বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম রেজার মৃত্যু হয়।
শামীমের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শামীম উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউছড়া গ্রামের হাজী আলাউদ্দিনের ছেলে।
গত ২০ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা, শ্যালক ও দুই গৃহকর্মী খুন হন।
সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, রোববার চার খুনের ঘটনায় শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর ছেলে শাহাদাতের বন্ধু।
সোমবার তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
জবানবন্দির পর শামীমকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে, তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেন ওসি আতিক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, সোমবার শামীমকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর পর ওইদিনই তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে শামীমের মৃত্যুর খবর তার জানা নেই বলে জানান তিনি।
শামীমের বাবা আলাউদ্দিনের দাবি, গত ১৪ মে শামীমকে সোনারগাঁও থানার ওসি অরূপ বাড়ি থেকে নিয়ে যান। ছয়দিন তাকে থানায় আটক রেখে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের কারণে শামীম অসুস্থ হয়ে পড়লে গত সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দি আদায় করা হয়।
তিনি আরো বলেন, থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। মারধর না করতে কিছু টাকা দেয়াও হয়েছিল।
চার খুনের ঘটনায় নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী শামীমার ভাই মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।