দর্শনীয় স্থান নয় যে কেবল এই বন দেখার জন্য সদুর বরগুনা আসবেন । পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন , , রেখে আসবেন পদচিহ্ন আর নিয়ে আসবেন শুধুই ফটোগ্রাফ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.